v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-10 18:42:54    
ভিয়েতনাম এবং চীনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন?

cri

**ভিয়েতনাম এবং চীনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন?

   

প্রশ্নকর্তাঃ  বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার তিলকপুর নতুন বাজারের ওমর ফারুক রিমন

 উঃ ১৯৫০ সালের ১৮ জানুয়ারী চীন আর ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। চীন ও ভিয়েতনাম এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যকার সুদীর্ঘকালীণ মৈত্রী আছে। দীর্ঘকালের বিপ্লব সংগ্রামে চীন সরকার আর জনগণ ফ্রান্স বিরোধী আর মার্কিন বিরোধী যুদ্ধে ভিয়েতনামকে বিরাট সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য করেছে। তখন ভিয়েতনাম চীনকে দৃঢ় সমর্থক মনে করতেন। দু'দেশ রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতা করতো। বিংশ শতাব্দীর ৭০ দশকের শেষ দিকে দু'দেশের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।

    ১৯৯১ সালের নভেম্বর মাসে চীনের তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক চিয়াং ছে মিন আর প্রধানমন্ত্রী লি ফেংয়ের আমন্ত্রণে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দো মুওই আর মন্ত্রীসভার চেয়ারম্যান ভো ভান কিয়েতের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল চীন সফর করেছেন। দু'পক্ষ ঘোষণা করেছে যে, অতীতের অবসান করে, ভবিষ্যতকে উন্মোচিত করবে। দুটি পার্টি আর দু'দেশের সম্পর্ক তখন থেকে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

    এরপর দুটি পার্টি আর দু'দেশের সম্পর্ক সার্বিকভাবে পুনরুদ্ধার এবং গভীরভাবে বিকশিত হয়েছে। দু'দেশের নেতাদের ঘন ঘন বিনিময় সফর এবং যোগাযোগ বজায় রেখেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'পক্ষের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতা অব্যাহতভাবে জোরদার হয়েছে। ২০০০ সালে দু'দেশ নতুন শতাব্দীতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা সংক্রান্ত "যুক্ত বিবৃতি" প্রকাশ করেছে, তাতে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উন্নয়ন সংক্রান্ত নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নির্ধারিত হয়েছে।

    এখন চীন হচ্ছে ভিয়েতনামের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০০২ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূল্য ৩২৬.৪ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। চীনের প্রধান রপ্তানী পণ্য হচ্ছে মোটর-সাইকেলের, যন্ত্রপাতি এবং সাজসরঞ্জাম , উত্পাদিত তেল এবং হালকা শিল্পজাত দ্রব্য। ভিয়েতনাম থেকে চীন প্রধানতঃ অশোধিত তেল, খনিজ সম্পদ এবং কৃষিজাত দ্রব্য আমদানি করে।

**চীনের শিশুরা কত বছর বয়স থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করে? চীন প্রাথমিক শিক্ষা কি বাধ্যতামূলক?

    প্রশ্নকর্তাঃ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সরমস্তপুর গ্রামের চেতনা ডিএক্স ক্লাবের আমানুল ইসলাম, মিতনাপুর জেলার বালদার ছৈতক লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি ডাঃ সিদুম ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার ঘোড়াদাইড়ের ঘাসফুল বেতার শ্রোতা সংঘের সভাপতি এম এম জুয়েল, বেতার বন্ধু শ্রোতা সংঘের সভাপতি মোঃ জুয়েল আহম্মেদ মল্লিক, মোঃ রুবেল মল্লিক প্রমুখ

    উঃ চীনে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষা ছেলেমেয়েদের ছয় বছর বয়স থেকে শুরু হয় । চীনের বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসারে রাষ্ট্র বয়সী ছেলেমেয়েদের বাধ্যতামূলক শিক্ষা দেয়। ছেলেমেয়েদের কোনো বেতন দিতে হয় না, কিন্তু কিছু পাঠ্যবইয়ের খরচ ও আনুষংগিক খরচ হিসেবে প্রতি বছর প্রায় কয়েক শো ইউয়ান রেনমিনপি দিতে হয়।

    চীনের অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার মেয়াদ ছয় বছর। প্রধান পাঠ্যবিষয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে চীনাভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, বিদেশীভাষা, চরিত্র, সংগীত, ক্রীড়া ইত্যাদি। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে চীনে মোট চার লাখেরও বেশি প্রাথমিক স্কুল আছে। এই সব স্কুলে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের মোট সংখ্যা বারো কোটি। সমবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে এদের অনুপাত আটানব্বই শতাংশেরও উপরে। বাধ্যতামুলক শিক্ষার পযার্য়ে বলে চীনের অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুল সরকারী । ছাত্রছাত্রীরা যার যার বাড়ীর নিকটে স্কুলে ভর্তি হয়।