প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার বেতার বন্ধু শ্রোতা সংঘের সভাপতি মোঃ জুয়েল আহম্মেদ মল্লিক
উঃ তাইওয়ান হচ্ছে চীনের বৃহত্তম দ্বীপ। তাইওয়ানের স্থলভাগের মোট আয়তন প্রায় ৩৬ হাজার বর্গকিলোমিটার। দ্বীপটিতে অনেক পাহাড়-পর্বত রয়েছে। পাধত্য এলাকার আয়তন তাইওয়ানের তিন ভাগের দুই ভাগ, অর্থাত্ সমতলভূমি মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ ।
তাইওয়ান প্রদেশ নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের মাঝামাঝিতে অবস্থিত, এখানকার জলবায়ু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় ধরণের। তাইওয়ানের চার দিকেই সাগর, তাই সামুদ্রিক মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারা বছর আবহাওয়া খুব আরামদায়ক, শীতকালে তেমন ঠাণ্ডা নয় , গ্রীষ্মকালেও খুব গরম নয়। সারা বছরের গড়পড়তা তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাইওয়ানে বৃষ্টিপাত খুব বেশী, এখানে আবহাওয়ার ওপর তাইফুনের প্রভাব খুব বেশি ।
তাইওয়ানের বনাঞ্চল প্রদেশটির মোট আয়তনের অর্ধেকেরও বেশি , ইউরোপের বিখ্যাত " পার্বত্য বনাঞ্চলের দেশ" সুইজারল্যাণ্ডের বনাঞ্চলের দ্বিগুণ বড় এটি। কাঠের মজুদ ৩০ কোটি কিউবিক মিটারেরও বেশি। পর্বতের পাদদেশ থেকে উপরের দিকে আবহাওয়া ক্রমেই ঠাণ্ডা হতে থাকে বলে তাইওয়ানের বনাঞ্চলে গাছের রকমারিতা খুব বেশি। এখানে গ্রীষ্মমণ্ডলীয়, উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয়, নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলীয় নানা রকম মোট ৪০০০ ধরণের গাছপালা আছে। এটা এশিয়ার প্রাকৃতিক বোটানিকাল গার্ডেন। সারা বিশ্বে তাইওয়ানেই সবচেয়ে বেশি কর্পুর গাছ উত্পন্ন হয় । কর্পুর এবং কর্পুর তেল হলো তাইওয়ানের বিশেষ উত্পন্ন দ্রব্য, উত্পাদন পরিমাণ সারা বিশ্বের মোট উত্পাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ।
তাইওয়ানের চার দিকে সাগর, এবং উষ্ণ ও শৈত্য দুই সামুদ্রিক স্রোতের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলে এখানে প্রচুর মাছ উত্পন্ন হয়। মাছের প্রজাতির সংখ্যা ৫ শোরও বেশি । তা'ছাড়া তাইওয়ানে উত্পাদিত সামুদ্রিক লবণও খুবই বিখ্যাত।
|