চীনের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরীর নাম কি?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের বগুড়া জেলার দুপচাঁটিয়ার ডাকাহার গ্রামের মোঃ ওমর ফারুক
উঃ চীনের জাতীয় লাইব্রেরী হচ্ছে চীনের বৃহত্তম লাইব্রেরী। এটা হচ্ছে একটি সার্বিক গবেষণাধর্মী লাইব্রেরী এবং চীনের লাইব্রেরী-তথ্য কেন্দ্র। চীনের জাতীয় লাইব্রেরী পেইচিং শহরের হাইদিয়ান অঞ্চলে অবস্থিত, এর আয়তন ১ লাখ ৪০ হাজার বর্গমিটার। মোট ২১তলা বিশিষ্ট ভবনটি আশির দশকে পেইচিংয়ের দশটি বৃহত্তম অট্টালিকার তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে। ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই লাইব্রেরীতে মোট ২ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার বই ছিল, এবং প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ লাখ বই নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। চীনের জাতীয় লাইব্রেরী হচ্ছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম লাইব্রেরী।
চীনে কি গম পাওয়া যায়?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার তিলকপুরের ফারুক ইন্টারন্যাশনাল রেডিও ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ওমর ফারুক রিমন
উঃ চীন হচ্ছে পৃথিবীতে বৃহত্তম গম উত্পাদক এবং ভোক্ত দেশ। চীনের গমের আবাদী জমির আয়তন এবং মোট উত্পাদনের পরিমাণ যথাক্রমে বিশ্বের ১২ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বার্ষিক উত্পাদন পরিমাণ ১০ কোটি টনে দাড়িয়ে আছে। উত্তর চীন আর হুয়াংহো নদী , হুইহো নদী এবং হাইহো নদী এই তিনটি অঞ্চল হচ্ছে চীনের প্রধান শ্রেষ্ঠ গম উত্পাদন অঞ্চল।
চীনা ভাষায় প্রথম কোরান শরীফ গ্রন্থটি অনুবাদ কে করেন , কত সালে?
প্রশ্নকর্তাঃ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকারের ওয়ার্ল্ড রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সচিব দেশমাতৃকা প্রসাদ রায়
উঃ ১৯০৩ সালে চীনের হোপেই প্রদেশের মাং গ্রামের হুই জাতির হাইসিফু নামে একজন বিখ্যাত ইমাম কোরান শরীফের চীনা অনুবাদ করেন। এই অনুবাদের কাজ করতে তাঁর আট মাস সময় লেগেছে। তা ছাড়া, তিনি "কোরানের ব্যাখ্যা" সহ কতোকগুলো আরবী কবিতা এবং প্রবন্ধও অনুবাদ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর মিসরের "পিরামিড" পত্রিকায় প্রকাশিত ভাষ্যে বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্মের প্রাচ্যের ভূভাগে আলোকিত সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকা তিরোহিত হয়েছে। সকল আরব মুসলমান তাঁর আত্মার শান্তির জন্য আল্লার কাছে প্রার্থনাকরেন।
১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ইয়াং চুং মিংয়ের অনুবাদ "কোরানের অর্থ" নামে প্রায় ১৮ হাজার শব্দের বই পেইপিং ইসলামী প্রকাশনালয় থেকে প্রকাশিত হয়। এটা হচ্ছে চীনে প্রকাশিত প্রথম চীনা ভাষার "কোরান শরীফ।
জিংসেং কি?
উঃ জিংসেং হচ্ছে বিশ্ব বিখ্যাত মূল্যবান ঔষধ। গত কয়েক হাজার বছর ধরে চীনারা মনে করেন, জিংসেং হচ্ছে উচ্চ শ্রেণীর চীনা ভেষজ ঔষধ। তা খেয়ে শরীর শক্তিশালী করা এবং তা দীর্ঘজীবন লাভের জন্যও হিতকর।
উত্তর-পূর্ব চীনের চাংপাইশান পাহাড়ে উত্পাদিত প্রাকৃতিক জিংসেং এবং চাষাবাদ জিংসেংয়ের পরিমাণ , সারা দেশের মোট পরিমাণের ৯০ শতাংশেরও বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০০ সালে চীনের রপ্তানীকৃত জিংসেং এর পরিমাণ ১৭০৭.১ টন, প্রতি কেজি ৬.৬২ মার্কিন ডলার।
|