v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-21 21:14:52    
চীনের ২০০৭ সালের পররাষ্ট্র বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশিত

cri

    "চীনের ২০০৭ সালের পররাষ্ট্র বিষয়ক শ্বেতপত্র"আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে । চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়রসম্পাদিত এই শ্বেতপত্রে ২০০৬ সালে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবস্থা এবং পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে চীনের নতুন ধারণা বর্ণনা করা হয়েছে । শ্বেতপত্রটির প্রকাশ বাইরের দোশুলোরওদৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ।

    এ পর্যন্ত প্রতি বছর " চীনের পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখা" শীর্ষক বই প্রকাশিত হয় । পরে বইটি " চীনের কূটনীতি" নামে প্রকাশিত হয় এবং ২০০৪ সাল থেকে এটি শ্বেতপত্র নামে প্রকাশিত হচ্ছে । ২০ সেপ্টেম্বর রাতে " চীনের কূটনীতি--২০০৭" শীর্ষক শ্বেতপত্র উত্তর পশ্চিম চীনের সিনচিয়াংয়ের উরুমচি শহরে প্রকাশিত হয় । প্রকাশনাঅনুষ্ঠানে সম্পাদনা বিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নীতি গবেষণাগারের উপপরিচালক ইয়াং ইউমিং বইটির মর্মবস্তু বর্ণনা করেছেন । তিনি বলেন ,গত বর্ষে নানা ক্ষেত্রেচীনের পররাষ্ট্রনীতি , আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে চীনের মতামত , যে দেশগুলোর সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে সে সব দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে চীনের সম্পর্কবইটিতে ধারাবাহিক ও পরিপূর্ণভাবে বর্ণনা করা হয়েছে । তাছাড়া বইটিতে চীনের কূটনৈতিক চুক্তি , আইন , তথ্য ও কাউন্সিলের কাজ এবং গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক কার্যক্রম এবং কূটনৈতিক দলিল ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।

    " চীনের কূটনীতি"--২০০৭ শীর্ষক শ্বেতপত্রে ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে চীনের অভিমত ব্যাখ্যা করা হয়েছে । চীন মনে করে , ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে । আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পুনর্বিন্যাস দিনদিন জোরাদার হচ্ছে । আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো বিকাশ লাভ করে চলেছে । বড় দেশগুলোর মধ্যেকার সহযোগিতা ও সমন্বয় বেড়েছে । তবে স্পর্শকাতর সমস্যা বাড়ছে । আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল ও প্রকট হয়েছে । বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক কার্যক্রম সক্রিয়হয়েছে ।আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর দুর্বলশক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রভাব বেড়ে গেছে । বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়ন বেগবান হয়েছে । তবে উন্নয়নের ভারসাম্যহীনতা তীব্রতর হয়েছে ।

    আশেপাশের প্রতিবেশী দেশ, বড় দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কসহ সাতটি দিক নিয়ে শ্বেতপত্রে সারসংকলন করা হয়েছে । গত বছর চীন-মার্কিন সম্পর্কের উন্নয়ন সম্পর্কে চীনের মূল্যায়ন আন্তর্জাতিক বিশ্বকেআকৃষ্ট করেছে । শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে , ২০০৬ সালে চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে এবং নতুন অগ্রগতি হয়েছে । এ বছরে দুদেশের নেতারা বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন। ২১ শতাব্দীতে দুদেশের গঠনমূলক ও সহযোগিতার সম্পর্ককে সার্বিকক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করার জন্য দুপক্ষের মধ্যেগুরুত্বপূর্ণ ঐক্যমত্যহয়েছে । এ সম্পর্কে মিঃ ইয়াং ইউমিং বলেন , "শ্বেতপত্রটি ২০০৬ সালে চীন-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়নে বলেছে , ২০০৬ সালে চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বিকাশ লাভ করেছে । এ বছর এই সম্পর্ক গত বছরের উন্নয়নপথ বেয়ে আরও স্থিতিশীলভাবে এগিয়ে যাবে ।

    শ্বেতপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়েছে , চীন ও রাশিয়ার এবং চীন ও ইউরোপের কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারীত্বের সম্পর্ক সার্বিকভাবে বিকাশ লাভ করেছে । চীন -জাপান সম্পর্ক অচলাবস্থা ভেঙ্গে স্বাভাবিকভাবে উন্নয়নের পথ বেয়ে অগ্রসর হয়েছে ।

    পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউটের প্রফেসর চু ফোং বলেছেন , সুষম বিশ্ব প্রতিষ্ঠাকে তরান্বিত করা চীনের কূটনৈতিক কার্যক্রমের একটি লক্ষ্যনীয় ও প্রধান বিষয়ে পরিণত হয়েছে । এতে সার্বিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে , জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীনের আধুনিক কূটনীতি নিজের গতিপথ নিয়ন্ত্রণে এনেছে । যার ফলে দায়িত্বশীল বড় দেশ হিসেবে চীনের মৌলিক আস্থা সুদৃঢ় হয়েছে ।

    চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিযেসি শ্বেতপত্রের পটভূমিতে লিখেছেন , আমি বিশ্বাস করি , শ্বেতপত্রটি এই সংকেত প্রকাশ করবে যে , শান্তিকামী চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের অকৃত্রিম বন্ধু ও সাথী ।