v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-12-13 16:55:24    
চীন দেশে বেড়াতে যেতে হলে কি রকম খরচ পড়বে?

cri
    বগুড়া জেলার শ্রোতা মো: জিল্লুর রহমান তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীন দেশে বেড়াতে যেতে হলে কি রকম খরচ পড়বে? চীন বেতারের উপস্থাপক পদে বালাদেশীদেরকে বিভাবে আপনারা নিয়ে থাকেন? উত্তরে বলছি, বতর্মানে চীন আর বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান লাইন চালু হয়েছে। ঢাকা থেকে চীনের খুনমিং শহরে যেতে মাত্র দু ঘন্টা সময় লাগে। রিটান বিমান টিকিট হয়তো ৫ শো মার্কিন ডর্লারের মতো হয়। কিন্তু বছরের বিভিন্ন সময় বিমান টিকিটের দাম বিভিন্ন রকমের । যেমন, পযর্টন মৌসুমে সাধারণত বিমান টিকিটের দাম বেশী। অন্য সময় হয়তো রিডাকশন পাওয়া যায়। যদি আপনি সত্যিই চীনে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনি স্থানীয় পযর্টন কোম্পানির কাছ থেকে খোঁজ খবর নিতে পারেন। পযর্টন কোম্পানি এ সম্বন্ধে আপনাকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করবে। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। বতর্মানে বাংলা বিভাগের দু'জন বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ আছেন।বাংলা বিভাগে যোগ দেওয়ার আগে তাঁরা বাংলাদেশস্থা চীনা দুতাবাসের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তার পর দুতাবাস এ পরীক্ষা পত্র বাংলা বিভাগে পাঠায়। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষমতা আছে। যদি কেউ চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগে যোগ দিতে চান তাহলে তিনি বাংলাদেশস্থ চীনা দুতাবাসের কাছে আবেদন করতে পারেন। হয়তো আমরা কয়েক জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে বাছাই করবো।

    ঝিনাইদহ জেলার শ্রোতা এ, এইচ, এম গোলাম রসুল তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন , ফুটবল খেলার জন্ম কোথায়? চীনাদের কাছে ফুটবল খেলার জনপ্রিয়তা কতটুকু? এখন প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, শ্রিটন হল আধুনিক ফুটবলের উত্সস্থান। ১৮৩৫ সালে ব্রিটেনের সেফিয়েডে প্রথম ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬৩ সালের অক্টোবরে লন্ডনে ১১টি ফুটবল ক্লাবের একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অধিবেশনে একটি ফুটবল সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে বছরের নভেম্বরে একটি অধিবেশনে দেশব্যাপী একীভূত নিময় বিধান প্রণয়ন করা হয়। এ নিয়ম বিধান পৃথিবীর প্রথম ফুটবল বিধান। এই বিধানে বলা হয় যে ফুটবল মানে পা দিয়ে একটি খেলা। এমন কি গোলকিপারও হাত দিয়ে বল স্পর্শ করতে পারে না। তখন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার লোকসংখ্যা সিমাবদ্ধ করা হয় নি। পরে বড় জোর দু'পক্ষের ১৫ বা ২০জন খেলোয়াড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারত। অবশেষে কেবল ১১জন খেলোয়াড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে। ১৮৭১ সালে বিধানে নির্ধারন করা হয় যে, গোলকিপার গোলগ্যাডের ? নিকটবর্তী এলাকায় হাত দিয়ে বল প্রতিরোধ করতে পারে এবং হাত দিয়ে বল ধরতে পারে। এর পর শীঘ্রই সারা ইউরোপে ফুটবল জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তার পর সারা বিশ্বে বিশেষ করে বিশ্বের কয়েকটি শিল্পোন্নতদেশে ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা হয়ে উঠে। ১৯০০ সালে দ্বিতীয় অলিম্পিক গেমসে ফুটবল আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতার ইভেন্ট হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়। বৃষ্টিশ দল চ্যাম্পীয়নশীপচ্যাম্পীয় অর্জন করে। ১৯০৪ সালে প্যারিসে ফ্রান্স, নেদজারল্যান্ড, ব্রাজিল, স্পেন, ডেনর্মাক, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড এ সাতটি দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সে বার অধিবেশনে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে অংশ গ্রহণকারীরা ফ্রান্সের লোবেয় গেল্যাণকে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন দেয়। অধিবশনে তাঁর প্রস্তাবে ১৯০৬ সালে প্রথম বিশ্ব ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়। দুভার্গ্য হল যে, তখন পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহে অর্থনৈতিক সংকট ঘটল। সুতরাং ১৯০৫ সাল পযর্ন্ত কোন ফুটবল সমিতি এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য নাম দাখিল করেনি। নিরুপায় হয়ে সেবার প্রতিযোগিতা পরিত্যাগ করা হয়। ১৯২৮ সালে নেজারল্যান্ডের রাজধানীতে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রথম বিশ্ব ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তঅনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন চার বছরের পর পর এক বার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ।১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্ব ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সে বার প্রতিযোগিতাকে ' বিশ্ব কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা' বলা হয়। ১৮৪০ সালে আধুনিক ফুলবল চীনে প্রবেশ করে। চীনের হংকং ও সাংহাই এ দু'টো শহরে সবচেয়ে আগে এই খেলা চালু করা হয়। ১৯১০ সালে নানচিন শহরে অনুষ্ঠিত পুরাতন চীনের প্রথম জাতীয় গেমসে ফুলবল প্রতিযোগিতা ছিল। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, ফুটবল খেলা চীনা নাগরিকদের কাছে একটি জনপ্রিয় খেলা। বিশেষ করে চীনের যুবক-যুবতীরা ফুটবল খেলা খুব পছন্দ করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিভিন্ন টিভিতে মাঝেমাঝে জার্মানী, ইংগল্যান্ড সহ বিদেশের ক্লাবের ফুটবল খেলা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। চীন সরকার ফুটবলের দিকে খুব গুরুত্ব দিয়েছে।গত কয়েক বছরের চীনের ফুটবলের মান অবশ্যই কিছুটা উন্নত হয়েছে। কিন্তু দু:খের ব্যাপার হল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় এখন পযর্ন্ত চীনের ফুটবল বিশেষ করে পুরুষ ফুটবলের মান তেমন উন্নত হয়নি। এখন পযন্র্ন্ত চীনের ফুটবল দল মাত্র এক বার সিউলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় উন্নীত হয়েছিল। সুতরাং এশিয়ার একটি শক্তিশালী ফুটবল দলে পরিণত করার জন্যে চীনের ফুটবল দলকে অনেক পথ যেতে হবে।