v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-07-25 20:06:59    
চীনে বাংলাদেশের মত কৃষি কাজ জনপ্রিয় কিনা?

cri
    বাংলাদেশের লালমনির হাট জেলার শ্রোতা মো: রাশিদুল ইসলাম রশিদ তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে বাংলাদেশের মত কৃষি কাজ জনপ্রিয় কিনা? কত শতাংশ লোক কৃষি কাজে জড়িত? শ্রোতা বন্ধু , আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যে চীনের ইতিহাস নিয়ে কিছুটা কথা বলতে হবে। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যেসব দেশে কৃষির প্রচলন হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে একটি হলো চীনদেশ। যেসব জায়গায় নব্য-প্রস্তরযুগের লুপ্তাবশেষ পাওয়া গেছে সেইসব জায়গায় প্রত্নতত্ববিদরা নানা ধরনের শস্য ও কৃষির হাতিয়ারের নির্দশন আবিস্কার করেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, হোমুদু সংস্কৃতিক লুপ্তাবশেষে প্রচুর ধান ও ধানচাষের হাতিয়ার , যেমন, হাড়ের আর আদিম ধরনের কাঠের লাঙল পাওয়া গিয়েছে। এসব বস্তু প্রায় সাত হাজার বছর আগেকার। সীআন শহরের বানপো গ্রামে ও যেংযৌ শহরের ডাহো গ্রামে বিপুল পরিমাণে অঙ্গারীভূত জোয়ার ও সরগামের দানা পাওয়া গেছে । এগুলো চাঁর হাজার বছরেরও বেশি আগেকার নিদর্শন। এমনি আরো অনেক নিদর্শন থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, চার হাজার থেকে সাত হাজার বছর আগেই চীনাদের পূর্বপুরুষরা হুয়াংহো অববাহিকায়, ইয়াংসি অববাহিকায় এবং দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার ধান, জোয়ার ও সরগাম চাষ করতো। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র থেকে জানা যায় যে, জলসেচ প্রণালী, কৃষির হাতিয়ার তৈরী, চাষাবাদের পন্থা, জমির উন্নয়ন এবং গাছের রোগ-প্রতিরোধে ও কীটনাশক কৌশলে প্রাচীন চীন প্রচুর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিল। কৃষি-উত্পাদনে অতীতকালের অনেক অভিজ্ঞতা এখনকার চাষাবাদেও কার্যকর বলে প্রতিপন্ন হয়েছে। চীন একটি কৃষি প্রধান দেশ। আশি শতাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। এখানে উল্লেখ্য যে, বতর্মানে চীনে শহরাঞ্চল আর গ্রামাঞ্চলের মধ্যে বেশী ব্যবধান রয়েছে। আবার উপকূলীয় অঞ্চল আর পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে কৃষকদের জীবনযাপনের ব্যবস্থাও পার্থক্যও বেশী। চীনের উপকূলীয় অঞ্চল উন্নত আর পশ্চিমাঞ্চল অনুন্নত। কিন্তু চীনের পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের জন্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন সরকার প্রবন পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রত্যেক বছর পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নে বিপুল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেছে। তা ছাড়া, উপকূলীয় অঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ বেড়েছে এবং সহযোহিতা জোরদার হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে চীনের পশ্চিমাঞ্চলে কৃষকের জীবন ধারনের মান অনেক উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    গোপালগঞ্জ জেলার শ্রোতা সিফা খানম (shefa khanum) তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়ামের নাম কি? প্রিয় বন্ধু, আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া একটু কঠিন। কেননা ,চীন একটি বিরাট দেশ। প্রত্যেক শহরে ফুটবল স্টেডিয়াম আছে। বিশেষ করে পেইচিং , সাংহাই, কুওয়াংযৌ ইত্যাদি বড় বড় শহরে যে সব ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মান করা হয়েছে সে সব স্টেডিয়ামের আকার প্রায় একই। এগুলো স্টেডিয়ামের মধ্যে সাংহাই স্টেডিয়াম সবচেয়ে আধিনিক এবং পেইচিংএর শ্রমিক স্টেডিয়াম সবচেয়ে পুরাতন। তবে, পেইচিংয়ের ওলিম্পিক পল্লীতে নিমার্নরতফুটবল স্টেডিয়াম নি:সন্দেহে সারা চীনের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হবে।