প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ার পূর্বগাটিয়া ডেঙ্গার নেট ওয়ার্ক রেডিও এন্ড টি ভি ফ্যান ক্লাবের চেয়ারম্যান মছরুর জুনাইদ
উঃ ১৯৩৭ সালের জুলাই থেকে ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত চীনের জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত ছিল। এটা হচ্ছে চীনা জনগণের আট বছর স্থায়ী জাপানী সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসন প্রতিরোধে মহান জাতীয় বিপ্লবী যুদ্ধ এবং শতাধিক বছরে চীনা জনগণের বিদেশী আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রথম পুরোপুরি বিজয় অর্জনের একটি জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধ চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আর কুওমিংটাং পার্টির সহযোগিতার ভিত্তিতে সমাজের বিভিন্ন মহল , বিভিন্ন জাতির জনগণ , বিভিন্ন গণতান্ত্রিক পার্টি, জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ গোষ্ঠী, সমাজের বিভিন্ন স্তরের দেশপ্রেমিক এবং প্রবাসী চীনাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে গোটা জাতির প্রতিরোধ যুদ্ধ। চীনের জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো।
এই যুদ্ধকালে বড় ও ছোট আকারের লড়াই হয়েছে প্রায় ২ লক্ষটি। মোট ১৫ লাখ জাপানী সৈন্য মারা গেছে। যুদ্ধ অবসানের সময় ১২ লক্ষ ৮০ হাজারাধিক জাপানী সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছে।
এই যুদ্ধে ৩ কোটি ৫০ লাখ চীনা সৈন্য এবং নাগরিক হতাহত হন । চীনে যুদ্ধজনিত ক্ষতির মূল্য ছিল ৫.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ।
১৯৫১ সালের ৩১ আগস্ট চীনের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই চীনা গণ-সরকারের ইস্তাহার স্বাক্ষর করে ৩ সেপ্টেম্বর চীনের জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধের বিজয় দিবস ঘোষণা করেন।
চীনে জন্ম হার কত?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার ডিএক্স রেডিও কর্নারের মোঃ নবিসউদ্দিন রনি
উঃ চীন হচ্ছে পৃথিবীতে সবচেয়ে জনবহুল দেশ। ২০০৪ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত হংকং, ম্যাকাও এবং তাইওয়ান ছাড়া কেবল চীনের মূলভূভাগের জনসংখ্যা ১২৯ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার , যা প্রায় সারা পৃথিবীর জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
চীন হচ্ছে পৃথিবীতে সর্বাধিক জনঘন দেশগুলোর অন্যতম। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৩৫ জন। ২০০৪ সালের জরীপ থেকে জানা গেছে যে, ২০০৪ সালে চীনে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে, জন্ম হার ১.২২৯ শতাংশ। ৮৩ লাখ ২০ হাজার জন মারা গেছে, মৃত্যুর হার ০.৬৪২ শতাংশ। বৃদ্ধি হার ০.৫৮৭ শতাংশ।
চীনের সবচেয়ে বড় বিমান বন্দরের নাম কি?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার চাপাপুরের এর ঝাকুনিপাড়ার মাহফুজুর রহমান
উঃ পেইচিংয়ের রাজধানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হচ্ছে চীনের বৃহত্তম বিমান বন্দর। এই বিমান বন্দর পেইচিং শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শ্যুন ই জেলায় অবস্থিত। এর আয়তন ৯৬১ হেক্টর। পেইচিং শহরের কেন্দ্র থিয়েন-আন-মেন মহা-চত্বর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে তার অবস্থান । রাজধানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হচ্ছে চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ , বিরাটাকারের , পূর্ণাঙ্গ সাজসরজ্জামবিশিষ্ট এবং যাত্রী ও মাল পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, চীনের রাজধানী পেইচিংয়ের আকাশসীমার দ্বার এবং বিদেশের সঙ্গে আদান-প্রদানের জানালা। পেইচিংয়ের রাজধানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর যাত্রীদের সংখ্যা এবং বিমান উঠা-নামার সংখ্যার দিক থেকে একটানা বহু বছর ধরে চীনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
|