v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-06-21 15:08:48    
চীনের জাতীয় পতাকার ডিজাইন কে করেছিলেন?

cri

    বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার শ্রোতা সকাল আহমেদ শাহীন তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনের জাতীয় পতাকার ডিজাইন কে করেছিলেন? উত্তরে বলছি, চীনের জাতীয় পতাকা ব্যাপক জনসাধারণের অংশগ্রহণেরভিত্তিতে ডিজাইন নির্বাচন করা হয়। নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রাক্কালে অথার্ত ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে চীনা জনগণের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনে সারা দেশ থেকে জাতীয় পতাকার নকশা সংগ্রহ করা হয়। কয়েক মাসের মধ্যে মোট ২৯৯২টি ডিজাইন পাওয়া যায়। এর মধ্য থেকে সাংহাইএর জেন লিয়েন সনের নকশা গ্রহণ করা হয়। তিনি ছিলেন তত্কালীণ সাংহাই অর্থনীতি সংস্থার একজন কর্মচারী। তিনি চীনের জেচিয়াং প্রদেশে জন্ম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করেন। এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, একটি জিনিস বা লোককে প্রত্যাশা করার উদ্বেগজনক মনের ব্যাখা করার জন্যে চীনে জনসাধারণের মধ্যে প্রচলিত একটি কথা রয়েছে। এই কথা হল, যেন আকাশের তারা আর চাঁদকে প্রত্যাশা করা। চীনের কমিউনিষ্ট পাটিকে নয়া চীনের ত্রাণকর্তা বলে মনে করা হয়। সুতরাং যখন তিনি জাতীয় পতাকা ডিজাইন করতে শুরু করেন তখন তাঁর মনে পড়ে কারতার কথা। আপনারা জানেন, চীনের জাতীয় পতাকা লাল ও সমচতুর্ভুজ। লাল রং বিপ্লবের প্রতীক। পাঁচ হলুদ তারকা চীনের কমিউনিষ্ট পাটির নেতৃত্বে জনগণের মহা ঐক্যের প্রতীক। হলুদ রং চীনের বিশাল ভুখন্ডের উজ্জ্বলতার প্রতীক। সবর্প্রথম পাঁচ তারকা খচিত লাল পতাকা উত্তোলিত হয় ১৯৪৯ সালের ১লা অক্টোবর তারিখে নয়া চীন প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে থিয়ান আন মেন ময়দানের মঞ্চে।

    বাংলাদেশের বগুড়া জেলার এম মিনহাজ উদ্দিন বিপুল তাঁর চিঠিতে দুটো প্রশ্ন করেছেন। প্রথমটি হল, চীনের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরীর নাম কি? চীনের মোট আয়তন কত? এখন প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। চীনের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরীর নাম চীনের রাষ্ট্রীয় লাইব্রেরী। পেইচিং শহরের পশ্চিম উপকন্ঠে এই লাইব্রেরী অবস্থিত। এই লাইব্রেরীর আগের নাম ছিল পেইচিং লাইব্রেরী। চীনের প্রয়াত্ত প্রধান মন্ত্রী চো এন লাইর নিদের্শে ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের রাষ্ট্রীয় লাইব্রেরীর নির্মান কাজ শুরু হয়। ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই নিমার্ন কাজ শেষ হয়। চীনের প্রয়াত নেতা তেং শিও পিন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট চিয়াং ছেন মিন যথাক্রমে এই লাইব্রেরীর অভিলেখন লিখেছেন। এই লাইব্রেরীতে ২ কোটি সংস্করণ বই আছে। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। চীনদেশ পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। রাশিয়া ও ক্যানাডার পরই চীনের স্থান। চীনের স্থলভাগের মোট আয়তন ৯৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার ।

    বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার শ্রোতা মো: সাজ্জাদ হোসেন তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, বতর্মানে চীনে ধূমপায়ীর সংখ্যা কত? উত্তরে বলছি, একটি পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, পৃথিবীতে ১১০ কোটি ধূমপায়ীর মধ্যে ৪৬ কোটি চীনা ধূমপায়ী। চীনা ধূমপায়ীদের মধ্যে বেশির ভাগ হল কৃষক আর শ্রমিক। যারা সরকারের কর্মচারী তাদের মধ্যে ধূমপায়ীর সংখ্যা খুব কম। যেমন ধরুন, চীন আন্তর্জাতিক বেতারে ধূমপায়ীর সংখ্যা বলতে গেলে নাই। অথার্ত কখোনো দু' এক জনকে হঠাত ধূমপান করতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছরের ৩১ মে জাতি সংঘ নিধার্রিত ধূমপানমুক্ত দিবসে চীনের গণ মাধ্যমগুলোতে ধূমপান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। এক কথায়, যত বেশী সম্ভব লোককে ধূমপান থেকে বিরত থাকার জন্যে চীন সরকার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছে। ধূমপান শরীরের ক্ষতি করে এই সাধারণ জ্ঞান অনেকেই জানে। তবু্ অনেক লোক নেশার মত ধূমপান করে। যাই হোক, এখন চীনে ধূমপানের অভ্যাস বাতিল করছে এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়।