**চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে এবং তার পরিচয়।
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার মুন্সিপাড়ার মাজেদুল ইসলাম বিপ্লব, রাজবাড়ী জেলার পাঠবাড়ীয়ার দিগন্তর রেডিও শ্রোতা ক্লাবের কামরুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়ার সুমি আক্তার
উঃ হংকংয়ের প্রথম ধনী লোক লি চিয়া ছেন হচ্ছে পৃথিবীতে সবচেয়ে ধনী চীনা ব্যক্তি। তিনি ১৮.৮ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে মার্কিন "ফোবেস" পত্রিকার প্রকাশিত ২০০৬ সালে দুনিয়ায় ধনী ব্যক্তিদের নামের তালিকায় দশম স্থানে অধিকার করেন। তাঁর অধীনে "ছাংশি" গোষ্ঠী এবং অন্যান্য কোম্পানি স্থাবর সম্পত্তি, আন্তর্জাতিক কান্টেইনার বন্দর এবং পুঁজি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে হংকং তথা বিশ্বের লক্ষণীয় গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। এগুলোর বাজার মূল্য ২৭০ বিলিয়ান হংকং ডলার।
**চীনা নেতা লি সিয়ান নিয়েন চীনের কোন অঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করেন? তিনি কি এখনও জীবিত আছেন?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার জাকারিয়া হোসাইন
উঃ লি সিয়ান নিয়েন ১৯০৯ সালে চীনের হুপেই প্রদেশের হুয়াং আন জেলায় জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ১৯২৭ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি লং মার্চ অংশগ্রহণ করেন। তিনি কেন্দ্রীয় চীনের মুক্তি অঞ্চলের আত্মরক্ষা যুদ্ধ নেতৃত্ব করেন।
নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর তিনি হুপেই সামরিক অঞ্চলের সর্বাধিনায়ক , হুপেই প্রদেশের গণ সরকারের চেয়ারম্যান , চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ইত্যাদি উর্ধ্বতন পদে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৭৬ সালের অক্টোবরে চিয়াং ছিং প্রতি-বিপ্লবী গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার সংগ্রামে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৮৩ সালের জুন মাসে ষষ্ঠ জাতীয় গণ কংগ্রেসের অধিবেশনে তিনি গণ চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের এপ্রিল মাসে সপ্তম জাতীয় গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে চীনের দরিদ্র অঞ্চল উন্নয়ন তহবিলের অনারারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালের ২১ জুন তিনি পেইচিংয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৮৩ বছর।
**চীনে সম্ভবত মোরগ, ইঁদুর ইত্যাদি নামে ১২টি বর্ষ প্রতীক রয়েছে, এগুলোর নাম জানতে চাই।
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার সুলতানশাহির ঘোরাদাইল গ্রামের লিপন স্মৃতি রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি বি এম ফয়সাল আহমেদ
উঃ ১২টি বর্ষ প্রতীক হচ্ছে চীনের এক বিশেষ বয়স হিসাব করার পদ্ধতি। চীনাদের দৈনন্দিন জীবনে এর গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা আছে, এবং আমাদের প্রথার উপর তা বড় প্রভাব ফেলেছে, এমন কি জনগণের বিয়ে আর জন্ম প্রভৃতি বড় ঘটনার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। যেমন, ড্রাগণ বর্ষের জন্ম হার অপেক্ষাকৃত বেশি, কারণ অনেকে ড্রাগণের ছেলে পেতে চায়।
এই ১২টি বর্ষ প্রতীক হচ্ছে ইঁদুর, গরু, বাঘ, খরগোশ, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, ছাগল, বানর, মোরগ, কুকুর এবং শূকর। প্রতি বছরে একটি প্রতীক আছে।
১২টি প্রাণীর দ্বারা বিভিন্ন বছরের নাম দেয়ার রীতি কেবল যে চীনে আছে তা নয়, অন্যান্য প্রাচীন সভ্যতার দেশেও আছে। যেমন প্রাচীন ব্যাবিলন, কাম্পুচিয়া আর ভারত ইত্যাদি।
এই ১২টি বর্ষ প্রতীকের উত্স সম্পর্কে অনেক কাহিনী আছে। কেউ বলেন, সম্রাট শুয়ান ইয়ুন ১২টি প্রাণী নির্বাচন করে তাঁর রাজপ্রাসাদের দেহরক্ষীর দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। প্রাণীরা সবাই আবেদন করেছে। বিড়াল ইঁদুরের মাধ্যমে তালিকাভূক্ত হতে চেয়েছে, কিন্তু ইঁদুর তা ভুল গেছে, ফলে ১২টি বর্ষ প্রতীকের মধ্যে বিড়াল নেই। সেই জন্য তখন থেকে বিড়াল আর ইঁদুর পরস্পরের শত্রু হয়েছে।
কেউ বলেন, এক বার প্রাণীদের প্রতিযোগিতা হয়েছে। শেষে কেবল বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী হাতি, ইঁদুর আর গরু প্রভৃতি ১৩টি বাকি রয়েছে। ইঁদুর হাতির নাকের ভিতরে প্রবেশ করেছে, হাতি ভয়ে পালিয়ে গেলো। ফলে ১২টি বর্ষ প্রতীকের মধ্যে হাতিও নেই , ইঁদুর প্রথম স্থান দখল করেছে।
|