v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-11 18:47:35    
চীন জ্বালানী সাশ্রয় ও দূষণ কমানোর জোর চেষ্টা চালাচ্ছে

cri
    চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধি ছেন চিয়েন সেন বলেন , চীনের জ্বালানী সম্পদ পর্যাপ্ত নয় , পরিবেশ সংরক্ষণ সমস্যাও প্রকট। এ ধরনের কথা গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় গণ কংগ্রেস ও রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের বার্ষিক অধিবেশনে প্রায়ই আলোচিত হচ্ছে । জ্বালানী সাশ্রয় , দূষিত পদার্থের নির্গমন কমানো এবং আকাশ আরো নীল ও নদীর পানি আরো স্বচ্ছ করে তোলার জন্যব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি অধিবেশন দুটির প্রতিনিধিদের অন্যতম প্রধানমনোযোগ আকর্ষণকারী বিষয় ।

    রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের জাতীয় কমিটির সদস্য ওয়াং সি একজন পরিবেশ আইন বিশেষজ্ঞ। তিনি সাংবাদিককে বলেন , জ্বালানী সাশ্রয় ও দূষিত পদার্থের নির্গমন কমানোর জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান ব্যবস্থা নিয়েছে । গত বছর চীন প্রথমবারের মতো মাথাপিছু জিডিপির বিপরীতে জ্বালানী ব্যয় ও প্রধান প্রধান দূষিত পদার্থের নির্গমণ দুটোই কমেছে । এতে প্রমাণিত হয়েছে যে চীনের জ্বালানী সাশ্রয় ও দূষিত পদার্থের নির্গমন কমানোর নীতি কার্যকর হয়েছে ।

    এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের সরকার জ্বালানী ক্ষয়কারী ও বেশি দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্পের উন্নয়ন সীমিত করা এবং এ ধরনের কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ব্যবস্থা নিয়েছে । জ্বালানী সাশ্রয় ও নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য ফল পেয়েছে , সরকার সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য কর কমানোসহ নানা কল্যানকর নীতি প্রণয়ন করেছে এবং জ্বালানী সাশ্রয় আইন প্রণয়ন করেছে ।

    উত্তর-পশ্চিম চীনের কান সু প্রদেশের গভর্নর সুই সৌ সেন বলেন , কান সু প্রদেশে বেশ কিছু জ্বালানী ক্ষয়কারী ও দূষণসৃষ্টিকারী পশ্চাত্পদ ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । চীনের পশ্চিমাঞ্চলে অনেক ছোট কাগজ তৈরীর কারখানা , সীসা কারখানা ও সিমেন্ট তৈরীর কারখানা বন্ধ করা হয়েছে । কানসু প্রদেশের এক হাজার তিন শ' ছোট কয়লা খনিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ।

    জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধি লি ইয়োং লিয়াং কুয়াং তুং প্রদেশের সি চি লাং লিমিটেড কোম্পানির উপমহাপরিচালক । তিনি বলেন , দু বছর আগে থেকেই আমরা জ্বালানী সাশ্রয় করার চেষ্টা শুরু করেছি । আমাদের কোম্পানি খাদ্যদ্রব্য তৈরী কোম্পানি । এর আগে আমাদের কোম্পানির ওয়ার্কশপে পানির চাহিদা বেশি ছিল । উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পানি ক্ষয় ও দূষিত পানির নিঃসরণও কমেছে । এখন আমাদের কোম্পানির ওয়ার্কশপে দূষিত পানি সংগ্রহ করে তা পরিশোধনের পর আরেকবার ব্যবহার করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । এতে প্রতিদিন এক হাজার থেকে দু হাজার টন পানি সাশ্রয় হয়।

    জ্বালানী সাশ্রয়ের ধারণা এখন প্রত্যেক চীনা নাগরিকের চেতনায় ঢুকে গেছে । নাগরিক চাও ইং ছুন বলেন , এর আগে সন্ধ্যাবেলায় আমি বাড়িতে ঢুকেই সব বাতি জ্বেলে দিতাম । এখন আমি জানতে পেরেছি যে আমরা সাধারণ নাগরিকও জ্বালানী সাশ্রয়ের চেষ্টা করতে পারি । আমি ও আমার পরিবার পরিজন এখন একটি ঘরে একটি বাতি ব্যবহার করি এবং ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাতি বন্ধ করে দেয় । প্রতি মাসে আমি এক দিন গাড়ি চালাই না । এ বছর অলিম্পিক গেমস পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে । দূষিত গ্যাসের নির্গমন কমানো প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ।

    গোটা সমাজের যৌথ প্রচেষ্টার ফলে গত বছর চীনের মাথাপিছু জিডিপির জ্বালানী ব্যয় ৩.২৭ শতাংশ কমেছে । সালফার ডাই অক্সাইড ও কেমিকেল অক্সিজেন ডিমান্ড যথাক্রমে ৪.৬৬ ও ৩.১৪ শতাংশ কমেছে । গত বছর পেইচিংয়ে ২৪৬ দিনই বায়ুমন্ডল মানসম্মত ছিল । ১৯৯৮ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র এক শ' দিন ।

    জ্বালানী সাশ্রয় ও দূষণ কমানোর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি কিছু সমস্যা রয়েছে । চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সিয়ে চেন হুয়া বলেন , ২০০৮ সাল হবে চীনের একাদশ পাঁচ শালা পরিকল্পনার জ্বালানী সাশ্রয় ও দূষণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য করার গুরুত্বপূর্ণ বছর । আমাদের অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালাতে হবে , যাতে এ বছর জ্বালানী সাশ্রয় ও দূষণ কমানোর মান গত বছরের চেয়ে বাড়ে।