চীনের বিবাহ আইন কি ধরণের ?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের জামালপুর জেলার মেলান্দহের পূর্ব নলছিয়া গ্রামের সি আর আই শ্রোতা ক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশীদ
উঃ চীন গণ-প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫০ সালের মে মাসে চীনের প্রথম বিবাহ আইন প্রকাশিত হয়। এর ফলে নারী আর পুরুষের বিয়ের অধিকার আর কর্তব্যে সমতার তত্ত্ব বাস্তবায়িত হয়।
চীনের সমাজের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনভাবে প্রেম এবং বিয়ে করা ক্রমে ক্রমে সমাজের প্রধান অবলম্বনে পরিণত হয়েছে। বিয়ের গুনমানের প্রতি নারীদের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে, চরিত্র বা মনোদৈহিক অমিলের কারণে বিচ্ছেদের দাবি জানানো নারীর সংখ্যাও বেড়েছে। ১৯৮০ সালে চীনের জাতীয় গণ-কংগ্রেস "চীন গণ প্রজাতন্ত্রের সংশোধিত বিবাহ আইন "প্রকাশ করেছে। এই আইনটিতে বিয়ে-বিচ্ছেদ করার শর্ত পরিবর্তিত হয়েছে, তা হচ্ছে "দম্পতির সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার "পরিবর্তে "দম্পতির ভাবাবেগ ভেঙ্গে যাওয়া", এতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইচ্ছাকেই সম্মান দেয়া হয়েছে।
২০০১ সালের এপ্রিল মাসে নতুন "চীন গণ প্রজাতন্ত্রের বিবাহ আইন" প্রণীত হয়। এতে বিবাহ আইনের পাঁচটি মৌলিক নীতি জোরালো ভাষায় উল্লেখিত হয়েছে। বিয়ে আর পরিবার ধ্বংস করার জন্যে দেয়া শাস্তির মাত্রা বেড়েছে, আইনের দিক থেকে বর্তমানে নারীদের পারিবারিক মর্যাদা রক্ষা করেছে।
চীনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির নাম কি?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের মাগুরা জেলার শ্রীপুরের দারিয়াপুর হাসপাতাল রোডের মসিউল আজম
উঃ চীনের ফুটবল ফেডারেশন ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রথম সভাপতি হচ্ছেন চীনের ফুটবল জগতের প্রবীণ নেতা হুয়াং চুং।
১৯৮৪ সালে ইউয়েন ওয়েন মিং চীনের ফুটবল ফেডারেনের সভাপতি হন, তিনি এই পদে একটানা ১৬ বছর ছিলেন। মজার কথা হচ্ছে, এর আগে তিনি চীনের শ্রেষ্ঠ নারী ভলিবল কোচ ছিলেন। তাঁর হাতে প্রশিক্ষিত চীনের নারী ভলিবল দল চার বার গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জন করে এবং চীনের ভলিবল এক অতি উজ্জ্বল পর্যায়ে উন্নীত হয়েছেন।
চীনের ফুটবল ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হচ্ছেন শিয়ে ইয়া লুং। তিনি পরপর পেইচিং শরীর চর্চা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, গণ-ক্রীড়া বিভাগের প্রধান এবং দৌঁড়-ঝাঁপ-নিক্ষেপ পরিচালনা কেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন।
২০০৪ সালে অলিম্পিক গেমসে চীনের প্রথম স্বর্ণবিজয়ী তু লি
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের রংপুর জেলার বুড়িরহাট ফার্মের গোয়ালু ডিএক্স রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান
উঃ তু লি হচ্ছেন ২০০৪ সালের অলিম্পিক গেমসে নারী এয়ার-রাইফেল দফার চ্যাম্পিয়ন। তু লির অর্জিত এই স্বর্ণপদক হচ্ছে ২০০৪ সালে অলিম্পিক গেমসের প্রথম স্বর্ণপদক , সেই জন্য তিনি সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এর আগে তিনি ২০০৩ সালে বিশ্ব কাপ প্রতিযোগিতায় বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গে স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন এবং ২০০২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন।
২০০৪ সালের এ্যাথেন্স অলিম্পিক গেমসে চীনের কোন্ খেলোয়াড় সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ পদক পেয়েছেন?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের পাবনা জেলার আটঘরিয়ার পারকোদালিয়া গ্রামের রেডিও ফেয়ার লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা
উঃ ডাইভার কুও চিং চিং এবং টেবিল টেনিস খেলোয়াড় চাং ঈ নিং এবারকার অলিম্পিক গেমসে পৃথক পৃথকভাবে দুটি করে স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন। তাঁরা হচ্ছেন চীনা প্রতিনিধি দলে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণপদক অর্জনকারী এ্যাথলেট।
দৌঁড়-ঝাঁপ-নিক্ষেপ হচ্ছে প্রতিটি গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক স্বর্ণপদকসম্পন্ন ক্রীড়া বিভাগ। চীনের খেলোয়াড়রা গত অলিম্পিক গেমসে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতমসাফল্য অর্জন করেছেন। চীনের দৌড়বিদ লিউ সিয়াং ১১০ মিটার প্রতিবন্ধক দৌড়ে ১২.৯১ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে স্বর্ণপদক জয় করেছেন । অলিম্পিকের জন্মস্থানে , ২১ বছর বয়সী লিউ সিয়ান এমন একজন চৈনিক এবং এমন একজন এশিয়ান , যিনি হলদে বর্ণের ক্রীড়াবিদদে দৌড়ে পিছিয়ে থাকার ইতিহাসের অবসান ঘটিয়েছেন।
লিউ সিয়ান স্বর্ণপদক অর্জনের পর এক ঘন্টার মধ্যে দূরপাল্লার দৌঁড়বিদ সিং হুই না নারী ১০ হাজার মিটার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। চীন প্রথমবার অলিম্পিক গেমসে দৌঁড়ে দুটি স্বর্ণ পকেটস্থ করেছে।
|