v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-10 16:29:33    
চীনের জাতীয় সঙ্গীতের নাম কি?

cri

    বাংলাদেশের ঢাকা জেলার শ্রোতা তাসলিম আকতা লিমা তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের জাতীয় পতাকার রং লাল মানে কি? পাঁচটি তারা কিসের প্রতীক? চীনের জাতীয় সঙ্গীতের নাম কি? জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ কি? প্রিয় বন্ধু, এখন আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। ১৯৪৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অর্থাত নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বমুহূর্তে চীনা জনগণের রাজনৈতিক পরামর্শ পরিষদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে চীনের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় প্রতীক নির্ধারিত হয়। চীনের জাতীয় পতাকা লাল ও সমচতুর্ভুজ। লাল রং বিপ্লবের প্রতীক। পঞ্চ হলুদ তারকা মানে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির নেতৃত্বেজনগণের মহা ঐক্যের প্রতীক। হলুদ রং চীনের বিশাল ভূখন্ডের উজ্জ্বলতার প্রতীক। সর্বপ্রথম পঞ্চ তারকা খচিত লাল পতাকা উত্তোলিত হয় ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর তারিখে নয়া চীন প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে থিয়ান আন মেন মহা চত্বরে। চীনের জাতীয় সঙ্গীতের পুরনো নাম হল ' স্বেচ্ছাসেবীদের অভিযান'। এর রচনাকার হলেন চীনের সুপ্রসিদ্ধ নাট্যকার থিয়ান হান, আর সুর দেন সুরশিল্পী নিয়ে এর। ১৯৩৫ সালে রচিত এই গান ছিল, ' যুগের ছেলেমেয়ে' নামক তখনকার এক ছায়াছবির প্রধান সঙ্গীত। এই ছায়াছবিতে ত্রিশের দশকে জাপান চীনকে আক্রমণ করার এবং চীনাজাতির সেই সংকট মুহুর্তে চীনের বুদ্ধিজীবীদের জাপানবিরোধী প্রতিরোধ-ফ্রন্টে ঝাঁপিয়ে পড়ার কাহিনী প্রতিফলিত হয়েছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় চীনের জাপানবিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি সহানুভূতিশীল সকল দেশের জনসাধারণের মধ্যেও এই গানটি প্রচলিত ছিল। নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই গানটিকেই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। গানের শব্দ এমনি: ' জাগো, দাস হতে অনিচ্ছুক মানুষেরা। আমাদের রক্ত-মাংস দিয়ে নতুন মহাপ্রাচীর গড়ো! চীনা জাতির পরম সংকটময় মুহুর্তে, সবাই উচ্চৈ:স্বরে ডাক দেয় লড়াইয়ের তরে। জাগো , জাগো, জাগো! লক্ষ লক্ষ মানুষের এক মন এক প্রাণ, শত্রুর তোপ অগ্রাহ্য করে হও আগুয়ান। শত্রুর তোপ তুচ্ছ করে হও আগুয়ান। হও আগুয়ান! হও আগুয়ান! আগুয়ান!

    ঢাকা জেলার শ্রোতা আরিফা আলাম দোলন তাঁর চিঠিতে চীনের বিচার ব্যবস্থা এবং সর্বোচ্চ আদালত সম্পর্কেজানতে চেয়েছেন। এখন এ সম্পর্কে কিছু বর্নণা করবো। গণ আদালত হচ্ছে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের সর্বোচ্চ গণ আদালত, বিভিন্ন স্তরের

    স্থানীয় গণ আদালত ও বিশেষ গণ আদালত বিচারধিকার প্রয়োগ করে। সর্বোচ্চ গণ আদালত হচ্ছে চীনের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগ। সর্বোচ্চ গণ আদালত বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় গণ আদালত ও বিশেষ গণ আদালতের বিচার বিষয়ক কাজকর্মের তদারক করে, উচ্চতর গণ আদালত নিম্নতর গণ আদালতগুলোর বিচারসংক্রান্ত কাজর্কমের তদারক করে। সর্বোচ্চ আদালত জাতীয় গণকংগ্রেসের নিকট ও জাতীয় গণকংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির নিকট দায়ী থাকে এবং কার্যবিবরণ দাখিল করে। চীনের স্থানীয় গণ আদালতগুলো তিন স্তরে বিভক্ত। প্রদেশে, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ও কেন্দ্রশাসিত মহানগরগুলোতে আছে উচ্চ স্তরের গণ আদালত, উচ্চ স্তরের গণ আদালতের অধীনে আছে মধ্যস্তরের গণ আদালত। মধ্যস্তরের গণ আদালতগুলো সাধারণত আছে প্রদেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলগুলোর অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোতে, স্বায়ত্তশাসিত বিভাগগুলোতে ও অপেক্ষাকৃত বড় শহরগুলোতে। জেলা, সাধারণ শহর ও স্বায়ত্তশাসিত জেলাগুলোতে এবং বড় শহরের অধীনস্থ পৌরাঞ্চলোতে আছে গোড়ার স্তরের গণ আদালত। বিবিন্ন স্তরের স্থানীয় গণ আদালত যার যার স্তরের গণ কংগ্রেসের নিকট দায়ী থাকে এবং কার্যবিবরণ দাখিল করে।