প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের চট্টগ্রামের ডেলটা ওয়েল ফেয়ার রেডিও ডি-এক্স ক্লাবের সভাপতি এস. এম. সিরাজুল ইসলাম প্রশ্ন করেছেন ।
উত্তরঃ ইয়াং লিফিং, ১৯৫৮ সালে পশ্চিম চীনের ইউয়ুন্নান প্রদেশের তালি অঞ্চলের পাই জাতির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।বাবা-মার বিয়ে বিচ্ছেদের পর ইয়াং লিফিং মা, দুটি ছোট বোন আর ভাইয়ের সঙ্গে বাস করেন ।চীনের ইউয়ুন্নান প্রদেশে সংখ্যালঘু জাতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশী ।সেখানকার প্রায় সব অধিবাসীই নাচ গান করতে পছন্দ করেন । তারা নাচ ও গান করে নিজের আনন্দ প্রকাশ করতে পছন্দ করেন । ছোটবেলা থেকে ইয়াং লিফিং নাচ করতে পছন্দ করেন । তিনি কোনো বিশেষ নাচ স্কুলে লেখাপড়া করেন নি । ১৯৭১ সালে তিনি আদি নিবাস থেকে সিসুয়াংপাননা নৃত্যসংগীত দলে যোগদান করেন । ১৯৮৬ সালে তিনি এককভাবে "ময়ুর " নামে একটি নৃত্যনাট্য রচনা করেন এবং মঞ্চস্থ করেন । তিনি ময়ুরের তত্পরতা শেখার জন্যে পার্ক অথবা চিড়িয়াখানায় ময়ুর দেখতে যান । তারপর এই নাচ জাতীয় নৃত্য প্রতিযোগিতায় রচনা ও অভিনয় উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম পুরষ্কার লাভ করে । এই নাচ পরিবেশনের পর, ইয়াং লিফিং ক্রমেই আরো বেশী দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন । ময়ূর নাচের পর তিনি "নারীস্থান","বৃষ্টি", "যুগল-বৃক্ষ" প্রভৃতি নাচ রচনা করেন । ১৯৯২ সালে তিনি ফিলিপাইন, সিংগাপুর, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপান প্রভৃতি দেশে একক নৃত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ।১৯৯৭ সালে জাপানের ওসাকা আন্তর্জাতিক আদান-প্রদান কেন্দ্র তাঁকে সর্বোচ্চ শিল্পকলা পুরস্কার দিয়েছে, ফিলিপাইনের জাতীয় নৃত্য সমিতি তাকে আজীবন সদস্যপদ দিয়েছে । ইয়াং লীফিং নাচের ভাষা দিয়ে মানবজাতির স্বপ্ন প্রকাশ করেছেন । যারা তাঁর নাচ দেখেছেন, তাদের মধ্যে অনেকে ইয়াং লিফিংকে নৃত্য-কবি ও পরী বলেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার দর্শকরা ইয়াং লিফিংকে নৃত্যদেবী আখ্যা দিয়েছেন ।
|