**চীনের বিদ্যুত্ পরিসেবার মান কেমন? চীনে কি যে কোন সময় হঠাত্ করে বিদ্যুত্ চলে যায়? চীনে কি জলবিদ্যুত্ প্রকল্প আছে?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার ড্রীম ওয়েভ অডিয়্যান্স ক্লাবের জে কে রাজু , সিলেট জেলার ফেন্ঞ্চুগঞ্জের সৈয়দ আহমদ আলী, নরসিংদী জেলার কামরাবো গ্রামের সবুজ পাহাড় বেতার শ্রোতা সংঘের সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র দাস , ঝিনাইদহ জেলার খড়িখালীর ডি এক্স রেডিও ফ্যান ক্লাবের মহাসচিব সুকদেব কুমার ঘোষ
উঃ চীনের নানা শিল্পের মধ্যে তাপ-বিদ্যুত্ , জলবিদ্যুত্ এবং পারমাণবিক বিদ্যুত্ সহ গোটা বিদ্যুত্ শিল্প সবচেয়ে দ্রুত বিকশিত হয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে চীনের বিদ্যুত্ উত্পাদনের সামর্থ্য ১০ কোটি কিলোওয়াট থেকে বেড়ে ৩০ কোটি কিলোওয়াটের নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়। ২০০৩ সালের শেষ দিকে চীনের বিদ্যুত্ উত্পাদনের সামর্থ্য ৩৮ কোটি ৫০ লাখ কিলোওয়াট এবং উত্পাদনের পরিমাণ ১৯১০.৮ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘন্টায় পৌঁছেছে। এখন চীনের বিদ্যুত্ উত্পাদনের সামর্থ্য এবং বাস্তব উত্পাদনের পরিমাণ উভয়ে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থার নির্মানকাজও দ্রুত উন্নয়নের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন বড় বিদ্যুত্ সরবরাহ জালের আওতায় সারা দেশের সকল শহর এবং অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে । ৫০০ কিলোভোল্টের প্রধান সরবরাহ ব্যবস্থা যথাক্রমে ২২০ কিলোভোল্টের সরবরাহ ব্যবস্থার স্থলাভিষিক্ত হয়ে বিভিন্ন প্রদেশ আর অঞ্চলের মধ্যে বিদ্যুত্ সরবরাহ আর বন্টনের দায়িত্ব বহন করে। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত উন্নত মানের আন্তর্জাতিক স্বয়ংক্রিয় নিয়ামক ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়। এখন উত্তর-পশ্চিম চীন ছাড়া, অন্য ছযটি আন্তঃপ্রাদেশিক বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থা এবং পাঁচটি স্বাধীন প্রাদেশিক পর্যায়ের বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থার ৫০০ কিলোভোল্ট বিদ্যুত্ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এর সঙ্গে সঙ্গে আরো কয়েকটি বিরাটাকারের বিদ্যুত্ স্টেশনের নির্মানকাজও শুরু হয়েছে । এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, চীনের বিদ্যুত শিল্প বিরাট বিদ্যুত্ সাজসরঞ্জাম, বিরাট বিদ্যুত্ কারখানা, বিরাট বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থা, অতি-উচু ভোল্টেজ, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার দ্বারা নতুন যুগে প্রবেশ হয়েছে।
**চীনের রাষ্ট্রীয় তেল বিপনন সংস্থার নাম কি?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ার পূর্ব গাটিয়া ডেঙ্গা গ্রামের নেট ওয়ার্ক রেডিও এন্ড টি ভি ফ্যান ক্লাবের চেয়ারম্যান মছরুর জুনাইদ
উঃ চীনের রাষ্ট্রীয় তেল বিপনন সংস্থার নাম চীনের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস গোষ্ঠী কোম্পানি, এর সংক্ষিপ্ত নাম সিএনপিসি। এই গোষ্ঠী চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের কাঠামো সংস্কারের প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে আগেকার চীনের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা হচ্ছে একটি অতি-বিরাটাকারের তেল ও পেট্রো-রসায়ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং চীনের বৃহত্তম অশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্পাদন ও সরবরাহ গোষ্ঠী এবং বৃহত্তম পেট্রো-রসায়ন পন্যের উত্পাদন ও সরবরাহ গোষ্ঠী। "ফরচুন" পত্রিকার ২০০৫ সালে প্রকাশিত বিশ্বের ৫০০টি সেরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় এর স্থান ৪৬তম।
**চীনের মেয়েরা কি বাংলাদেশের মেয়েদের মত সালোয়ার কামিজ পরে এবং চীনের মেয়েরা কি কপালে টিপ পড়ে? চীনা মহিলারা কি হাতে চুড়ি এবং কানে ও নাকে দুল পরে?
প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বিরামপুরের এম আতাহার আলী অপু এবং পাবনা জেলার পারকোদালিয়া গ্রামের রেডিও ফেয়ার লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা
উঃ চীনের বাজারে সালোয়ার কামিজ এবং শাড়ীর মতো দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর বিশেষ জাতীয় কাপড় পোষাক নেই । চীনের মেয়েরা তা পরে না। আমরা সাধারণতঃ গ্রীষ্মকালে টি-শার্ট এবং স্কার্ট বা শর্ট-প্যান্ট পরি, ঠান্ডার সময়ে জামা ও প্যান্ট পরি। চীনা নারীদের জাতীয় কাপড় হচ্ছে ছি-পাও । কিন্তু দৈনন্দিন জিবনে আমরা তা পরে না।
চীনের মেয়েদের গলায় হার পরা এবং হাতে রিং পড়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু কানে বা নাকে দুল পড়া একদম নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে চীনারা সাধারণত নাকে দুল পরে না।
|