**বিশ্ব রাজনীতিতে চীনের অবস্থান কততম?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের নোওয়াখালী জেলার হাতিয়ার বাবলু
উঃ চীন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান এবং অংশীদারিত্বের নীতি অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধিতে সহায়তা করার নীতিতে অবিচল থাকে, আঞ্চলিক শান্তি রক্ষা করা, অভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চীন বাস্তব তত্পরতা দিয়ে প্রমান করেছে যে, চীন হচ্ছে নিকটবর্তী দেশগুলোর ভালো প্রতিবেশি, ভালো বন্ধু এবং ভালো অংশীদার।
চীন হচ্ছে এশিয় সহযোগিতার সক্রিয় অংশীদার এবং সমর্থক, আসিয়ান আর চীন, আসিয়ান আর চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামএবং এশিয়া সহযোগিতা সংলাপ ব্যবস্থায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
চীনের উন্নয়ন এশিয়ার সমৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হারে চীনের অবদান ৪৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। নতুন পরিস্থিতিতে চীন দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা এবং দক্ষিণ-উত্তর সংলাপ ত্বরান্বিত করেছে, উন্নয়নমুখী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র এবং পদ্ধতি অন্বেষণ করেছে। এশিয়া আর আফ্রিকার পশ্চাত্পদ দেশের কাছে সুবিধাজনক শুল্ক ব্যবস্থা যুগিয়েছে এবং এশিয়া আর আফ্রিকার ৩৮টি উন্নয়নমুখী দেশের ১৩.৭৭৮ বিলিয়ান ইউয়ান রেনমিনপির ঋণ মওকুফ করেছে বা কমিয়েছে।
চীন সক্রিয়ভাবে জাতিসংঘের বিষয়াদিতে অংশগ্রহণ করে, জাতিসংঘ এবং নিরাপত্তা পরিষদের ক্ষমতা আর ভূমিকা রক্ষা করে, ব্যাপকভাবে সন্ত্রাস দমন, সমরাস্ত্র উত্পাদন নিয়ন্ত্রণ, শান্তি রক্ষা, উন্নয়ন, মানবাধিকার, আইন এবং পরিবেশ প্রভৃতি ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা করে।
বিশ্বকে বাদ দিয়ে যেমন সম্ভব নয়, তেমনি বিশ্বের স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্যে চীনকে দরকার।
**চীন কি গ্রাম-কেন্দ্রিক না কি শহরকে বেশী প্রাধান্য দেয়?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের বগুড়া জেলার আদমদিঘীর মাসুদ রানা
উঃ কৃষি, গ্রাম এবং কৃষক সমস্যা ভালোভাবে সমাধান করা হচ্ছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং গোটা দেশের কাজকর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিংশ শতাব্দীর আশির দশকের প্রথম দিক ছিল চীনের গ্রামীণ অর্থনীতির যুগ। চীনের সংস্কার গ্রাম থেকে শুরু হয় এবং এর গুরুত্বপূর্ণ স্থানও গ্রাম। ফলে গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতি অল্প সময়ের মধ্যে অপেক্ষাকৃত দ্রুতই বিকাশিত হয়েছে।
বিংশ শতাব্দীর আশির দশকের শেষ দিকে চীন শহরাঞ্চলের অর্থনীতি যুগে প্রবেশ করেছে। ১৯৮৪ সালে চীনের সংস্কারের প্রধান দিক গ্রাম থেকে স্থানান্তরিত হয়ে শহুরে অর্থনীতির কাঠামোর সংস্কারে রূপান্তরিত হয়েছে, শহুরে অর্থনীতি তখন থেকে উন্মোচিত হয়। ২০০০ সালে চীনের শহর ১৯৮০ সালের ২২৩ থেকে বেড়ে ৬৬৩টি হয়েছে। এই যুগে নগরায়ন সংক্রান্ত নীতি অনেক , তবে গ্রামের উন্নয়ন সংক্রান্ত নীতি অতি কম ছিলো।
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে চীন জেলা পর্যায়ের অর্থনীতির মহা-উন্নয়নের যুগে প্রবেশ করেছে। এটা হচ্ছে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্ত নীতি সূচীত হওয়ার পর অর্থনৈতিক উন্নয়নের তৃতীয় পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য।
**চীনের সমাজসেবা সংগঠন আছে কি ? চীনের সাহায্য সংস্থার নাম কি ?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার শমশের নগর চা বাগানের সূত্রধর রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সম্পাদক জনি সূত্রধর এবং বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দীর মোঃ আব্দুল মান্নান
উঃ চীনের রেডক্রস সোসাইটি হচ্ছে চীনের মানবতাবাদী ও সামাজিক ত্রান গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য । চীনের রেডক্রোস সোসাইটি ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর সর্বদাই সক্রিয়ভাবে আহত সৈন্যদের চিকিত্সা করা, দুর্গতদের সাহায্য করা প্রভৃতি মানবতাবাদী ত্রাণ তত্পরতায় অংশ নেয়। এখন চীনের রেডক্রস সোসাইটির অধীনে ৩১টি প্রদেশ পর্যায়ের শাখা কমিটি আছে এবং হংকং, ম্যাকাও এই দুটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের শাখা অফিস , ৭০ লক্ষেরও বেশি তৃণমূল সংস্থা এবং প্রায় ২ কোটি সদস্য আছে।
|