বাংলাদেশের নারায়নগন্জ জেলার শ্রোতা এইচ, এম, তারেক তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনের বেকার যুবকের সংখ্যা কত? চীনে কয়টি মেডিকেল কলেজ আছে? চীনের নোবেল বিজয়ীর সংখ্যা কত? এখন এ তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। চীনের বেকার যুবকের সংখ্যা কত এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া একটু কঠিন। কেননা, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে কমর্সংস্থানের উপর বেশী গুরুত্ব দেয়ার ফলে বেকারদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বতর্মানে চীনের শহরগুলোতে বেকারদের জন্যে বিশেষভাবে কাযর্কর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা সাময়িকভাবে বেকার থাকে তাদের জন্যে সরকার কমর্সংস্থানের সুযোগ যোগায়। তবে চীনে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বেকার যুবক আছে। কিন্তু তাদের পক্ষে একদম কাজ নেই তা বলা যায় না। কারণ কোনো কোনো যুবক-যুবতী তাদের পছন্দ মতো কাজ না পাওয়ায় বেকার থাকে। হয়তো তারা আরও আর্কশণীয় কাজ করতে চান, তবে এ ধরনের কাজ না পেয়ে বাসায় থাকে এমন যুবক-যুবতীও আছে। যাই হোক , গত কয়েক বছর ধরে চীনে অর্থনীতির দ্রুত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কমর্সংস্থানের পরিস্থিতি ভাল। বতর্মানে চীনের যুবক-যুবতীদের অনেক কমর্সংস্থানের সুযোগ আছেন। ভবিষ্যতে কমর্সংস্থানের বাজার আরও বিশাল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। চীনে আগে বেশী কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে প্রত্যেকটিমেডিকেল কলেজ চীনের কয়েকটি নাম-করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। যেমন, পেইচিং মেডিকেল কলেজ এখন পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি বিভাগ, সাংহাই মেডিকেল কলেজ ফুডান বিশ্ববিদ্যায়ের একটি ইনস্টিটিউট হয়ে গেছে। আরও কয়েকটি মেডিকেল কলেজও স্থানীয় কোন একটি বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। সুতরাং বতর্মানে কোন স্বাধীন মেডিকাল কলেজ প্রায় নেই বললেই চলে। এখন তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। এখন পযর্ন্ত চীনের কেউই এই সম্মানীয় পুরস্কার পায়নি। এ ক্ষেত্রে চীন পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস, চীনের দ্রুত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্রেকথ্রুঅর্জিত হবে। এই দিন নিশ্চয়ই আসবে যখন চীদের মূল ভুখন্ডের মানুষ নোবেল পুরস্কার অজর্ন করবেন। এখনে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে যে এর আগে মোট চাঁর জন চীনা বংশোদ্ভুতমার্কিনী এই পুরস্কার অজর্ন করেছেন। তাঁরা পদার্থবিদ্য ও রাসায়ন ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশের ড. ইউনুস চলতি বছরের শান্তি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন । এটা সত্যিই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তিনি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় সারা এশিয়ার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এ জন্য আমরা আরেক বার আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জ জেলার শ্রোতা মঞ্জুয়ারা বেগম তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে ছেলে-মেয়েরা স্কুল, কলেজে পড়াশুনার পাশাপাশি কি কোন প্রাইভেট টিউশন পায়? উত্তরে বলছি, বতর্মানে চীনে অনেক ছেলে-মেয়ে স্কুল বা কলেজে পড়াশুনার পাশাপাশি গৃহ শিক্ষক রাখে অথবা অন্য অতিরিক্ত বিষয় শিখে। তারা সাধারণত ক্লাস শেষ হওয়ার পর অন্যান্য বিষয় শিখে। যেমন, ইংরেজী, সংগীত, অংক, ছবি আঁকা, কম্পিউটার। কোনো কোনো পরিবারে ছেলে-মেয়ের জন্য গৃহ শিক্ষকও রাখে। যারা গৃহ শিক্ষক রাখে তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়েছে হয়তো কেউ কেউ আরও বেশী বিষয় শিখতে চায়। একটি পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, বতর্মানে চীনের শহরাঞ্চলে ৯০ শতাংশ স্কুল বা কলেজের ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনার পাশাপাশি অতিরিক্ত কোর্স গ্রহণ করেছে।
|