কুমিলা জেলার শ্রোতা সেলিম তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, বতর্মানে চীনের লোকসংখ্যা কত? উত্তরে বলছি, পৃথিবীতে চীনের লোকসংখ্যা সবচেয়ে বেশী। বতর্মানে চীনের লোকসংখ্যা ১৩০ কোটিরও বেশী । আশি দশকের প্রথম দিকে চীনে কড়াকড়িভাবে পরিবার পরিকল্পনা নীতি চালু করা হয়। চীনে রাষ্ট্র-পরিচালনা ও জনসাধারণের ইচ্ছা এই দুয়ের সমন্বয়ের ভিত্তিতেই পরিবার-পরিকল্পনা সংক্রান্ত কাজর্কম চলছে। বিভিন্ন বাস্তব অবস্থা অনুসারে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হয়। একটি সুত্রে জানা গেছে, পরিবার-পরিকল্পনা নীতি চালু হওয়ার পর চীনে প্রায় বিশ কোটি কম লোক জন্ম নিয়েছে। বিশ্বে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চীন বিরাট অবদান রেখেছে। সম্প্রতি চীনের সংশ্লিস্ট বিভাগের প্রকাশিত এক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল নাগাদ চীনের লোকসংখ্যা ১৩০ কোটি ৬০ লাখের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
চট্টগ্রামের শ্রোতা আব্দুলমান্নান তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে বছরে কয়ক দিন রাষ্ট্রীয় ছুটি পালিত হয়? উত্তরে বলছি, চীনে বসন্ত উত্সব, আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস, জাতীয় দিমব এবং ইংরেজি নববর্ষে ছুটি পালিত হয়। বসন্ত উত্সব , জাতীয় দিবস এবং আন্তর্জাতিকশ্রম দিবসে যথাক্রমে তিন দিনের ছুটি পালিত হয়। ইংরেজি নববর্ষে এক দিনের ছুটি পালিত হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য ইদের দিনে চীনের মুসলমানদের জন্যে তিন দিনের ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু যারা সরকারের কর্মচারি তারা কাযর্মেয়াদ অনুযায়ী প্রত্যেক বছর কয়েক দিন ছুটি উপভোগ করতে পারেন।
ঢাকা জেলার শ্রোতা এমদাদুল হক তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কয়টি ঋতু আছে? উত্তরে বলছি চীনে চাঁরটি ঋতু আছে। তবে চীনের ভূভাগ বিশাল আর ভূসংস্থান জটিল বলে এক অঞ্চলের জলবায়ুর সঙ্গে আর এক অঞ্চলের জলবায়ুর পাথর্ক্যও অনেক। গুয়াংডোং প্রদেশের দক্ষিণ চীন সাগর দ্বীপপুঞ্জ, হাইনান দ্বীপ আর লেইযৌ উপদ্বীপ এবং থাইওয়ান আর ইয়ুন্নান প্রদেশের দক্ষিণভাগ জুড়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু বিরাজমান। সারা বছরই গ্রীষ্মকালের প্রাধান্য থাকায় এই সব অঞ্চলে সবুজ
গাছগাছালির প্রাচুর্য দেখা যায়। উত্তরপুর্বের হেইলোংজিয়াং প্রদেশে গ্রীষ্মকাল সংক্ষিপ্ত আর স্নিগ্ধ, শীতকাল প্রচন্ড হিমেল। পূবের ছাংজিয়াং অববাহিকা আর হুয়াইহো অববাহিকার চারপাশের অঞ্চলগুলো উষ্ণ ও আর্দ্র, এসব অঞ্চলের ঋতিকালও সুস্পষ্টভাবে চারটে। উত্তর পশ্চিমের অন্তর্মঙ্গোলিয়া-সিনজিয়াং অঞ্চলে একই দিনের আবহাওয়ায় চরম তারতম্য হয়। এ সব সত্ত্বেও চীন প্রধানত উত্তর নাতিশীকোষ্ণ অঞ্চলে অবস্থিত এবং চীনের সুষ্পষ্টভাবে চার ঋতুতে পরপর ঠান্ডা ও গরম পড়ে, এবং পযার্য়ক্রমে উচ্চ তামাত্রা আর প্রবল বৃষ্টির মরশুমের পর নিম্ন তাপমাত্রা আর অল্প বৃষ্টির মরশুম আসে।
সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রোতা মাহমুদা সুলতানা মিতু তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কি বিনা পয়সায় শিক্ষাদান হয়? উত্তরে বলছি. চীনের সংবিধানে নির্দিষ্টআছে, চীনের প্রত্যেক নাগরিকের শিক্ষা গ্রহণের অধিকার আছে। চীনে নবম শ্রেণী পযর্ন্ত শিক্ষা বাধ্যতামূলক। বতর্মানে চীনে একেবারে বিনা পয়সায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু চীনের কোন কোন গ্রামাঞ্চলে নবম শ্রেণী পযর্ন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষার ফি মওকুফ করে দেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রীদেরকেবল কিছুটি বইয়ের মূল্য দিতে হয়।
বগুড়া জেলার শ্রোতা হোসাইন মুসা তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, বতর্মানে চীনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কত? উত্তরে বলছি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধিক থেকে অধিকত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী চীনে পড়াশুনা করতে আসে। জানা গেছে, চলতি বছর আবার ২৫জন বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী চীনে পড়াশুনা করতে আসবেন। তাঁরা সাধারণত রাজধানী পেইচিং সহ চীনের কয়েকটি বড় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুড়া করছে।
এতক্ষণ শুনলেন আমাদের প্রত্যেক বুধবারের বিশেষ অনুষ্ঠান "মুখোমুখি"। অনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার আগে আপনাদের একটি প্রশ্ন। প্রশ্নটি হল. চীনের বতর্মান প্রধান মন্ত্রীর নাম কি? আবার বলছি , চীনের বতর্মান প্রধান মন্ত্রীর নাম কি? আপনাদের চিঠিতে এই প্রশ্নের উত্তর পাঠাবেন। আমাদের সঙ্গে থেকে অনুষ্ঠানটি শোনার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।
|