চীনের মূল্যবান দ্বীপ তাইওয়ান শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার "গ্রান্ড প্রাইজ" বিজয়ী হিসেবে চীন সফরের আমন্ত্রণ পাই। ১৫ এপ্রিল বিকালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ চীন এর পেইচিং বিমান বন্দরে অবতরণ করি। বিমান বন্দরে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের উপ-পরিচালক মিঃ চিয়াং চিং ছেং স্বাগত জানান। পুরনো বন্ধু মিঃ চিয়াং আনন্দে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। মুখে তাঁর স্নিগ্ধহাসি। জিজ্ঞেস করলেন , আপনি কেমন আছেন, কেমন আছেন বাংলাদেশের বন্ধুরা? উত্তরে বললাম ভাল, আমাদের শ্রোতাদের অকৃত্রিম শুভেচ্ছা আর ভালবাসা নিয়ে আমি এসেছি বাংলাদেশ থেকে। চিয়াং বললেন আপনার আগমনের প্রতিক্ষায় ছিলাম, স্বাগতম, সুস্বাগতম। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে হোটেলের উদ্দেশ্যে সি আর আই এর গাড়ীতে চেপে বসি। গাড়ীতেই চিয়াং পুরো ১০ দিনের সম্ভাব্য সফরসূচি বর্ণনা করলেন। গাড়ী দ্রুত বেগে চলছে, জানালা দিয়ে পরিচিত পেইচিং নগরীর অপরিচিত রূপ দেখতে থাকলাম। বিগত কয়েক বছরে পেইচিং নগরীর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। রাস্তাঘাট অনেক প্রশস্ত হয়েছে। অনেক উঁচু দালান তৈরী হয়েছে, অসংখ্য গাছপালা, সবুজের সমারোহ এ যেন পেইচিং এর নতুন এক অপরূপ নৈসর্গিক রূপ আমার চোখে ফুটে উঠেছে। হোটেলে পৌঁছলাম। হোটেলের নাম "মিনজু-ফান্দিয়ান" , বাংলা অর্থ হলো জাতীয় হোটেল। ১৬ এপ্রিল সকালের নাস্তা সেরে ৮টায় হোটেলের লবীতে চিয়াং সহ মিলিত হলাম যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানী, সুইডেন, রুমানিয়া, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও ভারতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। গ্রান্ড প্রাইজ বিজয়ী ১১টি দেশের ১১ জনের মধ্যে নাইজেরিয়ার প্রতিনিধি তখনও পেইচিং এসে পৌঁছাতে পারেন নি। সবার সাথে পরিচিত হলাম। ৮.৩০ টায় আমরা বেরুলাম তিয়েন আনমেন স্কোয়ার দেখতে। তিয়েন আন মেন এর অর্থ "স্বর্গীয় শান্তির তোরণ"। এ তোরণের নামেই স্কোয়ারের নাম। পৃথিবীর বৃহত্তম স্কোয়ারগুলোর একটা। ১২৪ একর জায়গা জুড়ে বিশাল স্কোয়ারে এক সঙ্গে ৫ লাখ লোক জমায়েত হতে পারে। নগরীর কেন্দ্রস্থলে এ স্কোয়ারের অবস্থান। উত্তর দিকে তিয়েন আনমেন তোরণ ও নিষিদ্ধ নগরীর উচু প্রাচীর। পশ্চিম দিকে মহা গণ ভবন । স্কোয়ারের ঠিক কেন্দ্রস্তলে শহীদ মিনার। স্কোয়ারের দক্ষিণ পাশে মহান নেতা মাও সেতুং এর সমাধি সৌধ। এই সুরম্য ভবনে সংরক্ষিত মাও সেতুং এর মরদেহ। ভবনের চারপাশে রয়েছে মনোরম উদ্যান, নানা জাতের ফুল গাছের সাথে চির সবুজ গাছ।গোটা স্কোয়ার জুড়ে মানুষের ভীড়। আমরা নিষিদ্ধ নগরীর ভিতরে প্রবেশ করলাম। মিং রাজবংশের তৃতীয় সম্রাট ইয়োংশির শাসনামলে ১৪০৬ সালে নিষিদ্ধ নগরীর কাজ শুরু হয়। এক লাখেরও বেশী শ্রমিক ১৪ বছে নির্মাণ কাজ শেখ করেন ১৪২০ সালে। চৌকোনা এ নিষিদ্ধ নগরীর আয়তন ৭ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার। চারদিকে চওড়া পাচিল ১০ মিটার উচু। আর চারপাশে ঘিরে আছে ৫২ মিটার চওড়া একটি গভীর পরিখা। এই প্রাসাদপুরীর বিভিন্ন ভবনের মোট কক্ষ সংখ্যা ৯ হাজারেরও বেশী। বিকালে চীনের গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন ভবনে "চীনের মূল্যবান দ্বীপ তাইওয়ান" শীর্ষক আন্তর্জাতিক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। তিনটায় জাতীয় পরামর্শ সম্মেলন ভবনে আমরা ১০টি দেশের গ্রান্ড প্রাইজ বিজয়ীরা যথারীতি উপস্থিত হই। সম্মেলন ভবনে আমাদেরকে স্বাগত জানান সি আর আই ও সম্মেলন ভবনের কর্মকর্তা বৃন্দ। সম্মেলন ভবনে ঢোকার সাথে সাথেই পত্র-পত্রিকা, রেডিও টেলিভিশন ও অন্যান্য মিডিয়ার সাংবাদিকরা আমাদের ঘিরে ফেলেন। ফটো সাংবাদিকদের ক্যামেরার অনবরত ফ্লাসিং রীতিমত শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করে। ভবনের বিভিন্ন কক্ষ আমরা ঘুরে ঘুরে দেখি। চীনের গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন কমিটির প্রথম ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাও সেতুং সহ চৌ এন লাই, দেং শিয়াও পিং, জিয়াং জেমিন প্রমূখ জাতীয় নেতাদের বিভিন্ন আন্দোলন, কর্মকান্ডের উপর আলোকচিত্র ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে। ঠিক ৩টা ৩০মিনিটে চীনের গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন ভবনের সুরম্য কক্ষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুরস্কার প্রদান করেন চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মি: চৌ থিয়ে লং। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন--- চীনের বেতার, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধি দফ্তরের উপ মহা পরিচালক মি: হু চাং ফ্যান, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের মহা পরিচালক ওয়াং ক্যান নিয়েন, উপ-মহা পরিচালক চেন মিন ই সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ। ভাইস চেয়ারম্যান চৌ থিয়ে লং তাঁর ভাষণে চীনের বতর্মান রাজনৈতিক অবস্থা ও গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন সম্পর্কে আমাদেরকে ধারণা দেন। পরে সবার সঙ্গে ছবি তুলেন ও চা-চক্রে মিলিত হন। খুবই আনন্দঘন ও আন্তরিক পরিবেশে পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ এপ্রিল সকালে আমরা সামার প্যালেস ভ্রমণে যাই। দুপুরে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের মহাপরিচালক মিঃ ওয়াং ক্যান নিয়েন আমাদের সম্মানে এক মধ্যাহ্ন ভোজসভার আয়োজন করেন। ভোজসভার শুরুতে তিনি সি আর আই এর সকল কর্মীদের পক্ষ থেকে আমাদের চীন সফরকে স্বাগত জানান। তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা তথা সারা বিশ্বের স্ব স্ব দেশের শ্রোতাদের প্রতিনিধি হিসেবে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠান উন্নত করার জন্য দীর্ঘকাল ধরে যে অবদান রেখেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের মান উন্নয়নে আপনাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ অব্যাহত রাখবেন। বক্তব্য শেষে স্বাস্থ্যপান প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে খাওয়া শুরু হলো। খাদ্য তালিকায় প্রায় ৪০টি আইটেম ছিল। ১৮ এপ্রিল সকালে চীনের মহাপ্রাচীর ও বিকালে রাজধানী যাদুঘর পরিদর্শন করি। বিকালে আমরা চীন আন্তর্জাতিক বেতার ভবন পরিদর্শন করি এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মী বন্ধুদের সাথে মিলিত হই। বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইয়ু কোয়াং য়ুএ সহ অন্যান্য বন্ধুদের সাথে আন্তরিক ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা ও মত বিনিময় করি। সন্ধ্যায় ফুচিয়ান প্রদেশে অবস্থিত চীনের বিখ্যাত পর্যটন বন্ধর ও শিল্প নগরী শিয়ামেন এর উদ্দেশ্যে বিমানযোগে পেইচিং ত্যাগ করি এবং রাত ১১টায় শিয়ামেন পৌঁছি। হোটেলে পৌঁছালে শিয়ামেন পর্যটন কর্তৃপক্ষ আমাদের স্বাগত জানান। শিয়ামেন তাইওয়ান সীমান্তবর্তী দূষণমুক্ত সবুজ শ্যামল আকর্ষণীয় দ্বীপ শহর। শহরের ৫০% এলাকা জুড়ে সবুজ বন রয়েছে। আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। শহরের অসংখ্য দর্শনীয় স্থান, যাদুঘর, বৌদ্ধ মন্দির, চার্চ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পার্ক, চিড়িয়াখানা, লেক, বিখ্যাত কুলান দ্বীপ প্রভৃতি রয়েছে। ২০ এপ্রিল সকালে আমরা কুলান দ্বীপ ভ্রমণে যাই।কুলান দ্বীপটিতে বড় বড় পাথরের সুউচ্চ পাহাড়, বিখ্যাত পিয়ানো যাদুঘর, লেক ,পার্ক, অসংখ্য চার্চ, সমুদ্র সৈকত, পুরনো গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ভবন, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ও কীর্তি সমুহ রয়েছে। পাহাড়ের শীর্ষে উঠার জন্য অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয় ভাবে সিড়ি তৈরী করা হয়েছে। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে দোকানপাট ও পাথরের গায়ে আকর্ষণীয় কারুকাজ করা রয়েছে। পাহাড়ের শীর্ষ থেকে কুলান দ্বীপের অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্য আমরা অবলোকন করেছি। বিখ্যাত পিয়ানো যাদুঘরটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত। এখানে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত পিয়ানো রয়েছে। বিকালে একটি বিশেষ জাহাজে করে আমরা ১১টি দেশের প্রতিনিধি, সি আর আই এর উপ-মহাপরিচালক মিঃ ছেন মিন ঈ সহ প্রায় ৩০ জনের টিম তাইওয়ান প্রণালীতে নৌ বিহার করি। সাগরের হাজার হাজার ঢেউ ভেঙ্গে প্রায় ১ ঘন্টা পর জাহাজটি তাইওয়ান প্রণালীর জিরো পয়েন্টে চিনম্যান দ্বীপের সন্নিকটে পৌঁছে। সেখান থেকে আমরা তাইওয়ান এর চিনম্যান দ্বীপসহ অসংখ্য তাইওয়ানি দ্বীপ দর্শন করি। জিরো পয়েন্টে ২০ মিনিট অবস্থান করার পর আমরা শিয়ামেন এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। সন্ধ্যায় শিয়ামেন এর মেয়র আমাদের সম্মানে এক নৈশ ভোজসভার আয়োজন করেন। ভোজসভায় গ্রান্ড প্রাইজ বিজয়ীরা, শিয়ামেন সিটি কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিয়ামেন পর্যটন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সি আর আই উপ-মহাপরিচালক ছেন মিন ঈ সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ২১ এপ্রিল সকালে আমরা শিয়ামেন শহরের ঐতিহাসিক "ছেন ছিয়াগেন শিক্ষাপল্লী" পরিদর্শন করি। বিকালে একটি আকর্ষণীয় বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করি। সেখানে সাক্যমুনি বৌদ্ধের সুন্দর মূর্তি রয়েছে। চীনের সারা দেশের বৌদ্ধ মন্দিরের নির্মাণ শৈলী প্রায় একই রকমের । তবে এ মন্দিরটি একটু ব্যতিক্রম। এখানকার মন্দিরের ছাদ চীনা মাটির ও স্তম্ভগুলি পাথরের তৈরী। মন্দির পরিদর্শন শেষে চীনের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম শিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। শিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সম্মানে একটি সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছালে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আমাদের স্বাগত জানান। পরে নির্ধারিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি ঘুরে ঘুরে দেখি। বিশাল এলাকা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রয়েছে। রয়েছ দীর্ঘ লেক, অসংখ্য মনোরম বাগান। ফুলে ফুলে সজ্জিত রাস্তা-ঘাট। অত্যন্ত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে "আইহুয়া কিন্ডার গার্টেন স্কুল" পরিদর্শনে যাই। সেখানে পৌঁছার পর কিন্ডার গার্টেনের ছোট ছোট শিশুরা নেচে গেয়ে আমাদের স্বাগত জানায়। আমরাও তাদের সাথে নাচে অংশগ্রহণ করি এবং শিশুদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ করি। উল্লেখ্য উক্ত কিন্ডার গার্টেনের সকল শিশুরা তাইওয়ানীজ। ২২ এপ্রিল সকালে শিয়ামেন শিল্প নগরী এলাকায় কয়েকটি শিল্প কারখানা পরিদর্শন করি। বিকালে পেইচিং এর উদ্দেশ্যে শিয়ামেন ত্যাগ করি। সন্ধ্যায় পেইচিং পৌঁছি। ২৩ এপ্রিল সকালে পেইচিং এর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের কর্মীদের সাথে এক বনভোজনে মিলিত হই। খুবই আনন্দঘন পরিবেশে তাদের সাথে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করি এবং মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে আমরা চীন আন্তর্জাতিক বেতার ভবনে ফিরে আসি। চীন আন্তর্জাতিক বেতার ভবনে বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কোয়াং য়ুএ, উপ-পরিচালক চিয়াং চিং ছেং সহ প্রথম এশিয়া বিভাগের পরিচালকের সাথে বৈঠকে মিলিত হই। শ্রোতা সংঘ ও সি আর আই এর মধ্যে বছরে অন্ততঃ দুটি প্রতিনিধি দল সফর বিনিময় সহ দু'দেশের জনগণের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে মত বিনিময় হয়। ২৪ এপ্রিল সকালে চীনের কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করি। বিকালে পুরনো বন্ধুদের সাথে মিলিত হই। ২৫ এপ্রিল ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে পেইচিং ত্যাগ করি। আমার এবারকার চীন সফর খুবই ফলপ্রসু হয়েছে। চীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাত্ সি আর আই এর সকল স্তরের নেতা কর্মীদের , বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রোতা প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় হয়েছে। এ সফরের মাধ্যমে আশা করি চীন আন্তর্জাতিক বেতার ও বাংলাদেশের শ্রোতাদের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
-- জিল্লুর রহমান জিলু মহাসচিব সি আর আই লিসেনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশ
|