বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার শ্রোতা মো: ইসলাম হোসাইন তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কি বাংলাদেশ-ভারতের মত ঘন ঘন হরতাল বা মানব বন্ধন পালিত হয়? পুলিশের ক্ষমতা কেমন? অবাধে কি নারী-পুরুষ ছেলে-মেয়েদের উপর নিযার্তন চালাতে পারে? উত্তরে বলছি, পুরাতন চীনে অথার্ত গুওমিডাং পাটির শাসনকালে শহরের শ্রমিকরা কতৃর্পক্ষের নির্যাদনের প্রতিবাদে ধর্মঘট বা হরতাল পালন করতেন। কিন্তু নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কোন দিন ঘর্মঘট বা হরতাল দেখা দেয় নি। সরকার বা কতৃর্পক্ষের উপর জনসাধারণের সমালোচনা বা অসন্তোষ থাকলে সরাসরিভাবে সংশ্লিষ্ট প্রণালীতে ব্যাখ্যা করা যায়। উধ্বর্তন কর্মকর্তা আর গোড়ার স্তরের জনসাধারণের মধ্যে মত বিনিময় কোন বাধা নেই। সুতরাং যদি জনসাধারণের প্রস্তাব বা মতামত যুক্তিযুক্ত তাহলে কতৃর্পক্ষ অবশ্যই তাদের প্রস্তাব গ্রহন করেন। যখন জনসাধারণের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দেখা দেয় তখন কতৃর্পক্ষ বা উধ্বর্তন কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে এ দ্বন্দ্বের সমাধান করেন। তবে চীনে ধর্মঘট পালা করতে নিষিদ্ধ তাই নয়। চীনের সংবিধান অনুযায়ী, চীনের নাগরিকদের আছে বাক স্বাধীনতা, চিঠিপত্র লেখার ও পাওয়ার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, জনসমাবেশ ও জনসভার স্বাধীনতা, সংঘ গঠনের স্বাধীনতা, মিছিলের স্বাধীনতা, বিক্ষোভ প্রদর্শনের স্বাধীনতা ও ধর্মঘটের স্বাধীনতা। চীনের পুলিশের ইচ্ছা মতো মানুষকে নির্যতন করার ক্ষমতা নেই। এমন কি যখন তারা আক্রমাণের শিকার হন তখন তারা সহজেই বর্বরোচিত পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন না। তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয় কেবল তারা চুড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন ।
ঝিনাইদহ জেলার শ্রোতা, এইচ, এম গোলাম রসুল তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে এ পযর্ন্ত কত জন প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন? চীনের কি সার্ক সদস্য হবার পরিকল্পনা আছে? এখন প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ পযর্ন্ত মোট পাঁচ জন প্রেসিডেন্ট ও ছ'জন প্রধান মন্ত্রীর জন্ম হয়েছেন। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি । চীন এখন সার্কের পযর্বেক্ষক সদস্য। ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন আর সার্কের মধ্যে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে আশা করা হচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলার শ্রোতা মো: সাজ্জাদ হোসেন তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের জাতীয় খেলা কোনটি? উত্তরে বলছি, চীনে বেশ কয়েকটি লেখা জনসাধারণের কাছে জনপ্রিয়। যেমন , টেবিল-টেনিস, বাস্কিট বল, ভলিবল ইত্যাদি। কিন্তু টেবিল-টেনিসকে চীনের জাতীয় খেলা বলে গণ্য করা হয়। এ কথা বলা যায় যে চীনের আবালবৃদ্ধবনিতা এই খেলা পছন্দ করেন। এখন শহরের পার্ক পযর্ন্ত জায়গায়ও টেবিল-টেনিস টেবিল স্থাপিত হয়েছে। প্রত্যেক দিন সকালে এ সব খোলা মাঠে টেবিল-টেনিস খেলতে দেখা যায়। চীনের টেবিল-টেনিস খেলোয়াড়রা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অনের পদক অর্জন করেছেন।
|