** চীনে প্রধান যানবাহন কি রেলগাড়ী?
প্রশ্নকর্তাঃ রাজশাহী জেলার শ্রোতা হোসেন আবেদ আলী
উঃ বতর্মানে রেলগাড়ী চীনের প্রধান যানবাহন বলা যায় । চীনের মাল-পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব খুব বেশী। দেশে মাল পরিবহণের মোট পরিমাণের শতকরা ৬০ ভাগই রেলযোগে সম্পন্ন হয়।চীনদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন যাতায়াতে অনেক সুবিধা হয়েছে। এ বছর ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হয়েছে। এখন রাজধানী পেইচিং এবং তিব্বতের মধ্যে প্রত্যেক দিন দু'টি রেলগাড়ী আসা-যাওয়া করে। ছিংহাই-তিব্বত মালভূমিতে নির্মান করা এই রেল লাইনকে পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চ রেললাইন বলে গণ্য করা হয়।
**বতর্মানে চীন আন্তর্জাতিক বেতারে মোট কয়েকটি ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার শ্রোতা মৌসুমী আফরিন প্রীতি
উঃ বতর্মানে চীন আন্তর্জাতিক বেতারে মোট ৪৩টি ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়েছে । এদের মধ্যে ৩৮টি বিদেশী ভাষা। বাকী পাঁচটি ভাষার মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চীনা ভাষা ছাড়া চারটি ভাষা হল আঞ্চলিক ভাষা। এ চারটি আঞ্চলিক ভাষা চীনের ফোজিয়েন ও কুওয়াংডং প্রদেশের স্থানীয় ভাষা।
**চীনের চিকিত্সা ও জন -কল্যাণ ব্যবস্থাকি করমের ?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার শ্রোতা সুমন মিয়া
উঃ চীনের শহরগুলোতে রাষ্ট্রের প্রণীত শ্রম ও বীমা ব্যবস্থা অনুযায়ী সকল সরকারী কর্মচারী ও শ্রমিক বিনামুল্যে চিকিত্সার সুযোগ-সুবিধা পান। অসুস্থ হয়ে পড়লে বা আহত হলে রাষ্ট্র থেকে বা তাদের নিজনিজ প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বিনা খরচে চিকিত্সা হয়। কাজের সময়ে আহত কর্মচারীরা ও শ্রমিকরা হাসসপাতালে থাকার সময়ে খাওয়ার খরচ বাবদ আর্থিক সাহায্যও পান। অসুস্থ বা আহত কর্মচারীরা ও শ্রমিকরা চিকিত্সা চলার সময়ে এবং মহিলা-কর্মচারীরা ও মহিলা- শ্রমিকরা সন্তান হওয়ার আগে-পরে ছুটি ভোগ করার সময়ে শ্রম ও বীমা ব্যবস্থা মোতাবেক রাষ্ট্র থেকে বাস্তব অবস্থা অনুসারে সাহায্য পান। কাজের সময়ে আহত কর্মচারীরা ও শ্রমিকরা তাদের চিকিত্সা চলার মময়ে এবং মহিলা কর্মচারীরা ও মহিলা শ্রমিকরা সন্তান হওয়ার আগে-পরে ছুটি ভোগ করার সময়ে পুরো বেতন পেয়ে থাকেন।
আতীয় অর্থনীতির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিনা খরচে চিকিত্সা ব্যবস্থার আওতাও অনেক বাড়ানো হয়েছে। এখন বিভিন্ন স্তরের রাষ্ট্রীয় সংস্থার কর্মীরা ও সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যরক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রের ইউনিটগুলোর কমীর্রা, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও শ্রমিক সহ সকল কর্মচারী ও শ্রমিক, চীনা গণ মুক্তি ফৌজের কমান্ডার ও সৈনিকরা, বিকলাঙ্গ বিপ্লবী সৈনিকরা এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্রছাত্রীরা বিনা খরচে বিকিত্সার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পান। রাষ্ট্রীয় অর্থকরী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীও শ্রমিকদের পরিবার-পরিজনের চিকিত্সা খরচেরও কিছু অংশ রাষ্ট্র থেকে দেওয়া হয়।
|