v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-03 20:18:17    
সি আর আই বাংলাদেশের কোন বেতারের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে?

cri

    বগুড়া জেলার শ্রোতা মিলন আহমেদ তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে প্রধান খাদ্য কি? উত্তরে বলছি, চীনের প্রধান খাদ্য হল চাল ও ময়দা। দক্ষিণ চীনে প্রধানতধান চাষ করা হয় এবং উত্তর চীনে প্রধানত গম চাষ করা হয়। কিন্তু উত্তর চীনে ধানও চাষ করা হয় । উত্তর চীনের চাল খেতে দক্ষিণ চীনের চালের চাইতে সুস্বাদু। সুতরাং দক্ষিণ চীনা লোক চাল খেতো পছন্দ করেন এবং উত্তর চীনা লোক ময়দা তৈরী খাবার খেতে পছন্দ করেন।

    জামালপুর জেলার শ্রোতা সাইফুল আল এমরাল তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, সি আর আই বাংলাদেশের কোন বেতারের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে? উত্তরে বলছি, বতর্মানে বাংলাদেশের কোন বেতারের সঙ্গে সি আর আইএর যোগাযোগ নেই। কিন্তু ভবিষ্যতে হয়তো দু'পক্ষের মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রের সহযোগিতা চালানো হবে। বাংলাদেশের জাতীয় বেতারের সঙ্গে সি আর আইএর বাংলা বিভাগের সহযোগিতা চালানোর পরিকল্পনাও আছে। আমরা ভাবছি, যদি সি আর আইএর বাংলা বিভাগের সংবাদদাতারা বাংলাদেশের বেতারে প্রশক্ষিণ নিতে পারেন হাহলে তাদের জন্যে খুব উপকার হয়। গত কয়েক বছর ধরে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যে আমরা যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছি। অবশ্যই এখন পযর্ন্ত এ ব্যাপারে বাস্তব ফলাফল অর্জিত হয়নি। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের এই আশা-আকাংক্ষা বাস্তবায়িত হবে।

    রাজশাহী জেলার শ্রোতা মাসুম আলি তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে বন সম্পদ কেমন? উত্তরে বলছি, মাটি আর জলবায়ুর বিভিন্নতার কারণে চীনে অজস্র ধরনের গাছ জন্মায়। উত্তর-পূর্ব চীনে, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম চীনে, দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে ও দক্ষিণ চীনে চারটি প্রধান বনাঞ্চল অবস্থিত। এগুলোর মধ্যে উত্তর-পূর্ব চণের বনাঞ্চল আয়তনে বৃহত্তম, এবং সবচেয়ে বেশি কাঠ সেখান থেকে পাওয়া যায়। উত্তর চীন ও উত্তর-পশ্চিম চীনে বন-সম্পদ কিছুটা কম। উত্তর চীনের বনাঞ্চল প্রধানত শানসি প্রদেশের লুইয়াম ল্যুলিয়াং পবর্ত ও হোবেই প্রদেশের ইয়ানশান অঞ্চলে অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সারা চীনে ব্যাপক গণ-পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ তত্পরতা চালানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছুটা সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কিন্তু চীনে বনীকরণের হার পৃথিবীর গড়পরতা হারের চেয়ে কম। তা ছাড়া সারা চীনে বনাঞ্চলগুলো সুসম দূরত্বে অবস্থিত নয়। যেমন, উত্তরপশ্চিম চীনে ও উত্তর চীনের উত্তরাংশে ও উত্তর-পূর্ব চীনের পশ্চিমাংশে ত্রিশ কোটি একরেরও বেশী বালি আর পাথরের মরুভূমি । মরুভূমি কারণে শুল্ক জলবায়ু , মরুঝড়, এবং জল ও ভূমির বিলোপ এই অঞ্চলের চাষের জমি ও ধাসের জমির গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। বনাঞ্চলগুলো রক্ষা করার জন্যে ও আরো তাড়াতাড়ি বনীকরণ সম্পন্ন করার জন্যে ১৯৭৯ সালে চীনে আরণ্য আইন জারী করা হয়েছে।

    কুমিলা জেলার শ্রোতা রফিকুল ইসলাম তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের সবচেয়ে বড় মসজিদের নাম কি? উত্তরে বলছি, সিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের এটিলোয় মসজিদ চীনের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এটিলোয় শব্দ উইগুর ভাষায় সমাবেশের জায়গা। এই বড় মসজিদ দক্ষিণ শিনজিয়াংয়ে অবস্থিত। মসজিদের আয়তন ১৬ হাজার ৮শো বগর্কিলোমিটার । প্রত্যেক দিন বিভিন্ন জায়গার মুসলমান ঔ মসজিদে নামাজ পড়তে যান।

     শ্রোতা বন্ধুরা, এতক্ষণ শুনলেন আমাদের প্রত্যেক বুধবারের বিশেষ অনুষ্ঠান 'মুখোমুখি" । অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগে, আপনাদের জন্য একটি প্রশ্ন। প্রশ্নটি হল, চীনের প্রধান খাদ্য কি? আবার বলছি , চীনের প্রধান খাদ্য কি? আমাদের সঙ্গে থেকে অনুষ্ঠানটি শোনার জন্যে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে।

    ভারতের পশ্চিম বঙ্গে বুরডওয়ান জেলার শ্রোতা সুকুমার মাজহি তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, নোবেলজয়ী ড: মুহাম্মুদ ইউনুস সাহেবের কত তারিখে জন্ম এবং কোথায়? উত্তরে বলছি, ১৯৪০ সালের ২৮ জুন ড: মুহম্মুদ ইউনুস বাংলাদেশের চট্টগ্রামের একটি হীরা প্রক্রিয়াকরণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ইনস্টিটিউটে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ডাকটার ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তাঁর সৃষ্ট গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্ব বিখ্যাত। বিশ্বের ৬০টিরও বেশী দেশে গ্রামীণ ব্যাংক স্থাপিত হয়েছে। এ সব গ্রামীণ ব্যাংক স্থানীয় গরিবদের জন্যে বিরাট অবদান রেখেছে।