**চীনের সুচৌ শহর কি রকম?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের জামালপুর জেলার মেলান্দহের খাশিমারা গ্রামের সি আর আই শ্রোতা ক্লাবের সহ-সভাপতি এম এম তারেক আজিজ
উঃ সুচৌ শহর হচ্ছে বিখ্যাত ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক নগর এবং পর্যটন স্থান। সুচৌ শহরের আবহাওয়া মৃদু, প্রচুর বৃষ্টি হয়। বার্ষিক গড়পরতা তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যরয়েছে।
**চীনের প্রথম রাজবংশ সিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কে? রাজবংশের শাসন কত সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত? চীনের দ্বিতীয় রাজবংশের নাম কি?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ার নেট ওয়ার্ল্ড রেডিও এ্যান্ড টিভি ফ্যান ক্লাবের চেয়ারম্যান মশরুর জুনাইদ
উঃ সিয়া রাজবংশ ছিল ইতিহাসে চীনের প্রথম রাজবংশ । খ্রীষ্টপূর্বএকবিংশ শতাব্দি থেকে খ্রীষ্টপূর্বষোড়শ শতাব্দি পর্যন্ত সিয়া রাজবংশ প্রায় ৫০০ বছর স্থায়ী ছিল। সিয়া রাজবংশের ১৪টি প্রজন্মের ১৭জন রাজা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন।বর্তমান চীনের সানসি প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও হোনান প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল ছিল সিয়া রাজবংশের প্রধান শাসনাধীন অঞ্চল ।
সিয়া রাজবংশের প্রথম সম্রাট দা ইয়ু ছিলেন একজন ঐতিহাসিক বীর। কথিত আছে ,তিনি হোয়াংহো নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য অর্জন করে উপজাতির মানুষদের সমর্থন পেয়েছিলেন এবং অবশেষে সিয়া রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সিয়া রাজবংশের পর প্রতিষ্ঠিত সাং রাজবংশই প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্যাদির দ্বারা প্রমানিত চীনের প্রাচীনকালের প্রথম রাজবংশ । সাং রাজবংশ আনুমানিক খ্রীষ্টপুর্ব ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং খ্রীষ্টপুর্ব একাদশ শতাব্দীতে বিলুপ্ত হয় ।সাং রাজবংশের শাসন প্রায় ছয় শো বছর স্থায়ী ছিল । প্রত্নতত্ত্ববিদদের খননকাজে প্রাপ্ত পুরাকীর্তি থেকে প্রমান পাওয়া গেছে যে , সাং রাজত্বকালের প্রথম যুগে চীনের সভ্যতা বেশ উন্নত ছিল । কচ্ছপের খোলের উপরে খোদিত চীনা শব্দ এবং তামার পাত্রের উপরে খোদিত চীনা শব্দ তদানীন্তন চীনা সভ্যতার প্রধান নিদর্শন । প্রত্নতাত্ত্বিকখননকাজ ও গবেষণা থেকে প্রমান পাওয়া গেছে যে , সাং রাজত্বকালে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে এবং ব্যক্তিগত মালিকানাও প্রবর্তিত হয়েছে । তখন থেকে চীন ঐতিহাসিক সভ্যতার যুগে প্রবেশ করে ।
**খুনমিং শহর কি রকম এবং খুনমিং থেকে পেইচিং এর দুরত্ব কত?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের ঢাকার বাংলাবাজারের মিঠুন বিশ্বাস
উঃ খুনমিং হচ্ছে চীনের ইউন্নান প্রদেশের রাজধানী। এই শহরের ২৪০০ বছর ইতিহাস আছে। খুনমিং হচ্ছে ইউন্নান প্রদেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত এবং পরিবহন কেন্দ্র, এবং চীনের বিখ্যাত ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক নগর এবং শ্রেষ্ঠ পর্যটন শহর। খুনমিং শহরের আয়তন প্রায় ১৫৫৬০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৪০ লাখ। ২৬টি জাতি এখানে বসবাস করেন।
খুনমিং থেকে পেইচিংয়ের দুরত্ব ৩৪০০ কিলোমিটার, বিমান যোগে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লাগে।
**চীনা ছেলে মেয়েরা কি ঘুড়ি উড়ায়?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার লক্ষীপুর মোড়ের বিসমিল্লাহ সুপার মার্কেটের মোহাম্মদ আব্দুর রহিম
উঃ ঘুড়ি উড়ানোয় চীনে প্রায় দু'হাজারাধিক বছরের ইতিহাস আছে। থাং রাজবংশ থেকে ঘুড়ি ক্রমে ক্রমে খেলনায় পরিণত হয়েছে। তখন থেকে চীনের ঘুড়ি প্রথমে কোরিয়া, জাপান , মালয়েশিয়া প্রভৃতি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশে ছড়িয়েছে, তারপর ইউরোপ ও আমেরিকা প্রভৃতি অঞ্চলেও জনপ্রিয় হয়েছে। মার্কিন ওয়াশিংটন মহাকাশযান যাদুঘরের হলে একটি চীনা ঘুড়ি দেওয়ালে লাগানো আছে, তার পাশে লেখা আছে, "মানবজাতির সর্ব প্রথম উড্ডয়ন যন্ত্র হচ্ছে চীনের ঘুড়ি ও রকেট।"
এখন ঘুড়ি উড়ানো হচ্ছে চীনের জনসাধারণের পছন্দের বিনোদন। পার্কে প্রায় দেখা যায়, আকাশের উঁচুতে ঘুড়ি উড়ছে। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতি বছরে ঘুড়ি উত্সব আয়োজিত হয়। কেবল চীনারা তা পছন্দ করেন তা নয়, ঘুড়ি উত্সব পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ঘুড়ি অনুরাগীকেও আকর্ষণ করে।
|