v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-28 18:56:01    
ষষ্ঠ ছ'পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলন পেইচিংয়ে শুরু

cri
    কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত ষষ্ঠ বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলন ২৭ সেপ্টেম্বর পেইচিংয়ে শুরু হয়েছে । বৈঠের ছয় পক্ষ অর্থাত্ চীন , উত্তর কোরিয়া , দক্ষিণ কোরিয়া , যুক্তরাষ্ট্র , জাপান ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নিয়েছে ।

    ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের উপপরাষ্ট্রমন্ত্রী, চীনের প্রতিনিধি দলের নেতা উ তা উয়েই চীন সরকারের পক্ষ থেকে অন্য পাঁচ পক্ষের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বর্তমান সম্মেলনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন , বর্তমান সম্মেলন ছ'পক্ষীয় বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন । তার প্রধান কর্তব্য হল পরবর্তী পর্যায়ের কার্যক্রম নির্ধারণ করা ।

    ২০০৩ সালের আগষ্ট মাস থেকে এখন পর্যন্তকোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা সম্পর্কে মোট ছয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে । এ বছরের মার্চ মাসে ষষ্ঠ বৈঠকের প্রথম পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । জুলাই মাসে ছয় পক্ষের প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় । উ তা উয়েই বলেছেন , ছ'পক্ষের প্রতিনিধি দলের নেতাদের মতৈক্য অনুসারে ছয়পক্ষীয় বৈঠকের পাঁচটি কর্মগ্রুপের অধিবেশনও অনুষ্ঠিত হয় । অধিবেশনগুলোতে পাঁচটি কর্মগ্রুপের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । বৈঠকের ছয় পক্ষ অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বার বার মতবিনিময় করেছে । আগের পাঁচদফা বৈঠকের মতো ষষ্ঠ বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলনও নানা চ্যালেঞ্জেরসম্মুখীন হচ্ছে । চীনের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর সহকারী প্রফেসর লিউ ওয়েই তুং বলেছেন ষষ্ঠ বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলনের প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো উত্তর কোরিয়ার পরমাণু স্থাপনার অকার্যকরণ বাস্তবায়নের প্রযুক্তি। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই দাবী করছে যে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু স্থাপনাকে চুড়ান্তভাবে অকার্যকর করা উচিত । এ ক্ষেত্রে ছয়পক্ষের মধ্যে মত বিরোধ আছে । দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হল উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরিকল্পনা। এ ক্ষেত্রে দু'টি প্রধান সমস্যা হল উত্তর কোরিয়ার হাতে ইউরেনিয়াম ঘনিভুতকরণ পরিকল্পনা আছে কিনা এবং বিদ্যমান পরমাণু অস্ত্র কীভাবে ধ্বংস করা যায়। তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হল উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের সম্প্রসারন সমস্যা আর সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ হল উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরিত্যাগ করার ক্ষতি পূরণ । এ জন্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রের প্রতিশ্রুতি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দুটোই নির্ধারণ করতে হবে ।

    যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া সম্মেলনের আগে জানিয়েছে , বর্তমান সম্মেলন বৈঠকের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক । তারা সম্মেলনের আগে ঘন ঘন মতবিনিময় করেছ । চীনের আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গবেষণাগারের সহকারী প্রফেসর সুন রু বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উত্তর কোরিয়ার পরমাণু স্থাপনার নিবন্ধন ও অকার্যকরণ ক্ষেত্রে অগ্রগতি। বুশ সরকার আশা করে কোরিয় পরমাণু সমস্যার আশু নিষ্পত্তি হবে । মার্কিন সরকার চায় এ বছরের আগে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু স্থাপনার নিবন্ধন সম্পন্ন হবে এবং ২০০৮ সালে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সমস্যার সার্বিক নিষ্পত্তি হবে । উত্তর কোরিয়ার পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী দেশগুলোর নামের তালিকা থেকে উত্তর কোরিয়ার নাম বাদ দেয়া এবং উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিতঅর্থনৈতিক শাস্তি বাতিল করা ।

    উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য চার পক্ষও বর্তমান সম্মেলনের ওপর গুরুত্ব দেয় । চীনের প্রতিনিধি দলের নেতা উ তা ওয়েই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন , আমি আশা করি বিভিন্ন পক্ষ পারস্পরিক কল্যাণ ও অভিন্ন বিজয়ের কথা বিবেচনা করে বর্তমান সম্মেলনে মতবিনিময়ের মাধ্যমে কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত মতানৈক্য দূর করার চেষ্টা করবে এবং ছয়পক্ষীয় বৈঠককে এক নতুন পর্যায়ে উন্নীত করবে ।