কুষ্টিয়া জেলার শ্রোতা শান্ত সাহা তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের শহরগুলোতে মানুষের প্রধান যানবাহন কি? চীনে কি রিকশা আছে? উত্তরে বলছি, চীনের শহরগুলোতে মানুষের প্রধান যানবাহন হল বাস। কিন্তু রাজধানী পেইচিং এবং সাংহাইয়ের মত মহা নগরে বাস ছাড়া পাতাল রেলও শহরবাসীদের প্রধান যানবাহন। অবশ্যই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের অথর্নীতির দ্রুত উন্নয়নের ফলে অনেকেই এখন গাড়ী অধিকারী হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা নিজেদের গাড়ী পরিবহণ হিসেবে ব্যবহার করেন। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। চীনে রিকশা দেখা যায়। কিন্তু রিকশার সংখ্যা অত্যন্ত কম। সাধারণত শহরের উপকন্ঠে রিকশা দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেইচিংএর ব্যস্ত এলাকায় রিকশাও দেখা যায়। কারণ অনেক বিদেশী পযর্টক রিকশায় বসে পেইচিং শহর ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন। জানা গেছে টেক্সির চাইতে এ রিকশার ফি অনেক বেশী। এ ধরনের রিকশায় বসে বসে শহর ঘুরে বেড়ানো এক রকমের বিলাস বলে গণ্য করা হয়।
বগুড়া জেলার শ্রোতা বিশ্বনাথ সাহা তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের জাতীয় দিবস কোন তারিখ? উত্তরে বলছি, ১৯৪৯ সালের ১লা অক্টোবর নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক বছরের ১লা অক্টোবর চীনের জাতীয় দিবস। সে দিন তিয়েন আন মেন মহা চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারা দেশে তিন দিনের ছুটি দেয়া হয়।
খুলনা জেলার শ্রোতা বিভাশ মিত্র তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কয়টি প্রদেশ আছে? কোন প্রদেশ সবচেয়ে বড়? উত্তরে বলছি, প্রশাসনের প্রয়োজনে চীনকে ২৩টি প্রদেশ আর পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, এ ছাড়া আছে সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে চাঁরটি পৌর অঞ্চল। লোকসংখ্যার দিক থেকে হোনান প্রদেশ চীনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। কিন্তু আয়তনের দিক থেকে হেইলোংচিয়াং প্রদেশ চীনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ।
ঢাকা জেলার শ্রোতা সুমন সাহা শান্ত তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের সবচেয়ে উচু ভবন কোথায়? এই ভবনের নাম কি? উত্তরে বলছি, চীনের তাইওয়ানের তাইপে শহরে অবস্থিত একটি ভবনের উচ্চতা ৫০৯ মিটার। ভবনে মোট ১০১ তলা আছে। বতর্মানে এই ভবন বিশ্বের সবোর্চ্চ ভবন। চীনের মূল ভূভাগে সাংহাই শহরের ছিনমাও ভবন সবচেয়ে উচু। এই ভবনের উচ্চতা ৪২১ মিটার। ভবনে মোট ৮৮ তলা আছে।
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বধর্মান জেলার শ্রোতা সুমা রাণী সাহা তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, কোন সালে ভারত ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়? উত্তরে বলছি, ১৯৫০ সালের ১লা এপ্রিল চীন ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। অ-সমাজতান্ত্রীক দেশসমূহের মধ্যে ভারত প্রথমে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৫৪ সালে দু'দেশের প্রধান মন্ত্রীদের মধ্যে সফর বিনিময় হয়। এর পর দু'দেশের মধ্যে বিশ্ববিখ্যাত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চাশীল নীতি প্রণয়ন করা হয়। গত বছর চীন-ভারত মৈত্রী বর্ষ ছিল। এ উপলক্ষ্যে দু'দেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চীন ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী সুদীর্ঘকালের। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক আদান-প্রদান সম্প্রসারিত হয়েছে। আশা করি , ভাবিষ্যতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। দু'দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও ঘন হবে।
|