পেইচিংয়ে অনুষ্ঠেয় চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৫ অক্টোবরের ১৭তম জাতীয় কংগ্রেসের দিকে প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণ মাধ্যম, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি , পন্ডিত ও বিশেষজ্ঞরা ।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের স্পীকার হ্যান্স গার্ট পোটারিং সম্প্রতি গণ মাধ্যককে বলেছেন, আসন্ন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৭তম জাতীয় কংগ্রেস কেবল যে চীনের জন্য এক বড় ঘটনা তা নয়, বরং বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি চীনের বিরাট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গত বিশ বছরে বিশ্ব উন্নয়নের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঘটনা বলে মনে করেন। তাঁর মতে, বিশ্বের উষ্ণায়ন প্রতিরোধসহ বহু ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা দরকার। ফলে তিনি আশা করেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আসন্ন ১৭তম জাতীয় কংগ্রেস এ ধরনের সহযোগিতা ত্বরান্বিত করবে।
বৃটেনের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক চাং ইয়োং নিয়েন সম্প্রতি এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৭তম জাতীয় কংগ্রেসের আগে বিদেশী গণ মাধ্যমগুলো চীনে নেতৃত্বের পরিবর্তন নিয়ে নানা রকম পূর্বাভাস দিয়ে এলেও বর্তমানে তাদের দৃষ্টিভঙ্গী বদলেছে। তিনি বলেন, এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ "ব্যক্তির" চেয়ে "ঘটনার" ওপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। কারণ গত পাঁচ বছরে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃমন্ডলী নানা নতুন নীতি চালু করেছে। নতুন নীতিগুলো সবই "ব্যক্তি কেন্দ্রিক" নয়, "ঘটনা" কেন্দ্রিক।
সম্প্রতি পর্তুগালের লুসা বার্তা সংস্থার এক প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৭তম জাতীয় কংগ্রেস পরবর্তী পাঁচ বছরে চীনের রাজনৈতিক নকশা নির্ধারণ করবে। এর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে "উন্নয়নের বিজ্ঞানসমত্ত তত্ত্ব" এবং "সুষম সমাজ" চিন্তাধারা বাস্তবায়ন করা, যাতে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবধান কমানো যায় এবং পরিবেশের সুরক্ষা জোরদার করা যায়। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|