v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-07 21:58:08    
বাংলাদেশের পরিবেশ সাংবাদিক টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার আবু দারদা জোবায়েরের সাক্ষাত্কারের প্রথম অংশ

cri

    প্রঃ আপনার চীন সফরের উদ্দেশ্য কি ছিল?

    উঃ এশিয়া প্যাসিফিক ফোরাম অব এনভায়রনমেন্ট জার্নালিস্ট এর কংগ্রেসে যোগ দেয়ার জন্য চীন গিয়েছিলাম। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পরিবেশ সাংবাদিকদের কংগ্রেস হয়েছিল গণ চীনের সবচেয়ে সুন্দর শহর শেন ঝেন সিটিতে। সেখানে আমি ৩ দিন ছিলাম। খুবই সুন্দর একটি কংগ্রেস হয়েছিল। সেই কংগ্রেসে চীনের পরিবেশ সাংবাদিক, সরকারী কর্মকর্তা ও ছাত্ররা আমাদের যেভাবে সহযোগিতা করেছে, আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি খুব মুগ্ধ হয়েছি।

    প্রঃ সম্মেলনে যোগ দিয়ে কী অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার?

    উঃ সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত হয়েছি। অত্যন্ত সুন্দর ইকোলোজিক্যাল ব্যালেন্স যে সিটিতে থাকে সেখানে এ সম্মেলন হয় এ থেকে আমি বেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমার কাছে আবারও প্রমানিত হয়েছে যে গণ চীনের মানুষ বাংলাদেশের মানুষকে অনেক ভালোবাসে।

    প্রঃ আপনিতো শেন ঝেন শহর ও কোয়াংচৌ শহর ঘুরেছেন। গণ মাধ্যম ছাড়া এই যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিশ্চয়ই কথা হয়েছে। মত বিনিময় হয়েছে। গণ চীনের সাধারণ মানুষের বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা কী?

    উঃ আসলে গণ চীনের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসে। আমি সাংবাদিক ছাড়াও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে খুবই আশাবাদী। বাংলাদেশের মানুষকে তারা ভালোবাসে। গণ চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় একটি অংশীদার। তারা চায় বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে উঠুক, এটা আমি লক্ষ্য করেছি।

    প্রঃ আপনি বললেন যে শেনঝেন শহর পরিবেশ বান্ধব শহর। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, গণ চীন একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, বাংলাদেশও একটি ঘন বসতিপূর্ণ দেশ। যদিও বাংলাদেশ গণ চীনের চেয়েও আরো বেশি ঘনবসতি পূর্ণ। সে ক্ষেত্রে চীন কীভাবে ইকোলজিক্যাল ব্যালেন্স রক্ষা করে তাদের শহরসহ সকল স্থাপনা নির্মাণ করছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গণ চীনের কাছ থেকে কী অভিজ্ঞতা নিতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

    উঃ নিশ্চয়ই গণ চীনের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। গণ চীনের যে ষ্ট্রাকচারাল ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে অর্থাত্ পরিবেশ নষ্ট না করে, গাছ না কেটে যেভাবে তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের সেখান থেকে শেখার আছে। তাদের প্রযুক্তি, তাদের ম্যানপাওয়ার , তাদের ডিসিপ্লিন সবকিছু থেকেই শেখার আছে।

    প্রঃ আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনি জানেন যে, গণ চীনে ১৩০ কোটিরও বেশি লোক রয়েছে। সব মানুষ কিন্তু কাজ করছে, যারা কর্মক্ষম। বাংলাদেশ বা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের চিত্র কিন্তু এ রকম নয়। যেমন আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে অধিকাংশ মেয়ে কাজ করছে। এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন।

    উঃ অবশ্যই, আমরা যদি উন্নয়নের কথা চিন্তা করি এবং বলি তাহলে আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে পুরুষের একার কাজ দিয়ে পুরোপুরি উন্নয়ন হবে না। জনসংখ্যার বিশাল একটি জনগোষ্ঠি নারী। অগ্রসর অথচ কর্মক্ষম এই নারীকে আমরা যদি আমাদের কাজের সাথে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করতে পারি গণ চীনের মত তবে আমরা আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আরো এগিয়ে যেতে পারবো। এ ক্ষেত্রে গণ চীনকে অবশ্যই একটি মডেল হিসেবে দেখতে পারি।