*** চীনের প্রেসিডেন্টেরনাম কি? তার দায়দায়িত্ব কি? কার্য মেয়াদ কত বছর?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার লিপন স্মৃতি রেডিও লিসনার্স ক্লাবের শরিফুল ইসলাম, চাঁদপুর জেলার মতলব রোডের ধনপর্দ্দি গ্রামের মোঃ নাসির খান, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীর ইন্টারনেট চায়না রেডিও লিসনার্স ক্লাবের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র সাহা, বগুড়া জেলার নিমাইদীঘি গ্রামের সারাক ইন্টারন্যাশনাল রেডিও লিসনার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম আব্দুর রাজ্জাক, জয়পুরহাট জেলার ধারকীর চায়না লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি এম এম পারভেজ
উঃ চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্টের নাম হু চিন থাও। তিনি হচ্ছে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক , চীন গণ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট , চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান ও চীন গণ প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান । তিনি চীন গণ প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধি। চীনের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের কার্যমেয়াদ পাঁচ বছর, একটানা মাত্র দু'বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন।
হু চিন থাও ১৯৪২ সালের ডিসেম্বর মাসে আন হুই প্রদেশের চিশিতে জন্মগ্রহন করেন , ১৯৬৪ সালের এপ্রিল মাসে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন , তিনি চীনের বিখ্যাত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান---ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন । গত শতাব্দীর আশির দশকে তিনি চীনের দুটি সবচেয়ে বিখ্যাত যুব সংস্থা---চীনের কমিউনিস্ট যুব লীগ ও জাতীয় যুব ফেডারেশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছিলেন । এর পর তিনি কুই চৌ প্রদেশ ও তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে নেতৃস্থানীয় পদে কাজ করেছিলেন ।
*** চীনের পার্লামেন্ট বা আইন সভার নাম কি? এর সদস্য সংখ্যা কত? মহিলা সদস্য কতজন? কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়? কত বছর পর পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়? চীনের নাগরিকগণ কি ভোটের মাধ্যমে জন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন ? ইত্যাদি।
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার সুলতানশাহীর লিপন স্মৃতি লিসেনার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বি এম ফয়সাল আহমেদ, ঘোড়াদাইড়ের বেতার বন্ধু শ্রোতা সংঘের মোঃ রুবেল আহম্মেদ মল্লিক , গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের জীবনপুরের আশরাফুল আশেক, রংপুর জেলার বুড়িরহাট ফার্মের গোয়ালু ডিএক্স রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের অপরূপা রেডিও লিসনার্স ক্লাবের মিস. কামরুন নাহার শীলা, খাশিমারার পূর্ব নলছিয়া গ্রামের সি আর আই শ্রোতা ক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশীদ, নাটোর জেলার আলাদী গ্রামের উত্তরণ সি আর আই লিসনার্স ক্লাবের মোঃ মশিউর রহমান, নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের কান্দাপাড়ার মা রেডিও এসোশিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোঃ ইউসুফ রায়হান , চুয়াডাঙ্গা জেলার জগন্নাথপুর গ্রামের অনন্যা পারভীন আরিফা , খুলনা জেলার কপিলমুনির সন্ধ্যা মেমোরিয়াল ডিএক্সিং ক্লাবের সভাপতি ডাঃ বিকাশ রজেন ঘোষ প্রমুখ ।
উঃ চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেস হচ্ছে চীনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সংস্থা, তবে আমরা তাকে পার্লামেন্ট বা আইন সভা বলি না। কারণ চীনের গণ কংগ্রেস ব্যবস্থা আর বিদেশের সংসদ ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য আছে।
চীন একটি বহুজাতিক দেশ। বিভিন্ন জাতির আঞ্চলিক স্বশাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে এখানে। কেন্দ্রীয় কমিটি আর স্থানীয় অঞ্চলের সম্পর্ক নিষ্পত্তির সময় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্ব আর স্থানীয় অঞ্চলের সক্রিয় সহযোগিতার ভিত্তিতে দু'পক্ষের স্বার্থ সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে হয়। এটা হচ্ছে চীনে গণ কংগ্রেস ব্যবস্থা চালু করার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
কেউ কেউ চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনকে উচ্চতর সংসদ মনে করেন, এটাও ভুল। চেয়ারম্যান মাও সে তুং বলেছেন, জাতীয় গণ কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় পরিষদ হচ্ছে দেশের ক্ষমতা সংস্থা আর প্রশাসনিক পরিচালনা সংস্থা। যদি গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনকেও জাতীয় ক্ষমতাসংস্থা হিসাবে গড়ে তোলা হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতা কার্যকরী হবে না। তাই গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন চীনের জাতীয় ক্ষমতা সংস্থা নয়।
সংবিধান অনুযায়ী চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধির সংখ্যা ৩০০০ এর মধ্যে, বর্তমান দশম জাতীয় গণ কংগ্রেসের নারী প্রতিনিধির সংখ্যা ৬০০র বেশি, মোট প্রতিনিধি সংখ্যার তুলনায় ২০ শতাংশের বেশি।
জাতীয় গণ কংগ্রেস প্রতি বছর এক বার অধিবেশ আয়োজন করে, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন করে। চীনের নাগরিকগণ ভোটের মাধ্যমে গণ প্রতিনিধি নির্বাচন করেন । চীনের নির্বাচন আইন অনুযায়ী, চীনের ১৮ বছরের উপরে জাতি, লিঙ্গ, পেশা, ধর্ম, শিক্ষা, আর্থিক অবস্থা যাই হোক না কেন, সকল নাগরিকে নির্বাচনের এবং নির্বাচিত হবার অধিকার আছে। জেলা পর্যায়ের গণ প্রতিনিধি সরাসরি ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হন।
|