বগুড়া জেলার শ্রোতা মো: আনওয়ার ইকবাল তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কতগুলি সিনেমা বছরে মুক্তি পায়? চীনে সিনেমা হলের সংখ্যা কত? উত্তরে বলছি, সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর চীনে মোট কয়েক শোটি সিনেমা তৈরী করা হয়েছে। চীনে কয়েকটি সিনেমা কারখানা আছে। সবচেয়ে পুরারন সিনেমা কারখানা হল, ছাংছুয়েন সিনেমা কারখানা, সাংহাই সিনেমা কারখানা, পেইচিং সিনেমা কারখানা, সিআন সিনেমা কারখানা, ওমে সিনেমা কারখানা, গণ ফৌজের পয়লা অগাষ্ট সিনেমা কারখানা। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন। কারণ এ সম্পর্কে এখন পযর্ন্ত কোন তথ্য প্রকাশিত হয়নি। সারা চীনদেশের সিনেমা হলের সংখ্যা হিসাব করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। কিন্তু আমার জানা মতে, কেবল রাজধানী পেইচিংএ প্রায় পঞ্চশটি সিনেমা হল আছে। সুতরাং আপনার এই প্রশ্নের সঠিকভাবে উত্তর না পারার জন্য দু:খিত।
নরসিংদী জেলার শ্রোতা মো: হোসাইন মুসা তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনে বেতার লাইসেন্স করার কোন নিয়ম নীতি আছে কি? যদি থাকে তা কোথায় থেকে করতে হয় আর লাইসেন্স না করলে কি সমস্যা হয়? উত্তরে বলছি, আপনারা জানেন, চীন একটি সমাজতান্ত্রীক দেশ। চীনের সমস্ত বেতার সরকারী, কোন বে-সরকারী বেতার নেই। চীনে কেন্দ্রীয় সরকারের বেতার ছাড়া, প্রত্যেক প্রদেশে, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে এমনকি প্রত্যেক জেলায় নিজস্ব বেতার আছে।সুতরাং লাইসেন্সের কোন প্রয়োজন নেই। চীনে ব্যক্তিগত বেতার স্থাপন করা অবৈধ।
কিশোরগন্ঞ্জ জেলার শ্রোতা এম এইচ মাহবুবুর রহমান টিটু তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের বৃহত্তম কয়লা খনির নাম কি?এটি কোথায় অবস্থিত? আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে চীনের কয়লা শিল্প সম্বন্ধে কিছু বণর্নান করবো। কয়লা চীনের প্রধান জ্বালানী । চীনের কয়লা সম্পদের সিংহভাগই মজুদ রয়েছে উত্তর চীনের ভুগর্তে। কয়লা সমৃদ্ধ শানসী প্রদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চলে কয়লার অত্যন্ত পুরু স্তর বিকরাজ করছে। এর বেশীর ভাগই বিটুবিমাস কয়লা। চীনেই প্রথম কয়লার আবিষ্কার হয়েছিল এবং ব্যবহার শুংরু হয়েছিল। খৃষ্ট-পূর্ব দুশো সালে এখনকার জিয়াংসী প্রদেশে নানছাং শহরের আশেপাশে কয়লা পাওয়া গিয়েছিল বলে ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়। খৃষ্টিয় সপ্তম শতাব্দীতে চীনে ধাতু আকরিক চালাই-কাজে কয়লার ব্যবহার চালু হয়েছিল। কিন্তু পরুনো চীনে কয়লা শিল্প কেন্দ্রীভূত ছিল লিয়াওনিং, শানসী ও হোবেই প্রদেশে। বিশাল অভ্যন্তরীণ ভূভাগে কয়লা খনি ছিল খুবই কম। কতকগুলো প্রদেশে কয়লা নিষ্কাশনের আদৌ কোনো ব্যবস্থা ছিল না। নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কয়লা শিল্পের দ্রুত উন্নতি হয়েছে। সাবা চীনদেশে বড় ও মাঝানি ধরনের ৯০০টি কয়লা খাদ কাটা হয়েছে। এমনকি তিব্বতেও কয়লার সন্ধ্যান পাওয়া গেছে এবং বতর্মানে নিষ্কাশনের কাজ চলছে। চীনে এ সব কয়লা খনির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত কয়লা খনি হল শানসি প্রদেশের দাডং কয়লা খনি। এই কয়লা খনির কয়লার গুণগতমান সবচেয়ে ভাল। জানা গেছে, চীনের লোহা ও ইস্পাত কারখানার ব্যবহৃত কয়লা দাডং কয়লা খনির কয়লা। তা ছাড়া চীনের হোবেই প্রদেশের ডাংসান কয়লা খনি চীনের বৃহত্তম কয়লাঘাঁটিগূলোগুলোর আন্যতম।
শিলেট জেলার শ্রোতা জীতেন্দ্র নাথ শীল তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনরে সবচেয়ে বিখ্যাত পাহাড়ের কি? উত্তরে বলছি, চীনে অজস্র বড় বড় পাহাড় আছে। অনেক পাহাড় দৃশ্যস্থানীয় একালায় পরিণত হয়েছে। যেমন আনহুয়ে প্রদেশে অবস্থিত হওয়াংসেন পাহাড়, সানডং প্রদেশে অবস্থিত থাইসেন পাহাড় চীনের বিখ্যাত পযর্টন স্থান। এ দু'টো পাহাড়ের দৃশ্য খুবই সুন্দর। সুতরাং এ দু'টো পাহাড় চীনের সবচেয়ে বিখ্যাত পাহাড় বলে গণ্য করা হয়।
|