**চীনের জাতীয় পোশাক কি?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার মতলবের ধনপর্দ্দি গ্রামের মোঃ নাসির খান
উঃ চীনের জাতীয় পোশাক বললে অনেকের মনে পড়ে চীনা নারীদের ঐতিহ্যিক কাপড় ছিপাওয়ের কথা। বলা যায়, ছিপাও হচ্ছে চীনা নারীদের সবচেয়ে প্রতিনিধিত্ব ঐতিহ্যিক কাপড়। বসন্ত ও শরত্ এবং যুদ্ধমান রাজ্য সমূহের যুগে ছিপাওয়ের উত্সের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে চীনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। ১৯১১ সালের বিপ্লবে সম্রাট প্রথা বাতিল করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ধরনের ছিপাও তৈরির জন্য শর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
বিংশ শতাব্দির ২০ থেকে ৪০এর দশক পর্যন্ত আধুনিক চীনা নারীর কাপড়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল যুগ বলে পরিচিত। সেই সময় চীনা নারীর কাপড়ের মধ্যে ছিপাও এর মর্যাদা অনেক বেশী ছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছিপাও পুনরায় আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শোর মঞ্চে ঘন ঘন প্রদর্শিত হচ্ছে এবং আনুষ্ঠানিক জাতীয় পোশাক হিসেবে নানা আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়।
**চীনের কোন প্রদেশে ধান উত্পন্ন সবচেয়ে বেশী হয়? চীনে সবচেয়ে কোন জাতের ধান বেশী চাষ ও উত্পাদন হয়?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের বগুড়া জেলার চাঁদনী বাজারের মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং রংপুর জেলার বুড়িরহাট ফার্মের গোয়ালু ডি-এক্স রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান
উঃ ধান হচ্ছে চীনের প্রধান খাদ্যশস্য। চীনের শতকরা ৬০ ভাগের বেশি লোকের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ধান। চীনের বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে ধান চাষের আয়তন এবং উত্পাদানের পরিমাণের দিক থেকে হুনান প্রদেশ প্রথম স্থানে আছে।
কৃষির ব্যাপারে আমার খুব ভালো জ্ঞান নেই । কেবল জানি, উত্পাদনের সময়ের ভিত্তিতে চীনে বছরে তিনবার চাষ করা যায়। যেমন প্রারম্ভিক ধান, মধ্যবেলায় উত্পাদিত ধান এবং বছরের শেষ ভাগে উত্পাদিত ধান।
**চীনের রাষ্ট্রভাষা কি?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের খুলনা জেলার মোঃ হাবিবুর রহমান এবং পঞ্চগড় জেলার বালিয়া পাড়া গ্রামের মোহাঃ মোতাহার হোসাইন
উঃ চীনের রাষ্ট্রভাষা হচ্ছে চীনা ভাষা অর্থাত্ ম্যান্ডারিন।
**এক ইউয়েন সমান বাংলাদেশের কত টাকা?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের পাবনা জেলার পারকোদালিয়া গ্রামের রেডিও ফেয়ার লিসনার্স ক্লাবের মোঃ মামুনর রশিদ
উঃ বর্তমানে এক ইউয়েন রেনমিনপি প্রায় বাংলাদেশের নয় টাকার একটু বেশী।
**চীনের টেলিভিশন মিডিয়া
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার বানিয়াছল বেতার বন্ধু সংসদের সভাপতি মোঃ হোসাইন মুসা
উঃ ২০০৪ সালের শেষ দিক পর্যন্ত চীনে মোট ৩১৪টি টেলিভিশন কেন্দ্র আছে, মোট ২৩৮৯ সেট টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। চীনের শহরাঞ্চল এবং গ্রামাঞ্চলে মোট ৩৭ কোটি টেলিভিশন সেট আছে, টেলিভিশনের দর্শকদের সংখ্যা ১২৩.৮ কোটি। কেন্দ্রীয় টেলিভিশন আর প্রাদেশিক টেলিভিশন কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রধানতঃ উপগ্রহ, কমিউনিটি এন্টিনা , রেডিওভিশন এবং মাইক্রোওয়েভ এই চারটি পদ্ধতিতে সারা দেশে সম্প্রচারিত হয়। চীনে রেডিও এবং টেলিভিশনের সঙ্গে জড়িত কর্মচারীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি।
|