v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-27 15:18:53    
দি ডেইলী স্টার পত্রিকার নাফিদ ইমরান আহমেদের দেয়া সাক্ষাত্কার

cri
 বাংলাদেশের দি ডেইলী স্টার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ ও আইটি পেজ ইনচার্জ নাফিদ ইমরান আহমেদ চীন সফরকালে আমাদের সংবাদদাতা ইয়াং ওয়েই মিংকে সাক্ষাত্কার দিয়েছেন।

 সংবাদদাতাঃ আমাদের বেতারের পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা শুনেছি পেইচিং আসার আগে আপনারা সিছুয়ান প্রদেশের ছোংছিংয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে আপনাদের কর্মতত্পরতা সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন।

 নাফিদঃ নকিয়া ফোন কোম্পানীর ইনভাইটেশনে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। দক্ষিণ এশিয়া ও চীনের জন্য কিছু নতুন ফোন ছেড়েছে তারা । এ জন্য বেশ কিছু সেমিনারের আয়োজন করে নকিয়া। ওই সেমিনারে আমরা পার্টিসিপেট করি।

 সংবাদদাতাঃ আগেই আপনারা ছোংছিং বা সিছুয়ানের নাম শুনেছেন , তাই না?

 নাফিদঃ জি, ছোংছিংয়ের নাম সেভাবে না শুনলেও যখন ঠিক হলো আমি সেখানে যাচ্ছি , তখন এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছি, ইন্টারনেট গিয়ে জানতে চেষ্টা করেছি কেমন জায়গা, আবহাওয়াই বা কেমন?

 সংবাদদাতাঃ সেখানে যাওয়ার পর আপনারা নিশ্চয়ই সেখানকার মানুষ আর রীতিনীতি সম্পর্কে কিছু তথ্য পেয়েছেন?

 নাফিদঃ ছোংছিংয়ে আমরা দু'দিন ছিলাম। আমাদের অনুষ্ঠান ছিল বিকালের দিকে। সকালে আমরা একটা ট্যুর নিয়েছিলাম, পুরো ছোংছিং শহরটা এবং সেখানে যতো নাম করা জায়গা আছে তা দেখার জন্য। আমাদের খুবই ভালো লেগেছে, দুটো নদী ওখানে মিলেছে, সারাক্ষণ ওখানে কুয়াশার মতো হয়ে থাকে, যার কারণে ওটাকে বলা হয় কুয়াশার শহর। একটা পার্কে গিয়েছিলাম যেখান থেকে ছোংছিং শহরটা পুরো দেখা যায়। খুবই ভালো লেগেছে।

 সংবাদদাতাঃ আপনি আইটি ক্ষেত্রে কাজ করেন। চীনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনাদের কি ধারণা বা অভিজ্ঞতা ছিলো?

 নাফিদঃ দেশে থাকতেই আমরা জেনেছি যে, তথ্য প্রযুক্তিতে চীন অনেকখানি এগিয়ে গেছে। ইলেকট্রনিক্সেও চীন এতো এগিয়ে গেছে, আমাদের দেশে এখন টেলিভিশন, ডিভিডি প্লেয়ার, সিডি প্লেয়ার সব চীন থেকেই আসছে, পৃথিবীর সব জায়গাতেই যাচ্ছে। এমন কোনো বড় কোম্পানী নেই যাদের প্রোডাকশন প্ল্যান্ট নেই চীনে। চীনের তথ্য প্রযুক্তি পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে গেছে দিনে দিনে তা আরো উন্নত হচ্ছে।

 সংবাদদাতাঃ আপনারা একটু আগে আমাদের ওয়েবসাইট দেখেছেন। কেমন মনে হয়েছে?

 নাফিদঃ আমি আসলে জানতাম না এমন একটা বাংলা ওয়েবসাইট চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনালের আছে। আমি দেখে মুগ্ধ। আমি খুবই খুশি হয়েছি, দেশে ফেরার পর আমি এটাকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

 সংবাদদাতাঃ গতকাল আপনারা চীনের মহাপ্রাচীর দেখতে গিয়েছিলেন, তাই না? এছাড়া আর কোথায় কোথায় বেড়াতে গেছেন?

 নাফিদঃ আমরা মহাপ্রাচীরে যাবার আগের দিন গিয়েছি ফরবিডেন সিটিতে। ওখানে গিয়ে আমরা দেখলাম আপনাদের ঐতিহ্যকে। খুবই ভাল লেগেছে। ইতিহাসকে জানতে পারলাম, নিজের চোখে দেখতে পেলাম, এতো বছরের পুরনো ইতিহাস। ওখান থেকে থিয়েন-আন-মেন স্কয়ার। পরদিন আমরা যাই মহাপ্রাচীরে , সেখান থেকে মিং টুম্বস। সেখানকার দুটি-তিনটি জায়গায় ঘুরেছি , মনে হয়েছে ইতিহাসের সঙ্গে হেঁটেছি।

 সংবাদদাতাঃ দেশে ফিরে গিয়ে চীনের কোন জিনিস সম্পর্কে বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনকে বলবেন?

 নাফিদঃ প্রথম যে জিনিসটা আমি বলবো, সেটা হচ্ছে চীনের মানুষের কথা। তারা যে পরিমাণ পরিশ্রমী এবং আমি যা দেখেছি , একটা দেশকে যদি এগিয়ে যেতে হয় , তাহলে সেদেশের মানুষ যদি এমন না হয়, তাহলে কখনোই সম্ভব হবে না। চীনকে দেখে আমাদের দেশের মানুষের শেখা উচিত, সেটাই আমি তাদের বলবো।

 সংবাদদাতাঃ আশা করি আপনারা আবার চীন সফরে আসবেন। চীনে আবার দেখা হবে।

 নাফিদঃ থ্যাংকিউ।