প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহিলা কলেজ পাড়ার ভ্রাতৃত্ব রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রিজু , চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ার নেটওয়ার্ক রেডিও এন্ড টিভি ফ্যান ক্লাবের চেয়ারম্যান মছরুর জুনাইদ এবং ঢাকার সি আর আই বেতার শ্রোতা সংঘের আলি মনসুর
উঃ ২০০৬ সালের ১৯ জুলাই চীনের ইন্টারনেট তথ্য কেন্দ্রের প্রকাশিত "চীনের ১৮তম ইন্টারনেট উন্নয়ন পরিস্থিতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান রিপোর্টে" বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ১২ কোটি ৩০ লাখে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় তা ১৯.৪ শতাংশ বেড়েছে। ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকদের সংখ্যা ৭ কোটি ৭০ লাখ। চীনে মোট ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০টি ওয়েবসাইট আছে, এর মধ্যে ৯০ হাজার ওয়েবসাইট চলতি বছরের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া, চীনের ২০ কোটি প্রথামিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তিন কোটি হচ্ছেন নেট নাগরিক।
পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ বেড়েছে। জনসাধারণ ঘন ঘন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এবারকার জরীপের ফলাফল থেকে জানা গেছে যে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সপ্তাহে গড়পড়তা সাড়ে ১৬ ঘন্টা সময় ইন্টারনেটে ব্যয় করেন, তা একটি নতুন রেকর্ড। এই সংখ্যাইন্টারনেটের ক্ষেত্রে উন্নত বহু দেশ আর অঞ্চলের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের গড়পড়তা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়ের চেয়ে বেশি।
ইন্টারনেটের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইট বহু লোকের কাজকর্ম আর জীবনের ছায়াসঙ্গী হয়েছে। অনলাইন জরীপের ফলাফল অনুযায়ী, বর্তমানে চীনে প্রায় দেড়কোটি লোক ইন্টারনেট শিক্ষা গ্রহণ করেন। আড়াই কোটি লোক চাকরির খোঁজে ওয়েবসাইটে ক্লিক করেন। প্রায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটা করার লোকের সংখ্যা ৩ কোটি। তা থেকে বুঝা যায় যে, ইন্টারনেটে কেনাকাটার সুপ্ত শক্তি এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা খুব ভালো।
|