v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-23 19:09:50    
চীনের  গাড়ি শিল্পে উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়ছে

cri
    বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে চীনের গাড়ি শিল্পেরদ্রুত প্রসারেরপ্রবণতা বজায় রয়েছে । বিশেষ করে এক বিংশশতাব্দীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত চীনের নিজস্ব মেধাস্বত্ব অধিকার ও নিজস্ব ব্র্যান্ডেরগাড়ির উত্পাদনেরপরিমাণ দ্রুত বেড়ে চলেছে । চীনের যন্ত্রপাতি শিল্প ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান চাং সিয়াওইয়ু ২৩ অক্টোবর পেইচিংয়ে বলেছেন , চীনের গাড়ি শিল্পে উদ্বাবনী ক্ষমতা ক্রমাগত বাড়ছে । এর পাশাপাশি নিজের সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে তৈরী জ্বালানী শক্তি সাশ্রয় ও পরিবেশ সুরক্ষার মাধ্যমেগাড়ি শিল্পউন্নয়নেরজন্য চীন ধারাবাহিকভাবে নীতি ও ব্যবস্থা প্রণয়ন করছে।

    এক বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত চীনের গাড়ি উত্পাদনেরপরিমাণ বছরে ২৫ শতাংশ করে বেড়েছে । ২০০৬ সালে চীনের গাড়ি উত্পাদনের পরিমাণ ছিল ৭২ লাখ । যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পর বিশ্বে চীনের স্থান তৃতীয় ।

    এক সাক্ষাত্কারে চীনের যন্ত্রপাতি শিল্প ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান চাং সিয়াওইয়ু বলেছেন , বিগত কয়েক বছরে গাড়ি শিল্পউন্নয়নের প্রক্রিয়ায় চীন বরাবরই উদ্ভাবনী ক্ষমতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে এবং নীতি ও মূলধন সহ নানা দিক থেকে গাড়ি শিল্প প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম এমন শক্তিপূর্ণ বুনিয়াদী কৌশল ও বৈদ্যুতিক কৌশলের গবেষণায় বিরাট সমর্থন দিয়ে আসছে । গাড়ি শিল্পে উদ্ভাবনীর দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে । তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিশেষ করে গত তিন চার বছরে চীনের গাড়ি শিল্প উদ্ভাবনীতে কয়েকটি বড় সাফল্য এসেছে । যে সব গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি আগে আমরা আয়ত্ত করতে পারিনা সেগুলো এখন আয়ত্তে এসেছে । যেমন ইঞ্জিন, গিয়ারবক্স এবং গাড়ির কিছু বৈদ্যুতিক খুচরা যন্ত্রাংশ।

    চীনের ১ নম্বর গাড়ি শিল্প গ্রুপ সবসময় স্বয়ংসম্পূর্ণভাবেউদ্ভাবনের চেষ্টা করে আসছে ।২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ নম্বর গাড়ি কোম্পানি ৫৮ জাতের কয়েকশ' ধরণের গাড়ি গবেষণা ও উত্পাদনে ৭০০ কোটি রেনমিনপি বিনিয়োগ করেছে এবং ১৮০টি পেটেন্টের আবেদন জানিয়েছে ।

    ১ নম্বর গাড়ি কোম্পানির মহা ব্যাপস্থাপক চু ইয়েনফোং বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আমাদের উত্পাদন আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছেছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত১ নম্বর গাড়ি গ্রুপ নিজের উদ্ভাবনীক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ১৩ বিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ করবে । যাতে আমাদের সফ্টওয়্যার গবেষণার মান আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছায়।

    চাং সিয়াওইয়ু বলেন , বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে চীনের নিজস্ব মেধাসত্ত্ব অধিকার ও ব্র্যান্ডগাড়ি বিশ্ব বাজারে কোটার ৮০ শতাংশ অর্জন করতে পেরেছে । ছোটো গাড়ি করেছে ৩০ শতাংশ ।

    একই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের গাড়ি সমাদর পেয়েছে । ২০০০ সালের তুলনায় গত বছর চীনের গাড়ির রপ্তানি ১০গুণ বেশি ছিল । এই সব গাড়ি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে রপ্তানি হয়েছে ।

    তাসত্ত্বেওউন্নয়নের প্রক্রিয়ায় চীনের গাড়ি শিল্প এখনো নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে । মিঃ চাং সিয়াওইয়ু বলেন , পরিবেশ রক্ষা ও জ্বালানী শক্তি সাশ্রয় ধরণের গাড়ি উন্নয়নের জন্য সরকার ধারাবাহিক সুবিধা দেবে এবং আর্থিক সাহায্য দেবে । তিনি বলেন, সরকার বিক্রয় ও ব্যবহার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক কর ব্যবস্থা দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কর বিষয়ক সাধারণ ব্যুরো বিস্তারিতভাবে প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থা প্রণয়ন করছে ।

    মিঃ চাং বলেন , ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চীন নতুন জ্বালানী শক্তি চালিত গাড়ির গবেষণা ও উত্পাদনে ১.৫ বিলিয়ন রেনমিনপি বরাদ্দ করবে । ২০১০ সালে সারা চীনের গাড়ির দূষিত পদার্থনিঃসরণ মোটামুটিভাবে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে দাঁড়াবে । --চুং শাওলি