v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-04 21:38:30    
নতুন বাংলা বিশেষজ্ঞ আ বা ম ছালাউদ্দিনের সাক্ষাত্কার(এক)

cri

 ১৭ জুন বাংলা বিভাগের নতুন বিশেষজ্ঞ আ বা ম ছালাউদ্দিন পেইচিংয়ে পৌঁছেছেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি বাংলা বিভাগের সমস্ত কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ছালাউদ্দিন সাহেব বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক এবং কবি ও গীতিকার ছিলেন বলে ঢাকাসহ বাংলাদেশে অনেকেই তাঁকে ভালোভাবে চেনেন এবং জানেন। তবে আমাদের শ্রোতারা হয়তো তাঁকে জানেন না। তাহলে আসুন বাংলা বিভাগের কর্মী ইয়াং ওয়ে মিংয়ের নেয়া সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে আমাদের এই নতুন বিশেষজ্ঞকে জেনে নেই।

 প্রশ্নঃ আচ্ছা ছালাউদ্দিন সাহেব ভালো আছেন?

 উঃ হ্যাঁ, ভালো আছি। শুরুতেই আমি সি আর আই এর অগনিত শ্রোতাবন্ধুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

 প্রশ্নঃ চীনে আপনার এখন কেমন লাগছে?

 উঃ চীনে দায়িত্ব পালনের জন্যে এই প্রথম এসেছি। তা একটু ব্যতিক্রমতো লাগবেই। বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে চীনের গ্রীষ্মকালের এই আবহাওয়ার কিছুটা মিল রয়েছে। তবে ভোররাতের দিকে এখানে কিছুটা শীত শীত অনুভূত হয়। তা ছাড়া পেইচিংএ এখন আকাশ মেঘলা এবং বৃষ্টিও হচ্ছে মাঝে মাঝে। কখোনো অঝোর ধারায় । প্রায় বাংলাদেশের মতোই। দিনের চেয়ে রাতের বেলায় মেঘের গর্জন মনে হয় যেন একটু বেশীই। আমি শুনেছি এখানে শীতকালে নাকি মাইনাস ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রী পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেসর্বোচ্চ প্লাস ৪ থেকে ৫ ডিগ্রী পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঢাকায় কখোনো ৮ বা ৯ ডিগ্রির নীচে নামে নি।

 প্রশ্নঃ চীনা খাবার আপনার কেমন লাগছে? অভ্যস্ত হয়েছেন কি?

 উঃ চীনের খাবার সম্পর্কে আমার পূর্বের কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার চীনা দূতাবাসের অনুষ্ঠানসমূহে এবং দু'বার চীনে স্বল্পসময়ের জন্যে আসায় খাবার সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারণা আছে। চীনের খাবার আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লাগছে বলতে পারি রুচি সম্মত।

 প্রশ্নঃ ঢাকায় আপনি কত ঘন্টা কাজ করেছেন?

 উঃ ঢাকায় আমি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই ঘরের কিছু কাজে আমার গিন্নিকে সাহায্য করি। পরে কর্মস্থানে আমি সকাল ৯টা থেকে প্রায়শই রাত ৮টা ৯টা পর্যন্ত কাজ করেছি। প্রতিদিনের দাপ্তারিক কাজ প্রতিদিনই শেষ করা আমার অভ্যাস। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি আমি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে দেশের সংস্কৃতির উন্নয়নের লক্ষে এবং সামাজিক কর্মকান্ডেও সময় ব্যয় করেছি। কারণ আমি মনে করি আমার দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে একদিকে যেমন মানসিক শান্তি পাওয়া যায় , তেমনি সাধারণ মানুষেরও তাতে কল্যাণ হয়। বলতে পারেন এই পৃথিবীতে আমাদের জীবনের সংক্ষিপ্ত সময়টাকেও কাজে লাগানো সম্ভব হয়। ১৯৮১ সাল থেকে আমি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে প্রথমে একটি ইংরেজী ও দুটি বাংলা পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করি। পরে জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন শেষে চারুকলা বিভাগের উপপরিচালক এবং শেষে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছি।

 প্রশ্নঃ আমি জেনেছি আপনি সাংবাদিকতার কাজে অভিজ্ঞ। আমাদের শ্রোতাবন্ধুদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন কি?

 উঃ আমি খুব অভিজ্ঞ তা বলবো না। তবে আমার শৈশব কালে কুমিল্লায় আমাদের পুরান চৌধুরী পাড়ায় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল সেই পত্রিকা এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনতায় লেখা শুরু করি। আসলে সাংবাদিক হওয়ার একটা দারুণ সখ আমার সেই ছোট বেলা থেকেই ছিলো। তখন থেকেই নিয়মিত লিখেছি কখনো তা ছাপার মূখ দেখেছে আবার কখনো ছাপা হয় নি। পরবর্তী সময়ে, আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সাহিত্য বার্ষিকীর সর্বাধিক ভোটে নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে প্রকাশনা ও সম্পাদনার কাজ করি। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সাহিত্য সংকলনও সম্পাদনা করি। একটি মাসিক পত্রিকাও নিয়মিত প্রকাশ করি। আসলে মূল সাংবাদিকতা আমার শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। তখন খুলনা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ও পরে দৈনিক কালান্তর পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক ও পরে বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করি। এ ছাড়াও দৈনিক নবজাত ও দৈনিক বাংলার মূখ্যের খুলনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি। ১৯৭৬-এ ঢাকায় এসে আমি সাপ্তাহিক ইত্তেহাদ ও দৈনিক মিল্লাতে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে কিছু দিন কাজ করার পর ঢাকার দৈনিক আবর্তের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা বিভাগে পার্ট টাইম হিসেবে ন বছর অনুবাদ ও সম্পাদনা কাজ করেছি। একই সঙ্গে ১৯৬৯ সাল থেকে রেডিওতে যোগাযোগ শুরু এবং স্বাধীনতার পর থেকে রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিবেশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।