v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-11 20:40:45    
জ্বালানী সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে চীনের প্রাথমিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে

cri
  জ্বালানী সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানো সম্পর্কিত নানা নীতি ও ভুমিকা পালনের পাশাপাশি চীনের অভ্যন্তরীণ মোট উত্পাদনমূল্যের বিপরীতে জ্বালানি-ব্যবহার গত বছর থেকে দ্রুত কমছে। পরিবেশ অবনতির প্রবণতাও কমেছে।

  জ্বালানি ও সম্পদ সাশ্রয় এবং পরিবেশ সুরক্ষারকাজ করার  জন্য বর্তমানে সারা চীনে প্রতিটি নাগরিক  ও প্রতিটি পরিবারকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ জন্য এক মাস আগে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী চেন পেইইয়েন বলেছিলেন,আমি থাইহু হ্রদ , চাও হু হ্রদ ও তিয়েনছি হ্রদ সহ চীনের সবচেয়ে দূষিত তিনটি  হ্রদ এবং  আমাদের দেশের সবকটি  বড় নদীর পক্ষ থেকে প্রতিটি ইউনিট , প্রতিটি  পরিবার এবং প্রতিটি নাগরিকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম যে , আসুন আমরা এখন  থেকে  জ্বালানি সাশ্রয় এবং পরিবেশ রক্ষার কাজ শুরু করি । 

  চীন সরকার  নানা মাধ্যমে, নানা পদ্ধতিতেজনসাধারণের কাছে জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করছে । নাগরিকদেরকে এক মাসে একদিন করে গাড়ি না চালানো এবং অন্ততএকবার হাত দিয়ে কাপড় ধোঁয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। তাছাড়া চীন সরকার মদ্যপায়ীদেরকে মাসে ৫০০ গ্রাম মদ কম খাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে । যাতে ৪০০গ্রাম কয়লা সাশ্রয় করা যায় । 

  গত কয়েক বছরে চীনের অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সম্পদ ও পরিবেশের মধ্যে দ্বন্দ্বপ্রকট হয়ে উঠেছে ।  এই অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য ২০০৩ সালে চীন  উন্নয়ন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তত্ব উত্থাপন করে । দু'বছর পর সম্পদ সাশ্রয়ী ও  বন্ধুভাবাপন্ন সমাজ গড়ে তোলার কথা উত্থাপন করে এবং  গত বছর জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানোর  মধ্যকালীন লক্ষ্য পেশ করে । এই মধ্যকালীন লক্ষ্য অনুযায়ী ২০১০ সালে সারা চীনে অভ্যন্তরীণ  মোট উত্পাদন মূল্যের বিপরীতে জ্বালানি ব্যয় ২০০৫ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ কমবে । প্রধান প্রধান দূষিত পদার্থের মোটনিঃসরণ ১০ শতাংশ কমবে । 

  এবছরের প্রথমার্ধে চীন ৫৫ লাখ কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুত উত্পাদন করতে সক্ষম ক্ষুদ্র তাপ বিদ্যুত উত্পাদন কেন্দ্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ টন উত্পাদনক্ষম লোহারকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে । 

  চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা বিশেষ করে  সেই বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারাজ্বালানি সাশ্রয় ও  নিঃসরণ কমানোর  গুরুত্বদিনদিন উপলব্ধি করছেন । চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের রাষ্ট্রেরমালিকানাধীন  সম্পদ  তত্ত্বাবধান  ও তদারকী কমিটির মহা পরিচালক লি রোংরোং বলেছেন, তারা রাষ্ট্রীয়মালিকানাধীন  বৃহদাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ  কাজের ওপর কড়াকড়ি নজর রাখবে  এবং পুরস্কারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক  ব্যবস্থা নেবে । তিনি বলেন, নির্ধারিত করা প্রধান প্রধান শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তার প্রতিটি উত্পাদনে ব্যবহার্যজ্বালানি ও পানি এবং নিঃসৃত  দূষণের মাত্রাইতিহাসের সবচেয়ে ভাল পর্যায়ে আনতে হবে । তিন ভাগের এক ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের  জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ আন্তর্জাতিক মানে  উন্নীত করতে হবে । 

  জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কাজের গুরুত্ব আরোপ করার সঙ্গেসঙ্গে চীনের স্থানীয় কর্মকর্তারা   উন্নয়ন সম্পর্কে নিজেদের ধারণা পরিবর্তন করতে শুরু করেন । সানসি প্রদেশের ল্যুলিয়াং শহরের মেয়র  তুং হোংইয়ুন বলেছেন ,একটি অনুন্নত অঞ্চল হিসেবে  ল্যুলিয়াং নিজের অর্থনীতির উন্নতিকরার ইচ্ছা খুব প্রবল। পরিবেশ দূষণ করার কারণে  কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উত্পাদন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ।  সত্যি কথা , স্থানীয় কর্মকর্তা হিসেবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মতোই আমারও কষ্টলাগে । কিন্তু শহরের ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য  এই সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়া অত্যন্ত জরুরি। 

  এখন এই সব ব্যবস্থা চালু হওয়ায় সাফল্য আসতে শুরু করেছে।  চীনের পরিবেশ অবনতির প্রবণতা কিছুটা কমেছে ।  এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে ,  চীনের মোট উত্পাদনমূল্যের বিপরীতে জ্বালানি ব্যয় ২০০৩ সালের পর প্রথমবারের মতো কমেছে। প্রধান প্রধানদূষিতপদার্থের নিঃসরণ কমতে শুরু করেছে ।