প্রশ্নকর্তাঃ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার রাজারামপুরের ওয়ার্ল্ড রেডিও টি ভি লিসনার্স সেন্টার এ্যান্ড লাইব্রেরীর সভাপতি মোঃ আশরাফুল হক
উঃ গত ১৭ অক্টোবর বিকাল ৭টা ৬ মিনিটে বিখ্যাত সাহিত্যিক পা চীন চিরকালের জন্য আমাদের ত্যাগ করেছেন। তিনি ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে ঠান্ডা লেগে জ্বর হবার পর একটানা ছয় বছর ধরে হাসপাতালে ছিলেন। চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালালেও অবশেষে তিনি ১০১ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেছেন।
পা চীনের আসল নাম লি ইয়াও থাং। ১৯০৪ সালের ২৫ নভেম্বর সিছুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেনতুতে জন্মগ্রহন করেন। ১৯২১ সালে তাঁর প্রথম প্রবন্ধ প্রকাশের পর ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত তিনি মোট ১ কোটি ৩০লাখ অক্ষরের সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর "বহমান ত্রয়ী" , "প্রেম ত্রয়ী" , "শীত রাত" প্রভৃতি সাহ্যিতিক রচনা চীনের সাহ্যিতের প্রতিফলক।
তা ছাড়া, পা চীন একজন শ্রেষ্ঠ প্রকাশক এবং সম্পাদক। বিংশ শতাব্দীর ত্রিশ চল্লিশের দশকে তিনি শাংহাই সংস্কৃতি ও জীবন প্রকাশনালয়ের প্রধান সম্পাদক পদে ১৪ বছর কর্মরত ছিলেন, সে সময় তিনি বহু তরুণ সাহ্যিতিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। বৃদ্ধকালে পা চীন মহত্ রচনা "প্রবন্ধ সংগ্রহ" এবং চীনের আধুনিক সাহ্যিত ভবন সমাজকে উপহার দিয়েছেন।
পা চীন চীনের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় , চতুর্থ জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধি, পঞ্চম জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম জাতীয় গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৩ সালের ২৫ নভেম্বর তাঁর শত বছর জন্মদিনে শাংহাইয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ পা চীনকে "গণ লেখক" এর গৌরবময় খেতাব দিয়েছে।
গত কয়েক দশকে, বিশেষ করে ১৯৮১ সালে চীনের লেখক সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ার পর পা চীন জনগণের মনে এক চিরস্থায়ী প্রদীপের মতো চীনের গোটা সাহ্যিত মহলকে আলোকিত করেছেন।
|