সম্প্রতি লাসায় সংঘটিত হাঙ্গাদাঙ্গামায় চীন সরকারের আইন অনুযায়ী মোকাবেলার পদক্ষেপ নিয়ে বেশ কিছু দেশ পৃথক পৃথকভাবে সমর্থন জানিয়েছে। তারা তিব্বতের স্বাধীনতা এবং অলিম্পিককে রাজনীতিকীকরণের বিরোধিতার কথা প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের সিনেটের কূটনীতি কমিটি'র চেয়ারম্যান, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ)'র মহাসচিব মুশাহিদ হুসাইন সায়িদ ২০ মার্চ বলেছেন, চীনের স্থিতিশীলতা, ভূভাগীয় অখন্ডতা এবং সমন্বিত সমাজ গঠনের জন্য যে চেষ্টা চলছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ তা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। চীনের স্থিতিশীলতা হলো দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
সার্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০ মার্চ বলেছেন, সার্বিয়া চীনের সার্বভৌমত্ব এবং ভূভাগীয় অখন্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তিব্বতের ব্যাপারে চীনের নীতি'র সমর্থন করে।
কাজাখস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নুরলান ইয়েরমেকবায়েভ ২০ মার্চ রাজধানী আস্তানায় সাংবাদিকদের সাক্ষাত্কার দেয়া সময় আশা প্রকাশ করেছেন, তিব্বতের লাসায় সংঘটিত হাঙ্গাদাঙ্গামা পেইচিং অলিম্পিকের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
সম্প্রতি কিছু সংস্থা ও ব্যক্তির তিব্বত ও মানবাধিকার ব্যাপারগুলোকে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে সংযুক্ত করার অপচেষ্টা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হাভি বলেছেন, অলিম্পিক গেমসের বিরুদ্ধে অপচেষ্টাগুলো অবশেষে নিষ্ফল হবে। তিনি বিশ্বাস করেন পেইচিং অলিম্পিক গেমস সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারবে।
এছাড়া ভারত, ভিয়েতনাম, মউরিতানিয়া, কটে ডিভোর ও কংগো প্রজাতন্ত্র ১৯ মার্চপৃথক পৃথকভাবে এই মত প্রকাশ করেছে যে, তিব্বত সংক্রান্ত সমস্যা হলো চীনের অভ্যন্তরিণ ব্যাপার। চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূভাগীয় অখন্ডতা লংঘন করা যায় না। তারা বিশ্বাস করে চীন সরকার আইন অনুযায়ী তিব্বতের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পারবে। (ইয়াং ওয়েই মিং)
|