*** চীন সমাজতান্ত্রিক না গণতান্ত্রিক দেশ?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার সুলতানশাহীর লিপন স্মৃতি রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি বি এম ফয়সাল আহমেদ
উঃ চীন অবশ্যই সমাজতান্ত্রিক দেশ। গণ প্রজাতন্ত্রী চীন হলো শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে পরিচালিত এবং শ্রমিক-কৃষক মৈত্রীর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত জন-গণতান্ত্রিক একনায়কত্বের একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মৌলিক ব্যবস্থা ।
*** চীনের বর্তমান সংবিধান কবে, কোথায় গৃহীত হয়? চীনের সংবিধানের তাত্ত্বিক ভিত্তি কি?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার সুলতানশাহীর লিপন স্মৃতি রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি বি এম ফয়সাল আহমেদ
উঃ গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে প্রকাশিত " চীনের গণ-রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের অভিন্ন কর্মসূচী " যেমন চীনের জন- গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্টের কর্মসূচী , তেমনি চীনের একটি অস্থায়ী সংবিধান । চীনের গণ-রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে " অভিন্ন কর্মসূচী " গৃহিত হওয়ার পর ১৯৪৯ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় । ১৯৫৪ সালে " গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধান "প্রকাশের আগে " সাধারণ কর্মসূচী " বাস্তব ক্ষেত্রে অস্থায়ী সংবিধানের ভুমিকা পালন করে।
১৯৪৯ সালের পয়লা অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর চীন ১৯৫৪ সালে , ১৯৭৫ সালে , ১৯৭৮ সালে আর ১৯৮২ সালে মোট চারবার সংবিধান সংশোধন ও প্রকাশ করেছে ।
চীনের চতুর্থ সংশোধিত সংবিধান ১৯৮২ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর চীনের পঞ্চম জাতীয় গণ-কংগ্রেসের পঞ্চম অধিবেশনে গৃহিত ও প্রকাশিত হয় । এই সংবিধান চীনের স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়নের গঠনকাজের চাহিদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটি মৌলিক বিধান। এই বিধানে চীন গণ-প্রজাতন্ত্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা , অর্থনৈতিক ব্যবস্থা , নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব , রাষ্ট্রীয় সংস্থার বিন্যাস ও তাদের দায়িত্ব আর দেশের ভবিষ্যত মৌলিক কর্তব্য স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে । তার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে চীনের মৌলিক ব্যবস্থা ও মৌলিক কর্তব্য নির্ধারন করা হয়েছে এবং চারটে মৌলিক নীতি আর সংস্কার ও উন্মুক্ততার মৌলিক কর্মসুচী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।
সংবিধানটি প্রকাশের পর আরো নিখুঁত করার জন্য মোট চার বার সংশোধন করা হয়েছে।
*** চীনের দীর্ঘতম সেতুর নাম কি? এটি কোথায় অবস্থিত এবং এটি কত কিলোমিটার দীর্ঘ?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের মাগুরা জেলার শ্রীপুরের মালাইনগর গ্রামের মিঠুন কুমার বিশ্বাস, নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার মেহেরপাড়া গ্রামের মোঃ শফিউদ্দিন, বগুড়া জেলার চাঁদনী বাজারের পুরান বগুড়ার মোঃ সাইফুল ইসলাম
উঃ ২০০৩ সালের ৮ জুন চীনের তথা বিশের দীর্ঘতম সমুদ্রপার সেতু নিংপো হাংচৌ উপসাগর পাড়ি দেয়া সেতুর নির্মান প্রকল্প শুরু হয়। ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু চীনের দীর্ঘতম সেতু হবে। তার নির্মাণকাজ ২০০৮ সালে শেষ হওয়ার কথা।
নয়া চীনের প্রথম নিজের নকশায় নির্মিত সেতু হচ্ছে ১৯৩৭ সালে নির্মিত ছিয়েনথাংচিয়াং সেতু। তারপর চীনের নদ-নদীতে হাজারাধিক সেতু নির্মিত হয়েছে, ফলে চীনের ইয়াংজি নদীর উত্তর দক্ষিণ দিকে যেতে আর কোন বাধা নেই। একবিংশ শতাব্দীতে প্রবেশের পর চীন সমুদ্রপার সেতু নির্মানের কথা বিবেচনা করতে শুরু করে। হাংচৌ উপসাগর সেতু হচ্ছে ২০০৩ সালের প্রথম দিকে চীনের ছিংচৌ উপসাগর রেলপথ প্রকল্প শুরু হওয়ার পর আরেকটি সমুদ্র অতিক্রম করার বিস্ময়কর প্রকল্প।
|