চীন দেশে কি মিস্টি কুমড়া জন্মে?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের পাবনা জেলার চাটমোহরের লাঙ্গলমোড়ার ডাঃ মোঃ রাফিকুল আজিজ
উঃ চীনে অবশ্যই মিষ্টি কুমড়া জন্মে। মিষ্টি কুমড়া উত্তর ও দক্ষিণ চীনে সবখানেই পাওয়া যায়, এবং বাজারেও সহজে দেখা যায়। আমরা প্রায় তা খাই। চীনের রাজনৈতিক অংগনে এ পর্যন্ত কত জন প্রধান মন্ত্রী হয়েছে এবং নাম কি কি ?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের নাটোর জেলার উত্তরণ চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল লিসনার্স ক্লাবের মোঃ আরিফুল আলম মিলন
উঃ এই পর্যন্ত নয়া চীনের ছয় জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ১৯৪৯ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৭৬ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত চৌ এন লাই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হুয়াং কুও ফোং চীনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত চাও জি ইয়াং চীনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৭ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৯৮ সালের মার্চ পর্যন্ত লি ফোং চীনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৮ সালের মার্চ থেকে ২০০৩ সালের মার্চ পর্যন্ত চু রোং জি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৩ সালের মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত ওয়েন চিয়াং পাও চীনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের মোঃ আরিফুল আলম মিলন
উঃ চীনের প্রাকৃতিক সম্পদের রকমারিতা সমৃদ্ধ এবং প্রাচূর্যময়। চীন হচ্ছে আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। অন্যতম প্রধান শক্তিসম্পদের অধিকারী দেশ, খনিজ সম্পদ ক্ষেত্রে অল্পসংখ্যক স্বনির্ভর দেশগুলোর অন্যতম। চীনের বনাঞ্চলের আয়তন পৃথিবীতে চতুর্থ স্থানে আছে। চীনের প্রাণী সম্পদ অত্যন্ত সমৃদ্ধ অর্থাত্ মালয়েশিয়া এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
চীন ভ্রমণকারী প্রথম ইউরোপীয় ব্যক্তি কে?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার হরিপুর গ্রামের সোনার বাংলা রেডিও ক্লাবের পরিচালক এ এইচ এম গোলাম রসুল
উঃ ইতিহাসে ইউরোপীয়দের কাছে চীনের তথ্য জানানোর প্রথম ইউরোপীয় ব্যক্তি হলেন মার্কো পোলো। তিনি ১২৭১ সালে চীনে আসেন, পেইচিংয়ে দশ বছর ছিলেন। তিনি শতাধিক প্রবন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চীনের চল্লিশাধিক শহরের বর্ণনা করেন। এই ইতালীয় নাগরিক মধ্য শতাব্দীর মহান পর্যটক বলে পরিচিত।
চীনদেশে HIV আক্রান্ত পুরুষ ও মহিলার শতকরা হার কত?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামাসনা মিতালী ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের মোঃ দোলন খান এবং রাজশাহী জেলার বালুদিয়ারের ওয়েভ হান্টার এসোসিয়েশনের মোঃ আব্দুল হামিদ
উঃ ১৯৮৫ সালে চীনের প্রথম এইডস রোগী আবিস্কৃত হওয়ার পর এইডস রোগীর সংখ্যা দ্রুতই বেড়ে চলেছে। ২০০৩ সালের প্রাথমিক বিশ্লেষণের ফলাফল অনুযায়ী, বর্তমানে চীনের এইডস ভাইরাসবাহীদের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার, এর মধ্যে এইডস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।
চীন সরকার এইডস রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিত্সার উপরে উচ্চ মানের গুরুত্ব দেয়। চীন পর পর "এইডস রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত মাঝারি ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা " এবং "চীনের এইডস রোগ দমন ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কর্মসূচী" ইত্যাদি কতোকগুলো নির্দেশক দলিল প্রকাশ করেছে। প্রাথমিকভাবে চীনের জাতীয় অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়া এইডস রোগ প্রতিরোধ ও চিকিত্সা সংক্রান্ত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৩ সালে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের এইডস রোগ প্রতিরোধ করার জন্য চীন আরো ২৭ কোটি ইউয়ান বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে।
|