প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে একটি বিশেষ ঘোষণা। চলতি বছরের শেষ বারের জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। এবারের "মিলন পেইচিং অলিম্পিক গেমস --২০০৮ " সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতা চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ১ মে পযর্ন্ত চলতে থাকবে। এবারের জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার জন্যে আমাদের অনুষ্ঠানে পর পর চাঁরটি প্রতিবন্ধ প্রচার করা হবে। এ চারটি প্রবন্ধ মুখোমুখি অনুষ্ঠানে প্রচার করা হবে। তাই আগামী সপ্তাহ থেকে আমাদের এই মুখোমুখি অনুষ্ঠানে এ চাঁরটি প্রবন্ধের প্রচার শুরু হবে। আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে এ পাঁচটি প্রবন্ধপুনরায় প্রচার করা হবে। এ চাঁরটি প্রবন্ধের মধ্যে আমরা মোট দশটি প্রশ্ন তুলবো। সুতরাং প্রশ্নগুলো যাতে নিভূর্লভাবে উত্তর দিতে পারেন সেই জন্যে আপনাদেরকে মনোযোগের সঙ্গে আমাদের অনুষ্ঠানটি শুনতে হবে। এবারের প্রতিযোগিতায়সারা বিশ্বের শ্রোতাদের মধ্যে বেশ কয়েক জন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর পুরস্কার নির্বাচন করা হবে। প্রথম শ্রেণী পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে আবার আট জন বিশেষ পুরস্কার বিজয়ীকে নিবার্চন করা হবে। যারা এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তারা সকলেই একটি স্মারক পত্র পাবে । প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীদের জন্যে একটি সনদ পত্র একটি উপহার পাবেন। যারা বিশেষ পুরুস্কার পান তাদেরকে আগামী বছরের জুন মাসে দশ দিনব্যাপী পেইচিং সফরের আমন্ত্রণ পাবেন। তখন পেইচিংএ স্মারক কার্প ও সনদ পত্র প্রদান করা হবে। পেইচিং সফরকালে তারা পেইচিং অলিম্পিক গেমসের বিভিন্ন স্টেডিয়াম ও জেমনেজিয়াম পরিদর্শন করবেন। তা ছাড়া, তারা চীনের বিখ্যাত ক্রীড়াদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। আশা করি, আপনারা সক্রিয়ভাবে আমাদের এই জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। আপনাদের ভাল ভাগ্যের কামনা করি। ঘোষণাটি শেষ হল।
এখন কয়েক জন শ্রোতার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।
বাংলাদেশের চুয়াদাংগা জেলার শ্রোতা ফসরুল হক তাঁর চিঠিতে চীনের ক্রীড়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তিনি জিজ্ঞেস করেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চীন লক্ষ্যণীয় সাফল্য অজর্ন করেছে। চীন কেমনভাবে এ ক্ষেত্রে এত বিরাট সাফল্য অজর্ন করেছে? এখন এ সম্পর্কে কিছু বলবো। গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে সরকার শরীরচর্চা, ব্যায়াম ও খেলাধুলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উন্নতি ও প্রসারের জন্যে এ-সম্পর্কে নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রীয় পরিষদের অধীনে রাষ্ট্রীয় শরীরচর্চা ও ক্রীড়া কমিশন গঠন করা হয়েছিল। বিভিন্ন অঞ্চলে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার কাজকর্ম পরিচালনার জন্যে বিভিন্ন প্রদেশ, শহর, স্বায়ত্তশাসিত এলাকা ও জেলায়ও এমনি শরীরচর্চা ও ক্রীড়া কমিশন সক্রিয় রয়েছে। চীনের বিভিন্ন প্রদেশ , শহর ও অঞ্চলে নিজ নিজ ক্রীড়া ফেডারেশন আছে। বিভিন্ন ক্রীড়া স্কুলে তরুণ-তরুণীরা নানা ইভেন্টের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সে সব স্কুলে মেধাবী ও সম্ভবনাপূর্ণ ক্রীড়াবিদকে তৈরী করা হয়। প্রত্যেক বছর সারা চীন দেশে নানা পযার্য়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সাধারণতঃ পাঁচ বছর পর পর একবার জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চীনের বিভিন্ন ক্রীড়া দলের ক্রীড়াবিদ এ সব প্রতিযোগিতা থেকে নিবার্চন করা হয় । গত বিশ বছরে চীনের অথর্নীতির দ্রুত উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রে চীন সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে। এ জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ক্রীড়া মান ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চীনা ক্রীড়াবিদরা ভাল নৈপূণ্য দেখিয়েছেন। এখন ক্রীড়া ক্ষেত্রে চীন বিশ্বের একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া, চীন সরকার সব সময় গণ স্বাস্থ্য চর্চার দিকে গুরুত্ব দেয়। চীনা জনগণ সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ক্রীড়া চর্চায় যোগ দেয়। রোজ প্রত্যুষে হাজার হাজার চীনবাসী সার্ধারণতঃ পার্কে, খেলার মযদানে, নিজেদের বাড়ীর উঠানে, নদীর পাড়ে অথবা রাস্তার ধারে শরীর চর্চা করেন।
|