v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-26 16:51:18    
বাংলা বিভাগের সাবেক বিশেষজ্ঞ ইলিয়াস খানের সাক্ষাত্কারের দ্বিতীয় অংশ

cri

    প্রঃ আপনিতো আমাদের এখানে কাজ করেছেন। আমি আশা করি, ভবিষ্যতেও আপনি সবসময় আমাদের সি আর আই এর ওপর একটু জোর দেবেন এবং একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক হিসেবে আপনার মতামত আমাদের সরাসরি জানাবেন। যাতে আমাদের অনুষ্ঠান আরো উন্নত করা যায়। আমরা এতক্ষণ চাকরি সম্পর্কে কিছু কথা বলেছি। এখন অন্য কথায় আসি। চীনে চাকরির পাশাপাশি কোথাও আপনি বেড়াতে গিয়েছেন? এবং যাত্রা পথে কোন মজার ঘটনা ঘটেছে কি?

    উঃ আমরা ছেলেবেলায় পড়েছি, চীনের মহাপ্রাচীরের কথা। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আমার সারা জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল মহাপ্রাচীরে কখনো যদি উঠতে পারি। আমাদের ভূগোল কণ্ঠতে, আমার স্পষ্ট মনে আছে, মহাপ্রাচীরের কথা ছিল এবং চীনের চেয়ারম্যান মাও সে তুং , যাকে আধুনিক চীনের জনক বলা হয়, তিনি বলেছেন যে, এই দেয়ালের ওপর যারা উঠতে পারে তারাই প্রকৃত বীর। আসলেই প্রকৃত বীর। আমার প্রথমেই সেই টার্গেট ছিল যে কখন গ্রেট ওয়াল দেখতে যাবো। এবং সে সুযোগও হয়েছে, আমি আসার পরে অক্টোবরে জাতীয় দিবসের ছুটিতেই। আমি প্রথম গ্রেট ওয়াল দেখতে গিয়েছিলাম পাতালিংয়ে। কারণ এখন সবাই পাতালিং যায়। আমি গিয়েছিলাম বেইজিং-এর বাইরে হোবেই প্রদেশের একটি গ্রেট ওয়াল দেখতে। ওখানে আমার চমত্কার অনুভূতি। ওখানে ক্যাবল কার ছিল। তখন আমার চেয়ারম্যান মাওয়ের ঐ কথাটিই মনে পড়ছিল যে, আমাকে গ্রেট ওয়াল পার হতে হবে। গ্রেট ওয়ালের চূড়ায় উঠতে হবে। আমি ৩/৪ ঘন্টা হেটে উপরে উঠে আনন্দে আত্ম হারা হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল পৃথিবীর সপ্ত আশ্চর্যের একটিতে এখন আমি আছি। মজার স্মৃতির কথা বললে, স্মৃতির অভাব নেই, চীনে এসে অনেক চমত্কার অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক মানুষের সঙ্গ পেয়েছি। নাম বলতে গিয়ে নানা সময় নানা সমস্যা হয়েছে। কারণ চীনের মানুষ আমেরিকান উচ্চারণ করে, আমাদের উপমহাদেশে করে বৃটিশ উচ্চারণ, সুতরাং ইংলিশ বললেও অনেক সময় কমিউনিকেট করা টাফ হয়ে চায়। চীনের মানুষের ভালো দিক হচ্ছে, তারা মাতৃ ভাষাকে এত সম্মান দিয়েছে যে, সব জিনিসের একটি চীনা নাম আছে। এটা খুব ভালো। মজার স্মৃতি বলতে আমি গ্রেট ওয়ালে যখন যাচ্ছিলাম রাস্তা চিনছিলাম না, তখন আমি গ্রেট ওয়াল বলছিলাম। তো আমি যাকে জিজ্ঞেস করছিলাম, তারা বুঝতে পারছিলেন না। পরে আমি চায়নীজ বলেছি ছাং চেন।

    প্রঃ তখন আপনি কি একাই ছিলেন?

    উঃ না। আমার বন্ধু ছিলেন। ওরাও ভালো। আমার দু'জন পাকিস্তানী বন্ধু ছিলেন। আর এক বাঙালি বন্ধু ছিলেন। একজন আমেরিকান বন্ধু ছিলেন এবং একজন ডেনমার্কের বন্ধু ছিলেন। যাই হোক যাওয়ার পথে ওরাতো ইংলিরেজিতে বলছিল, তখন আমার এক কলিগের কাছ থেকে নাম লিখে নিয়েছিলাম ছাং চেন। কিন্তু আমি তো চীনা উচ্চারণ আপনাদের মত করতে পারি না।

    প্রঃ এর আসল উচ্চারণ হচ্ছে ছাং চেন, ছাং চেন।

    উঃ রাইট, তখন এক ভদ্রলোক ও ভদ্র মহিলা যাচ্ছিলেন রাস্তার পাশ দিয়ে, আমরা গাড়ী থামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তারা অনেক ক্ষণ চিন্তা করলেন। কিন্তু তারা এত হেল্পফুল এবং অনেক লোক জড়ো হয়ে গেছে কী ভাবে আমাকে হেল্প করবে। আমি গ্রেট ওয়াল বলছিলাম, বুঝতে পারছিলেন না। কারণ যাদের জিজ্ঞেস করেছি , তারা ভালো ইংরেজী জানে না এবং ছাং চেন বলার পরও বুঝতে পারছেন না। তখন আমি বডি ল্যাংগোয়েজ দিয়ে বোঝালাম।

    প্রঃ ছাং চেন বডি ল্যাংগোয়েজ দিয়ে বর্ণনা করা যায়?

    উঃ না, বডি ল্যাগোয়েজ মানে হাত দিয়ে আমি দেখাচ্ছিলাম যে এ রকম এ রকম উঁচু নীচু।

    প্রঃ তারা বুঝতে পেরেছিলেন কি?

    উঃ হ্যাঁ তারা বুঝতে পেরেছেন এবং আমাদের খুব সহযোগিতা করেছেন। এটা একটা মজার স্মৃতি বলা যায়। এ রকম আরো অনেক স্মৃতি আছে।

    প্রঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

    উঃ এই সুযোগে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতার এবং আমার কর্মস্থল চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগকেও ধন্যবাদ এবং আমার সকল সহকর্মী যাদের সঙ্গে আমি গত এক বছর খুব চমত্কার পরিবেশে কাজ করেছি তাদেরকেও ধন্যবাদ। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)