তিব্বতের সবচেয়ে বিখ্যাত মহাকাব্য গেসার রাজার জীবনী কে লিখেছেন?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের ঢাকার মিরপুরের ওয়ার্ল্ড রেডিও ডিএক্স লিসনার্স ক্লাবের ঢাকা শাখার প্রতিনিধি তাছলিমা আক্তার লিমা
উঃ রাজা গেসারের জীবনী' পৃথিবীর একমাত্র জীবিত মহাকাব্য । চীনের তিববত, অন্তমঙ্গোলিয়া , ছিনহাই প্রভৃতি অঞ্চলের শতাধিক লোকশিল্পী এখনো মহাবীর রাজা গেসারের মহান কীর্তির স্তুতি গাইছেন ।
খ্রীষ্টপুর্ব দু-তিন শো' বছর থেকে খ্রীষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দি পর্যন্ত ' রাজা গেসারের জীবনী' রচিত হয় । প্রায় এক হাজার বছরে লোকশিল্পীদের মুখে মুখে প্রচলিত হতে হতে ' রাজা গেসারের জীবনীর' কাহিনী ও ভাষা ক্রমেই সমৃদ্ধ হয় । দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ' রাজা গেসারের জীবনী' পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয় এবং তিববতী জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে ।
' রাজা গেসারের জীবনীর' কাহিনী এমন: অনেক অনেক দিন আগে , তিব্বতী জাতি অধ্যুষিত অঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগ-কবলিত ও দুষ্কৃতকারীদের জুলুম-জর্জরিত ছিল । দৈত্য-দানবের দাপটে স্থানীয় অধিবাসীদের দু:খবেদনার
অন্ত ছিল না । করুণাময় বোধি-সত্ত্বা--অবলোকিতেশ্বর দু:খ-পাথার থেকে মানুষদের মুক্ত করার জন্য বুদ্ধদেব --অমিতাভকে অনুরোধ করেন , অসুরদের দমন করার জন্য তিনি যেন দেবতার ছেলেকে মর্ত্যে পাঠান । দেবতার ছেলে থুইপাগেওয়া তিববতী জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে কালো চুলওয়ালা তিববতীদের রাজার অবতার নিলেন । তাঁর নাম হলো গেসার । গেসারের বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হতে না হতে তিনি ও তাঁর মা হোয়াংহো নদীর তীরে স্থানান্তরিত হন। তিনি বারো বছর বয়সে উপজাতির ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয় লাভ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন । তারপর তিনি দৈবশক্তি ব্যবহার করে অসুরদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালান। মর্ত্যলোকের যাবতীয় দানবকে পরাস্ত করে অপূর্ব কীর্তি স্থাপন করার পর তিনি মাতা আর রানীকে নিয়ে স্বর্গে প্রত্যাবর্তন করেন । মহাকাব্যটির কাহিনী এখানে সমাপ্ত হয়।
' রাজা গেসারের জীবনী' উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মূল্যবান সাংস্কৃতিক সম্পদ বলে তার পরিমার্জন, অনুবাদ ও প্রকাশনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে চীন সরকার ।২০০২ সালে চীনে ' রাজা গেসারের জীবনী' রচনার সহস্রতম বার্ষিকী বিপুল সমারোহে পালন করা হয় । এখন চীনের দশাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণালয়ে বহু পণ্ডিত এই বিরাটাকারের মহাকাব্য নিয়ে গবেষণা করছেন ।
চীনে মুসলমানদের সংখ্যা কত?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার পূর্ব বীরনগরের জুনিয়র রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সম্পাদক মোঃ হাফিজুল ইসলাম এবং জুমনীপাড়ার মোঃ জাকিরুল ইসলাম জাকির
উঃ খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দি থেকে চীনে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু হয়। চীনের হুই, উইগুর , তাতার, কিরগিজ, কাজাক, উজবেক, তুংসিয়াং, সালা, বোআন প্রভৃতি সংখ্যালঘুজাতির ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের মধ্যে অধিকাংশই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন। চীনের অধিকাংশ মুসলমান সিনচিয়াং স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল , নিনসিয়া স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল আর কানসু, ছিংহাই, ইউননান প্রভৃতি প্রদেশে বাস করেন। বর্তমানে চীনে ৩০ হাজারেরও বেশী মসজিদ আছে। এইসব মসজিদে ইমামের সংখ্যা ৪০ হাজার ।
চীনের বিখ্যাত যাদুঘরের নাম কি ?
৪। নারায়নগঞ্জ জেলার মুড়াপাড়ার রূপগঞ্জ নেশামুক্ত বেতার শ্রোতা সংঘের সহ-সাধারণ সম্পাদক এই আর মামুন সিদ্দিকী প্রশ্ন করেছেন, চীনের বহু যাদুঘর আছে, কোনটি সবচেয়ে বিখ্যাত বলা মুশকিল। এখানে আমি শুধু একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত আধুনিক যাদুঘরের উদাহরণ দিবো। তা হচ্ছে রাজধানী যাদুঘর।
রাজধানী যাদুঘর পেইচিংয়ে একটি অতি বিরাটাকারের সার্বিক যাদুঘর। ১৯৮১ সালের অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হয়। ২০০৫ সালে পেইচিংয়ের পৌর সরকার রাজধানী যাদুঘরের নতুন ভবন নির্মান করেছে। এই যাদুঘর এখন পেইচিংয়ের পশ্চিম ছাংআন রাস্তায় একটি চিহ্নফলক ভবনে পরিণত হয়েছে।
|