ইউনান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব ফিরোজ আহমেদ বলেছেন, "ইউনান হচ্ছে চীনে বাংলাদেশের সঙ্গে সবচেয়ে কাছে একটি প্রদেশ। কয়েক বছর আগে কুনমিং থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইট সপ্তাহে চারটি ছিল। বর্তমানে তা সপ্তাহে সাতটি হয়েছে। আপনি ঢাকার ফুল বাজারে গিয়ে দেখবেন, সেখানে শ্রেষ্ঠ মানের ফুলগুলো সবই কুনমিং থেকে বিমান করে নেয়া হয়। বাংলাদেশের বাজারে অধিকাংশ চীনের পণ্য কুনমিং থেকে আসা।"
মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তোলা ছবি
বাংলাদেশ ছাড়া কুনমিং বাণিজ্য মেলায় ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল ও আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দক্ষিণ এশিয় দেশের ব্যবসায়ীও যোগ দেন। যেমন ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌরাভ শর্মা ভারতের ঐতিহ্যিক হস্তশিল্প, কাপড় চোপড় নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন, যদিও তিনি একজন ছোট ব্যবসায়ী, তবে তিনি একটানা তিন বছর ধরে কুনমিং বাণিজ্য মেলায় আসছেন। তিনি সুন্দর কুনমিং দেখতে চান, তাঁর পণ্য প্রদর্শন করতে চান। তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বিনিময় জোরদার করা এবং তথ্য অর্জন করা।
কুনমিং বাণিজ্য মেলায় দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখে ইউনান প্রদেশের সমাজ বিজ্ঞান মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কুনমিং বাণিজ্য মেলাকে "চীন-সার্ক মেলায়" পরিণত করলে এর উন্নয়নের স্থান আরো বিস্তীর্ণ হবে।
ইউনান প্রদেশের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমির দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক চেন লি চু বলেছেন, ২০০৩ সালে চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক মূল্য ১২.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। ২০০৬ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ৩৪.৭২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছেছে। এর মধ্যে ইউনান প্রদেশ ও গোটা দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর বাণিজ্যিক মূল্য ৯ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছে। এর ভিত্তিতে যদি কুনমিংয়ে "চীন-সার্ক মেলা" প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি সরাসরি সেতু স্থাপিত হবে।
1 2
|