প্রঃ সেবামূলক কাজ ছাড়া অবসর সময়ে আপনার শখ কি?
উঃ আমি গান করি , গিটার বাজাই এবং মাঝে মাঝে কবিতা লিখি।
প্রঃ আমি শুনেছি চীনা ভাষায় কবিতা লিখে আপনি পুরস্কার পেয়েছেন। আপনি কি আমাদের শ্রোতাবন্ধুদের চীনা ভাষায় লেখা কবিতার বাংলা অনুবাদ শোনাবেন?
উঃ গত বছর ডিসেম্বর মাসে কবিতাটি আমি লিখেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্য চীনা ভাষায় কবিতা লেখার প্রতিযোগিতা হয়েছিল। আমি পড়ে শোনাচ্ছিঃ
"যদি স্বপ্ন থাকে তোমার মনে
কারও জন্য কিছু করবার
বলতে হবে না কাউকে কখনো
যদি করো তাহলে, দেখে নেবে
সবাই নিজের চোখেই।"
প্রঃ ভবিষ্যতে সেবামূলক কাজ করার নতুন কোন পরিকল্পনা আপনার আছে কি?
উঃ পেইচিং-এ আসার পর আমার বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে আমার ছুটি হবে। এই সময়টায় চীনের বিভিন্ন প্রদেশে ঘুরে সেসব যায়গার মানুষের কি ধরনের সমস্যা রয়েছে সে সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে আমার। আর একটি খুব বড় পরিকল্পনা , আমরা এমন দেখতে চাই যে, আমাদেরকে আর কাউকে সাহায্য করতে হচ্ছে না। সবাই ভালো আছে।
প্রঃ আপনি কিভাবে আপনার কাজের ব্যাপারে বন্ধুদের আকৃষ্ট করেন? আপনার লক্ষ্য কি?
উঃ আমাদের প্রথম ইচ্ছা হচ্ছে তহবিল সংগ্রহ করা। এ জন্য আমরা চীনের বিভিন্ন প্রদেশে বড় বড় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্ট করতে চাই। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখে শানদুতে একটি কনসার্ট হবে। সেটি একটি তিব্বতি লামার জন্য। এ রকম পুরো বছর জুড়েই হবে। চীনের বিভিন্ন স্থানে কনসার্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ব্যাপারে আমার বন্ধুরা খুব সাহায্য করছে। বিশেষ করে চীনা ভাষাটা ভালভাবে জানি না। আমার বাংলাদেশী বন্ধু রয়েছে গালিব এবং বেইজিংয়ের বন্ধু উয়ান আমাকে খুব সাহায্য করছেন। কারন ওরাঁ খুব ভাল চাইনিজ ভাষা জানেন। আমি ওদের প্রতি কৃতজ্ঞ ।
প্রঃ আপনি চীনে এসেছেন প্রায় অর্ধ বছর। কেমন লাগছে?
উঃ চীনে আসার অনেক স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। চীনে এসে খুব ভাল লাগছে। যদিও এখনো সবকিছু দেখে উঠতে পারি নি। বিশেষ করে চীনের মানুষের ভালবাসা আমার খুব ভাল লেগেছে। সব দেশের মানুষের এ রকম মানুষের প্রতি ভালোবাসা বোধ থাকা উচিত।
প্রঃ তাহলে দীর্ঘকাল চীনে থাকার ইচ্ছা আছে?
উঃ ইচ্ছা অবশ্যই আছে। তবে এটা ভবিষ্যতই বলে দিবে।
প্রঃ চীনের শীতকাল আপনার কেমন লেগেছে?
উঃ ভাল লেগেছে। প্রথম মাসটা একটু কষ্ট হয়েছে। কারণ আমরা এত শীতে অভ্যস্থ নই। তবে এখন বিষয়টি মানিয়ে গেছে। মনোরম দৃশ্য ভাল লাগছে।
প্রঃ বরফ দেখার পর আপনার অনুভুতি কি?
উঃ বরফ দেখার ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই ছিল। টেলিভিশনে তুষারপাত দেখার কারণে । উহানে প্রথম বরফ দেখি। তবে তা সামান্য। বেইজিংয়ে আসার পর বেশি। খুব ভাল লেগেছে। বিশেষ করে যখন তুষারে সবকিছু সাদা হয়ে গেছে। মনে হয়েছে সব কলুষতা ধুয়ে মুছে সাক হয়ে গেছে। পৃথিবীটা শুভ্র হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ।
|