v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-18 16:30:58    

মি. মুরাদের পেইচিংয়ে ৮ বছরের অভিজ্ঞতা


cri
    মি. মুরাদ চীনা কেন্দ্রীয় চারু শিল্পকলা ইন্সটিটিউটে পড়াশুনা করেছেন। সম্প্রতি আমাদের সংবাদদাতা খোং চিয়া চিয়া তার সাক্ষাত্কার নিয়েছেন।

    প্রশ্নঃ বিগত বছরগুলোতে আপনি পেইচিংয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি অন্যান্য শহরগুলোতে গিয়েছেন?

    উঃ অবশ্যই।

    প্রশ্নঃ তাহলে কোন শহর আপনি বেশি পছন্দ করেন এবং কেন?

    উঃ আমি সাংহাইতে যাই, গুয়াংচৌতে যাই, হায়নান দ্বীপ , হংকং এবং বিভিন্ন প্রদেশে যাই। তাতে করে আমার পেইচিং সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। কারণ এতদিন ধরে পেইচিংয়ে থাকায় পেইচিংয়ের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরী হয়ে গেছে। এখানকার পরিবেশ ভালই লাগে। বিশেষ করে এখানকার কালচার। এখানকার ফরবিডেন সিটি, তিয়েনআনমেন স্কয়ার, গ্রেটওয়াল, টেম্পল অফ হেভেন, সামার প্যালেস সবকিছু মিলিয়ে পেইচিং আমার কাছে খুবই ভাল লাগে। এখান থেকে অনেক কিছু শেখার , জানার আছে। বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা এখানে আসে এবং এখন থেকই সারা চায়নায় যায় আমার কাছে মনে হয় পেইচিং থেকেই সবাই যাত্রা শুরু করে।

    প্রশ্নঃ ১৯৯৭ সাল থেকে চীনে যে উন্নয়ন দেখেছেন তাতে আপনার অনুভুতি কি?

    উঃ পেইচিং চীনের রাজধানী। এখানে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি যা আকৃষ্ট করেছে সেটা হচ্ছে চায়নার স্থিতিশীল উন্নয়ন। কারণ আমার কাছে মনে হয় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এখানকার সরকার অন্য দেশের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। বিদেশী বিনিয়োগ এখানে আসে। এই বিনিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। সবচেয়ে বড় কথা এখানে সবকিছু পরিকল্পিতভাবে হচ্ছে। ফলে এ দেশ উন্নতি করছে। এখানকার রাস্তাঘাট, অফিস আদালত সবকিছু খুব প্ল্যান করে সরকার করছে। এতে করে এরকম আয়োজনে এখানকার মানুষ খুব খুশী।

    এখানে সবার ছোট পরিবার। পরিবার পরিকল্পনার কারণে এখানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত। কর্মসংস্থান খুব ভাল। কারণ শিক্ষিতদের ভাল চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং এদেশতো উন্নতী করবেই। আমার মনে হয়, অদূর ভবিষ্যতে চীন আরও উন্নতি করবে। আমি একজন বিদেশী, বাংলাদেশী হিসেবে আমিও কিছু করে ফেলতে পারি। যা আমার নিজের জন্য , দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে। 

    প্রশ্নঃ আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

    উঃ আমার আরও ভাল কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে ডক্টরেট ডিগ্রি নেয়া। জিয়াংশি প্রদেশে আমি একটি আর্ট কলেজে ভাইস-প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগ দিয়েছি এবং ওখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কাজে আমার যে অংশ গ্রহণ তাতে করে অনেক বিদেশী বিশেষজ্ঞ বিশেষ করে বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের চীনে আসার সুযোগ করে দিয়েছি। গরীব ছাত্ররা , যারা ঐ কলেজে পড়ে তাদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই , তাদের বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। তা ছাড়া কলেজের যিনি প্রতিষ্ঠাতা মি. ইউ , উনি অনেক স্বপ্ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। চীনের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ছাত্রছাত্রীরা প্রায় বিনা পয়সায় এখানে পড়াশুনা করছে। এই কলেজের উন্নয়নে আমি আরো কাজ করবো। তাছাড়া চীন দেশের আর্টিস্টদের বিদেশে পাঠানো এবং বিদেশী আর্টিস্টদের চীন সফরের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমার রয়েছে। তাছাড়া চীন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার কাজ নিয়ে আমি ব্যস্ত। এছাড়া আমি কেন্দ্রিয় একাডেমী অফ ফাইন আর্টস থেকে এ বছর মাষ্টার্স শেষ করেছি এবং পিএইচডির সুযোগ পেয়েছি, সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় আমার গাইড। তারা পরিকল্পনা করেছে আমাকে এখানে শিক্ষক হিসেবে রেখে দেয়ার। সেক্ষেত্রে হয়ত আমি এখানে লেকচায়ার হিসেবে যোগদান এবং পিএইচডি করব।

    প্রশ্নঃ বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে অনেক ছাত্রছাত্রী চীনা ভাষায় পড়াশুনা করছেন। তাদের জন্য আপনার উপদেশ কি?

    উঃ আপনি একটি সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। যারা চীনা ভাষা শিক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন তাদেরকে আমি বলব এটা যেন তারা ধরে রাখেন। পৃথিবীতে চীন একটি বড় দেশ। চীনা ভাষায় অনেক লোক কথা বলেন। এই ভাষা জানা থাকলে অন্তত ২ থেকে ৩ শ কোটি লোকের সঙ্গে কথা বলা যাবে। চীন দেশে আসা বা চীনা ভাষা শিক্ষা একটা বড় সুযোগ। এই সুযোগ ধরে রাখতে হবে। ধৈয্য ধরে শিখলে তার পুরস্কার অবশ্যই রয়েছে। আমিও ধৈর্য ধরে পড়াশুনা করেছি বলে ফার্স্ট হয়েছি। পরিশ্রম করলে তার ফল পাওয়া যাবেই।