v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-12 16:57:33    
কাজী আমিনুল ইসলামের সাক্ষাত্কারের দ্বিতীয় অংশ

cri
    প্রঃ এবারে আপনারা কি বেইজিংয়ের বাইরে কোন উপজাতি এলাকায় গিয়েছেন?

    উঃ আমাদের এই ডেলিগেশন চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশ কিছু দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান চীনের যে সমস্ত কার্যক্রম রয়েছে তা দেখেছেন এবং ঐ সব কার্যক্রমের মাধ্যমে কী ভাবে চীনের সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছে? কী ভাবে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পৃক্ত হয়েছেন সেই বিষয়টি দেখেছে এবং এসব কার্যক্রমের ফলে কী করে মানুষের দারিদ্র থেকে উত্তরণ হচ্ছে সে বিষয়টিও আমাদের এই ডেলিগেশনের দেখার সুযোগ হয়েছে।

    প্রঃ তাহলে চীনের সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আপনাদের আলোচনায় কোন বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে কি?

    উঃ আমরা ষ্টেট কাউন্সিলের দারিদ্র দূরীকরণ এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত গ্রুপ চায়নীজ একাডেমী অব সোস্যাল সাইন্সের ইনস্টিটিউট অব রুরাল ডেভেলপমেন্টের ষ্টেট এথনিক এফেয়ার্স কমিশন; এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আমি মনে করি অত্যন্ত সফল আলোচনা হয়েছে। তাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা বাংলাদেশে গিয়েছেন এবং তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমরাও তাদেরকে পুনর্বার বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা মনে করি যে, দুটি দেশের দারিদ্র দূরীকরণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার সম্মিলনের ফলে সামনের দিনগুলোতে উভয় দেশই দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে আরো বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবে।

    প্রঃ ভবিষ্যতে এই ধরনের মত বিনিময় কি নিয়মিতভাবে হবে?

    উঃ আমরা আশা করছি, নিয়মিতভাবে হবে। সেজন্যই আমরা এদেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

    প্রঃ এবারে আপনাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জনগণের উপকারে লাগবে কি?

    উঃ অবশ্যই। আমরা প্রত্যাশা করছি যে আমাদের যে পারষ্পরিক অভিজ্ঞতা হয়েছে তার আলোকে দু'দেশই দারিদ্র দুরীকরণ কর্মসূচীকে আরো কার্যকর করতে পারব।

    প্রঃ এবার যেহেতু আপনার প্রথম চীন সফর। চীনে এসে আপনার কেমন লাগছে? কোন কোন স্থান ভ্রমণ করেছেন?

    উঃ আমি বেইজিং এবং এর আশেপাশের এলাকা ভ্রমণ করেছি। তিয়ান আন মেন, ফরবিডেন সিটি ও গ্রেটওয়াল দেখেছি। তবে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আমাকে মুগ্ধ করেছে সেটি হল এ দেশের মানুষের উষ্ণ আতিথেয়তা এবং তাদের বন্ধুসুলভ মনোভাব। এবং এই আতিথেয়তা ও বন্ধুত্বের হিরম্ময় স্মৃতি নিয়ে আমি বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছি।

    প্রঃ আমি একটি ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে চাই। চীনে আসার আগে আপনার কি কোন ব্যক্তিগত চীনা বন্ধু ছিল?

    উঃ আমার চীনে আসার আগে কোন বন্ধু ছিল না, কিন্তু যাবার সময় অনেক বন্ধু হয়েছে।

    প্রঃ ঢাকা-কুনমিং সরাসরি বিমান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দু'দেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে, এই বিষয়টিকে আপনি কী ভাবে দেখেন?

    উঃ অত্যন্ত ভাল একটি প্রশ্ন করেছেন। বিষয়টি চীন, ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, ঢাকা-কুনমিং সড়ক যোগাযোগ চালু হলে এসব দেশের জন্য উন্নয়নের অবস্থা সৃষ্টি হবে। যা সামগ্রিকভাবে এসব দেশের বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জন্য অপার সম্ভাবনার দুবার খুলে দেবে। ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা এই সব দেশের মধ্যে পিপল টু পিপল অর্থাত্ জনগণের মধ্যে যে সংযোগ তা দেখতে পাবো। কিছুকাল পূর্বে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট তথ্য ও উপাত্ত বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের এ রিপোর্টটি উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রস্তাবিত এই যে সড়ক ঢাকা-কুনমিং সড়কের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া জাগিয়ে তোলার জন্য এই সড়কে একটি কার র‌্যালি আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করা যায়, এই সড়ক নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সকল দেশ একযোগে কাজ করবে।

    প্রঃ এবার আপনি আসার সময় কোন এয়ারলাইন্সের বিমানে এসেছেন?

    উঃ চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স।

    প্রঃ চীন বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নয়নে আপনার কোন পরামর্শ আছে কি?

    উঃ দেখুন, বাংলাদেশ এবং চীনের যে বন্ধুত্ব এটা দীর্ঘ সময়ের প্রতিষ্ঠিত। এই দুটি দেশের সরকারের মধ্যে যেমন সম্পর্ক রয়েছে তেমনি রয়েছে দু'দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক। এবং এই সম্পর্ক বহুমাত্রিক। আর এই গভীর বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ককে আরো নিবিড় করার জন্য বাংলাদেশের রয়েছে আগ্রহ এবং উদ্যোগ। আমি মনে করি, সেটা অব্যাহত থাকবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এবং অব্যাহত থাকবে চীনের পক্ষ থেকে।

    প্রঃ আমাদের বেতার আপনার কেমন লেগেছে? একটু বলবেন কি?

    উঃ আমি খুবই আশাম্বিত হয়েছি যে, এ রকম একটি প্রতিষ্ঠান যারা বাংলা ভাষী, সারা পৃথিবীর বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর চীনের সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসা , কৌতুহল, তার জবাব দিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্ববাসীকে চীনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। এবং বাংলা ভাষাভাষী মানুষের যোগাযোগকে আরো নিবিড় করছে, সম্পর্ককে আরো গভীর করছে। সে জন্য আমি অত্যন্ত আশাম্বিত হয়েছি, আনন্দিত হয়েছে।

    প্রঃ ধন্যবাদ, আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে পারবে।

    উঃ অবশ্যই।

    প্রঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আশা করি, ভবিষ্যতে বেইজিং-এ আবার দেখা হবে।

    উঃ আমাকে এখানে আসার এবং কিছু বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।  

(ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)