v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-16 20:05:57    
বাবরঃ সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যে চাই নিরাপত্তা

cri

    চীন ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ২০০৫ সালে সফর বিনিময়কালে স্বাক্ষরিত একগুচ্ছ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তির আওতায় প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে সম্প্রতি পেইচিংয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফজ্জামান বাবর।

    সে সময় চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ূ কোয়াং য়ুএ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সাক্ষাত্কার নেন। সাক্ষাত্কারটির প্রধান অংশ উদ্ভৃত হলোঃ

    প্রশ্নঃ ক'বার চীনে এলেন?

    উঃ সরকারীভাবে এই নিয়ে দু'বার।

    প্রশ্নঃ আপনার এবারকার সফরকালে চীনের গণ-নিরাপত্তা মন্ত্রী চৌ ইয়োং খাং উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী তাই বিন কুও'র সাক্ষাত্ ও বৈঠককালে আপনাদের কি কি চুক্তি বা মতৈক্য হয়েছে?

    উঃ ২০০৫ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর চীনের গণ-নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার ফলশ্রুতিতে একটি যুক্ত কর্মগ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই গ্রুপের প্রথম বৈঠক গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। তা ছিল অত্যন্ত ফলপ্রসূ। এরপর চীনের গণ-নিরাপত্তা মন্ত্রী মাননীয় চৌ ইয়োং খাং-এর সঙ্গে আমার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি, বিশেষ করে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দু'দেশের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা, প্রশিক্ষণ, লজিস্টিক্স সরবরাহ ইত্যাদি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

    প্রশ্নঃ এটা কি বলা যায় যে, দু'দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে নূতন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে?

    উঃ নিশ্চয়ই। আমি তো তাই মনে করছি যে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর চীনের গণ-নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতার ফলক উন্মোচিত হয়েছে।

    প্রশ্নঃ বর্তমানে চীন আর বাংলাদেশের মধ্যে যে সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা চলছে, দক্ষিণ এশিয়া তথা গোটা এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এর কি বিশেষ কোনো তাত্পর্য আছে?

    উঃ অবশ্যই আছে। দক্ষিণ এশিয়া তথা গোটা অঞ্চলে এর বিশেষ ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি। কারণ আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং চীনের সঙ্গে সহযোগিতার সুবাদে এই সন্ত্রাসবাদ আর চরমপন্থীবাদ আরো ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারবো।

    প্রশ্নঃ গত বছর ছিলো চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী এবং চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী বর্ষ। গত বছরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিলো চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান রুট চালু। প্রায় এক বছরে এ থেকে দু'দেশ কি কি কল্যাণ লাভ করেছে?

    উঃ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বছরে একটি খুব তাত্পর্যসম্পন্ন বিষয় ছিলো দু'দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর সফর বিনিময়। দু'দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়ায়। দু'দেশের জনগণের মধ্যে আসা-যাওয়া অনেক গুণে বেড়েছে। আমি নিজেও এবার চীনা বিমানে চড়ে খুয়েনমিং হয়ে পেইচিংয়ে এসেছি। আমি মনে করি, এই ফ্লাইটের কল্যাণে বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ীদের উভয় দেশের আসা-যাওয়া অনেক বেশী হয়েছে।

    প্রশ্নঃ চীনা বিমানের যাত্রী হিসেবে আপনি কি সন্তোষজনক পরিসেবা পেয়েছেন?

    উঃ আমি সন্তোষজনক পরিসেবা পেয়েছি।

    প্রশ্নঃ গত বছর চীনের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর বাস্তবায়নের অবস্থা কি?

    উঃ প্রত্যেকটা জিনিস এগুচ্ছে। আসলে কোনো কিছুই রাতারাতি বাস্তবায়িত হয় না, সময় লাগে। আমাদের সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরই একটি বড় কাজ। বাস্তবায়নটা দু'দেশের সহযোগিতা আর সমঝোতার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কঠিন ধাপটা পার করেছি।

    প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের ভবিষ্যত কেমন?

    উঃ আমাদের সম্পর্ক উতোমধ্যেই উন্নত অবস্থায় আছে? তবে আরও জোরদার করার জন্যে ঘন ঘন সফর বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা তথ্য ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির আরও ক্ষেত্র ও উপায় বাড়াতে পারি, যাতে দু'দেশ এর সুফল ভোগ করতে পারে। আমি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ নিয়ে আশাবাদী।

     প্রশ্নঃ শুধু বাংলাদেশই নয়, পঞ্চাশাধিক দেশের বাংলাভাষী বন্ধুরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এ সুযোগে আপনি তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

    উঃ বাংলাদেশ একটি আধুনিক ও উদার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। দেশের জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ মুসলমান হলেও সকল ধর্মের লোকেরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে সহাবস্থানের মাধ্যমে বিশ্বে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। আমরা নিরাপত্তা রক্ষার উপর বেশী গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ আমরা মনে করি, নিরাপত্তা হচ্ছে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি থাকলে মানুষ শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারবে, ব্যবসা-বানিজ্য করতে পারবে এবং বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। বিদেশী বিনিয়োগ এখন গত ৫ বছর আগেকার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ৬.৭ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ ধারা বজায় থাকলে আমরা আগামী ১০ বছরের মধ্যে উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছুতে পারবো।