v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-13 20:50:22    
চীন জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক  উন্নয়নের আরো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে

cri
    জাপান সফররত চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান চিয়া ছিন লিন ১৩ সেপ্টেম্বর বলেছেন , চীন-জাপান মৈত্রী ব্রতকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে , দুদেশের কৌশলগত ও কল্যাণমূলক সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করে তুলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীল প্রসার নিশ্চিত করতে হবে । জাপানের জাপান-চীন মৈত্রী সংক্রান্ত সাতটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত একটি অভ্যর্থনানুষ্ঠানে জিয়া চিন লিন এ কথা বলেছেন । এই সাতটি মৈত্রী সংগঠন হল জাপান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উন্নয়ন সমিতি , জাপান-চীন মৈত্রী সংসদ সদস্য সংঘ , জাপান-চীন সাংস্কৃতিক বিনিময় সমিতি , জাপান-চীন অর্থনৈতিক সমিতি , জাপান-চীন সমিতি ও জাপান-চীন মৈত্রী ভবন । অভর্থনানুষ্ঠানে চেয়ারম্যান জিয়া ছিং লিন ' চীন-জাপান মৈত্রীর নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করুন ' নামে এক ভাষণ দিয়েছেন । তিনি তার ভাষণে প্রথমে চীন ও জাপানের মধ্যে কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩৫বছরে অর্জিত সাফল্যের উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন । তিনি বলেছেন , চীন ও জাপানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে । এটা দুটি দেশ ও দুদেশের জনগণের জন্য বাস্তব স্বার্থ এনে দিয়েছে এবং এশিয়া তথা বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে সক্রিয় অবদান রেখেছে ।

    চীন-জাপান সম্পর্ক এখন এক নতুন পর্যায়ে রয়েছে । গত বছরের অক্টোবর মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে সিনজো চীন সফর করেছেন এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মতৈক্যে পৌঁছেছেন । তার চীন সফর করায় চীন-জাপান সম্পর্কের অচলাবস্থার নিরসন হয়েছে । কাজেই অনেকে আবে সিনজোর চীন সফরকে বরফ ভাঙ্গার যাত্রা বলে অভিহিত করেন । এ বছরের এপ্রিল মাসে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও জাপান সফর করেছেন । গণ মাধ্যমগুলো ওয়েন চিয়া পাওয়ের জাপান সফরকেও বরফ গলার যাত্রা বলে চিহ্নিত করেছে ।

   চিয়া ছিন লিন বলেছেন , দুটি দেশের নেতৃবৃন্দের ঘন ঘন মতবিনিময়ের ফলে চীন ও জাপান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, বংশপরমপরায় মৈত্রীর সম্পর্ক বজায় রাখা , পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে সহযোগিতা বাড়ানো এবং অভিন্ন উন্নয়ন নিশ্চিত ক্ষেত্রে দুটি দেশ একমত হয়েছে । সফরবিনিময়ের মাধ্যমে দু'দেশের সম্পর্ককে পারস্পরিক কল্যাণে ভিত্তি হিসেবে কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে ।

    অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে জাপান-চীন মৈত্রী সমিতির চেয়ারম্যান হিরায়ামা ইকুও বলেছেন , জাপান ও চীনের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্ক এশিয়া তথা বিশ্ব শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তিনি বলেছেন , প্রধানমন্ত্রী আবে সিনজোর পদত্যাগ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রসারে প্রতিকূল প্রভাব ফেলবে না । তিনি বলেছেন , যদিও আবে সিনজো পদত্যাগ করেছেন , তবু আমি বিশ্বাস করি , পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই জাপান-চীন সম্পর্কের অনুকূলেই কাজ করবেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রসারে গুরুত্ব দিবেন।

    চীন-জাপান সম্পর্কের প্রসারে প্রতিকূলে উপাদান এখনও রয়েছে। ইতিহাস থেকে বর্তানো সমস্যাগুলো এবং তাইওয়ান প্রণালীর পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন সমস্যার এখনও সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি হয়নি । চিয়া ছিং লিন বলেছেন , চীন -জাপান সম্পর্ক উন্নয়নে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দুটোই বিদ্যমান রয়েছে । চীন -জাপান সম্পর্কের তিনটি ভিত্তি মজবুত করার জন্য দু'পক্ষকে মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে । চিয়া ছিন লিন বলেছেন , চীন -জাপান সম্পর্কের প্রথম ভিত্তি হল রাজনৈতিক ভিত্তি। চীন-জাপান যুক্ত বিবৃতিসহ তিনটি রাজনৈতিক দলিল দুদেশের সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি । এ তিনটি দলিল অনুসারে দুদেশের সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে । দ্বিতীয় ভিত্তি হল অর্থনৈতিক ভিত্তি । জ্বালানী শক্তি , পরিবেশ রক্ষা , অর্থ ও উন্নত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দু দেশের সহযোগিতা আরো বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে । তৃতীয় ভিত্তি হল সামাজিক ভিত্তি । আমি আশা করি দুদেশের সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রের সফরবিনিময় ও সাংস্কৃতিক আদান -প্রদান বাড়ানোর ব্যবস্থা নেবে । চিয়া ছিন লিন বলেছেন , চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচল থাকবে । চীনের উন্নয়ন অন্য দেশের স্বার্থের ক্ষতি করবে না ।