v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-10 16:38:10    
চীনের মহা-খাল

cri
 প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার সুলতানশাহীর লিপন স্মৃতি রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি বি এম ফয়সাল আহমেদ

 উঃ চীনের মহা-খাল হলো প্রাচীনকালেচীনের একটি মহা-জলসেচ প্রকল্প এবং পৃথিবীতে সবচেয়ে আগে প্রতিষ্ঠিত এবং দূরপাল্লার খাল। এই মহা-খাল হচ্ছে চীনের একমাত্র উত্তর থেকে দক্ষিণগামী কৃত্রিম নদী, মহা প্রাচীরের মতোই চীনের প্রাচীনকালের আরেকটি বিস্ময়কর প্রকল্প। চীনের মহা-খালের দৈর্ঘ্য ১৭৯৪ কিলোমিটার। উত্তর দিকে পেইচিংয়ের উপকন্ঠের তুংচৌ থেকে শুরু হয়ে পেইচিং, থিয়েনচিং , হেপেই, শানতুং, চিয়াংসু, চেনচিয়াং এই ছয়টি প্রদেশ অতিক্রম করে চীনের হাইহো নদী, হুয়াংহো নদী, হুইহো নদী, ইয়াংজি নদী এবং চিয়ানথাংচিয়াং নদী এই পাঁচটি প্রধান নদীকে সংযুক্ত করেছে। খ্রীষ্ট পূর্ব ৪৮৬ সালে উ রাজ্যের রাজা ফুচাই প্রথমে ইয়াংচৌতে খাল নির্মান প্রকল্প শুরু করেন। তিনি ইয়াংজি নদী এবং হুইহো নদীকে সংযুক্ত করেন। সপ্তম শতাব্দীতে সুই রাজবংশে ইয়াং সম্রাট এবং ১৩তম শতাব্দীর ইউয়ান রাজবংশে দু'বার বিরাটাকারে খালটি নির্মান করা হয়েছে। মহা-খাল প্রতিষ্ঠার কয়েক শ'বছরে খালটি ইয়াংজি নদীর উত্তর ও দক্ষিণ তীরের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ত্বরান্বিত করেছে, বিশেষ করে দক্ষিণ চীনের খাদ্যশস্য উত্তর চীনে পরিবহন করা প্রভৃতি সমস্যা সমাধান করেছে। খাল নির্মানের ফলে দু'তীরের অনেক প্রাচীন নগর সমৃদ্ধ হয়েছে। মিং এবং ছিং রাজবংশে মহা-খালের দু'পারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছিলো।

** চীন দেশে কবে প্রথম রেলগাড়ি চালু হয়?

 প্রশ্নকর্তাঃ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কোচবিহার জেলার আমলাগুড়ি গ্রামের জলতরঙ্গ শ্রোতা সংঘের সম্পাদক শ্রী তপন বসাক

 উঃ চীনের রেলগাড়ি চালু হয় ছিং রাজবংশের শেষ দিকে। এখন পর্যন্ত এক শতাধিক বছরের ইতিহাস হয়েছে।

 ১৮৭৬ সালে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র তত্কালীন ছিং রাজবংশ সরকারকে না জানিয়ে নিজেরাই চুপিচুপি চীনের ভুভাগে অর্থাত্ শাংহাইয়ের উশোং-এ রেলপথ নির্মান করে।

 ১৯০৯ সালের অক্টোবর মাসে চীনা প্রকৌশলী চাং টিয়ান ইয়ুর পরিচালনায় চীনের প্রথম নিজের নকশা এবং তৈরি করা রেলপথ --- পেইচিংয়ের ফাংতাই থেকে চাং চিয়া কুওগামী রেলপথ নির্মিত হয়।

 নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর এই পর্যন্ত চীনে মোট ৩৬০০০ কিলোমিটার দূরের রেলপথ নির্মিত হয়েছে। বৈদ্যুতিক রেলপথ আছে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি। এখন তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ছাড়া, চীনের মূলভূভাগের প্রতিটি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্র-শাসিত মহানগরের রাজধানী পেইচিংয়ের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ রয়েছে।

 পঞ্চাশাধিক বছরে চীন মোট বিভিন্ন ধরনের ২৩৭০০ রেলগাড়ি নির্মান করেছে। এই রেলগাড়িগুলো চীনের রেলপথের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানী করা হয়।

** চীনের রাজধানী পেইচিং শহর কত সালে স্থাপিত হয়েছে?

 প্রশ্নকর্তাঃ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া জেলার ফুলিয়া গ্রামের ধীরেন বসাক

 উঃ পেইচিং হচ্ছে বিশ্ব বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মহানগর এবং প্রাচীন শহরগুলোর অন্যতম। পেইচিং হচ্ছে চীনের রাজধানী, চীনের রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ৭ লাখ বছর আগে পেইচিংয়ের চৌখৌতিয়েন অঞ্চলে আদিম জনগোষ্ঠী "পেইচিং মানব" এর আবির্ভাব ঘটে। পেইচিং শহর প্রতিষ্ঠার ইতিহাস দু'হাজারাধিক বছর। ৯৩৮ সাল থেকে পেইচিং পর পর লিয়াও রাজবংশ, চিন রাজবংশ, ইউয়ান রাজবংশ, মিং রাজবংশ এবং ছিং রাজবংশের রাজধানী ছিলো। ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে তা চীন গণ প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ধার্য হয়।

 বর্তমানে পেইচিংয়ের অধীনে ১২টি অঞ্চল এবং ৬টি জেলা আছে, জনসংখ্যা ১ কোটি ১০লাখ ।