v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-10 18:48:53    
প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের অষ্ট্রেলিয়া সফর সফল হয়েছে

cri
    ৩ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও অষ্ট্রেলিয়ায় আনুষ্ঠানিক সফর করেছেন এবং সিডনীতে অনুষ্ঠিত এপেকের নেতৃবৃন্দের পঞ্চদশ অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন । চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিয়ে ছি বলেছেন , প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের বর্তমান সফর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সপ্তদশ জাতীয় কংগ্রেসের আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ কুটনৈতিক কর্মসূচী । এ সফর চীন ও অষ্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে ।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিয়ে ছি অষ্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে আসার পথে সাংবাদিকের এক সাক্ষাত্কার দিয়েছেন । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের বর্তমান সফর সম্পর্কে তিনি বলেছেন , প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও সফরকালে মোট ৪০টি দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সুফল পেয়েছেন । তিনি অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন এবং চীন - অষ্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করেছেন ।

    তিনি বলেছেন , প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ও অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড মিলিতভাবে চীন-অষ্ট্রেলিয়া কৌশলগত সংলাপ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছেন এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন ও জ্বালানী সমস্যা সম্পর্কিত এক যুক্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছেন । সফরকালে দু দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য , জ্বালানী শক্তি , আইন ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ।

    প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের বর্তমান সফরের আরেকটি কর্মসূচী হলো এপেকের নেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে অংশ নেয়া । ইয়াং চিয়ে ছি বলেছেন , হু চিন থাওয়ের সফরের দ্বিতীয় সাফল্য হলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা বাড়ানো এবং চীনের প্রস্তাব পেশ করা । হু চিন থাও সম্মেলন চলাকালে বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যায় চীনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন । আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে বর্তমান সম্মেলনের বহুল আলোচিত সমস্যা । একটি উন্নয়নশীল বড় দেশ হিসেবে চীনের অবস্থানের উপর দৃষ্টি আকৃষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক । সম্মেলনে হু চিন থাও চীন সরকারের পক্ষেচারটি প্রস্তাব পেশ করেছেন এবং এশিয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বনাঞ্চলের টেকসই পরিচালনার নেট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন । চীন সরকার এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে বাস্তব প্রস্তাব পেশ করেছে। চীনের প্রস্তাবগুলো অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দের সমর্থন ও গভীর মূল্যায়ন পেয়েছে ।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিয়ে ছি বলেছেন , বর্তমান সফরের আরেকটি সুফল হল চীনের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি প্রচার প্রচার করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমঝোতা ও আস্থা বাড়ানো হয়েছে । তিনি বলেছেন , চীন অব্যাহতভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের উন্নয়ন প্রণালী পরিবর্তন করবে , আমদানি বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাবে , মেধাস্বত্ব রক্ষার ব্যবস্থা নেবে এবং আমদানি ও রপ্তানির ভারসাম্যতা বজায় রাখার চেষ্টা চালাবে । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও জোর দিয়ে বলেছেন , চীন সরকার পণ্যদ্রব্যের গুণগতমান উন্নত করা ও খাদ্যদ্রব্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে । বৈদেশিক বাণিজ্যে পণ্যদ্রব্যের গুণগত মান উন্নত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চীন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করবে ।

    ইয়াং চিয়ে ছি বলেছেন , সফরের আরেকটি সুফল হলো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের মৈত্রী সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করে তুলেছে । সম্মেলন চলাকালে প্রসিডেন্ট হু চিন থাও এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নয়টি দেশের নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে মতৈক্যে পৌচেছেন । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বিশ্ব বাণিজ্য , আবহাওয়ার পরিবর্তন , কোরিয়া উপদ্বীপের পরমানু সমস্যা , ইরানের পরমানু সমস্যা ও সুদানের দারফুর সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ।