চীন কতসালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার ওবায়দুল ইসলাম
উঃ ১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল, ৫০টি দেশের (অজ্ঞাত কারণে পোল্যান্ড অংশ নেয় নি) প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্র্যান্সিস্কোয় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সংস্থার সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। ২৫ জুন 'জাতিসংঘ সনদ' গৃহীত হয়। ২৬ জুন ৫০ টি দেশের প্রতিনিধিরা 'জাতিসংঘ সনদ' স্বাক্ষর করেন। একই বছরের ২৪ অক্টোবর চীন, ফ্রান্স, (প্রাক্তন) সোভিয়েট ইউনিয়ন, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র আর অন্যান্য অধিকাংশ স্বাক্ষর দানকারী দেশ অনুমোদন দেয়ার পর, সনদটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয় এবং জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হচ্ছে জাতিসংঘের ৬ টি প্রধান সংস্থার অন্যতম। জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও মৌলিক নীতি অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব বহন করে এবং জাতিসংঘের এক মাত্র তত্পরতা নেয়ার অধিকারী সংস্থা। নিরাপত্তা পরিষদ ৫টি স্থায়ী সদস্যদেশ ও ১০ টি অস্থায়ী সদস্যদেশ নিয়ে গঠিত। চীন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ হিসেবে, সবসময় জাতিসংঘের ভূমিকা পালন করতে ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারন করতে, বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমর্থন করে এবং জাতিসংঘকে পাশে রেখে একতরফাবাদ বাস্তবায়নের বিরোধীতা করে। চীন মনে করে অব্যাহতভাবে 'জাতিসংঘ সনদ'-এর লক্ষ্য ও মৌলিক নীতিতে অবিচল থাকা ও কার্যকরভাবে মেনে চলা উচিত। বিভিন্ন সদস্য দেশ জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান অবস্থান ও ক্ষমতা রক্ষার কর্তব্য আছে। চীন জাতিসংঘের ভূমিকা জোরদার এবং কার্যকরিতা উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সমর্থন করে। ইরাক যুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বন্দোবস্ত ও পুনর্গঠন সমস্যায় চীন দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন সমর্থন করে। বলাই বাহুল্য, চীন জাতি সংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
সম্প্রতি চীনের মূল ভূ-ভাগ তাইওয়ানকে শুভেচ্ছার প্রতীক হিসেবে প্যান্ডা উপহার দিয়েছে। এই প্যান্ডা সম্বন্ধে বিস্তারিত কি?
প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের রাজশাহির ওয়েভ হানটারস সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মোঃ আব্দুল হামিদ
উঃ প্যান্ডা হচ্ছে চীনা জাতির অমূল্য সম্পদ এবং দেশ-বিদেশের চীনারা আর বিশ্বের জনগণের আদরের প্রাণী। তাইওয়ানের স্বদেশীয়রা দীর্ঘ দিন ধরে স্বচক্ষে প্যান্ডা দেখতে চান। বহু বছর ধরে চীনের মূলভূভাগ তাইওয়ানকে প্যান্ডা উপহার দেয়ার ইচ্ছা লালন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে প্যান্ডা জীবিত হয়। যদি তাইওয়ানে প্যান্ডার প্রধন খাদ্য বাঁশ যথেষ্ট থাকে, তাহলে প্যান্ডারা তাইওয়ানে থাকতে পারে। চলতি বছরের ৯ আগস্ট, জাতীয় বনশিল্প ব্যুরো ওলোং চীনা প্যান্ডা রক্ষা গবেষণা কেন্দ্রে তাইওয়ানের স্বদেশীয়রকে প্যান্ডা উপহার দেয়ার জন্যে প্যান্ডা বাছাইয়ের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্যান্ডা নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী বাছাই করা প্যান্ডাই শুধু তাইওয়ানে পাঠানো যাবে, এরপর ওলোং গবেষণা কেন্দ্র তাইওয়ানীদের প্রযুক্তি নির্দেশনা দেবে। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্যান্ডা পরিচর্যা সমর্থন ইত্যাদি। ২৭ আগস্ট তাইওয়ানের ১৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞগ্রুপ আর মূলভূভাগের ৩০ জনেরও বেশী বিশেষজ্ঞ সিছুয়ান ওলোং চীনের প্যান্ডা রক্ষা ও বংশবদ্ধি গবেষণা কেন্দ্রে প্যান্ডা দেয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রণালীর দু'পারের বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করার পর, তাইপেই চিড়িয়াখানা কিছু ব্যক্তিকে মূলভূভাগে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ নেয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন শুরু করেছে। সুতরাং সম্ভবতঃ তাইওয়ানীরা আগামী বছরের জুন মাসে তাইপেই চিড়িয়াখানায় প্যান্ডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করতে পারবেন।
|